Logo
শিরোনাম

এবার রেকর্ড সংখ্যক ইলিশ ডিম ছেড়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে চলতি বছর রেকর্ড সাড়ে ৫২ শতাংশ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ। যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। অভয়াশ্রম পরবর্তী গবেষণায় এমনই চিত্র ধরা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইলিশ গবেষকরা। অভিযানের সঠিক সময় নির্ধারণ আর অনুকূল পরিবেশ পেয়ে ডিম ছাড়ায় সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে এ বছর।

জেলে ও ব্যবসায়ীরা আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের উপর জোট দিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ইলিশের ডিম ও জাটকা রক্ষা করা গেলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। প্রজননের এই প্রধান সময়টাতে পরিভ্রমণ স্বভাবের মাছ ইলিশ সাগর ছেড়ে মোহনা ও নদীর মিঠা পানিতে ছুটে আসে। ইলিশের ডিমের পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এবং পূর্বের গবেষণার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান বলেন, অভয়াশ্রমে এবছর রেকর্ড সাড়ে ৫২ শতাংশ ইলিশ ডিম ছেড়েছে। গত বছর যা ছিল ৫২ পার্সেন্ট। কিছু অসাধু জেলে কর্তৃক ইলিশ নিধন সত্ত্বেও প্রচুর পরিমাণে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।

ইলিশ গবেষক বলেন, জাটকা মৌসুমে সঠিকভাবে সুরক্ষা দিতে পারলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন পৌঁনে ৬ লক্ষ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে।

ইলিশ গবেষকদের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে ৪৩.৪৫ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৪৬.৪৭ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৪৭.৭৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৪৮.৯২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৫১.২ শতাংশ, ২০২১ সালে ৫১.৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫২ শতাংশ ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। চলতি বছর ৫২.৫ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার জেলে আবুল কাশেম ও হাবু ছৈয়াল বলেন, এবার চাঁদপুরের নদীতে অধিকাংশ ইলিশই ডিম ছেড়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষা অভিযান কঠোরভাবে পালন করা গেলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল ও জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান চলবে। এই সময়টিতে নদীতে ইলিশের ডিম সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষা করা গেলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে অভয়াশ্রম পালিত হওয়ায় রেকর্ড পরিমাণে ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ। তবে সারা বছরই কম বেশি ডিম ছাড়ায় কিছু ইলিশের পেটে এখনো ডিম পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে ছাড়া মা ইলিশের এই ডিমের ১০ ভাগ টিকানো গেলেও আগামী মৌসুমে নতুন করে অন্তত ৪০ হাজার কোটি জাটকা জন্ম নিবে বলে মনে করছেন এই ইলিশ বিজ্ঞানী।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩.৮৮ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪.৯৭ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫.৫ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৬৫ লাখ টন এবং গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ৫.৬৬ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, অভয়াশ্রমের সময়টাতে চাঁদপুরের ৪৩ হাজার ৭৭২ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা প্রদান করা হয়। নিষেধাজ্ঞার ২২দিনে মোট ৫শ ৪৬টি অভিযানে ৮৪টি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩শ ৭৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসময় ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার কারেন্ট জাল এবং ২ দশমিক ২৯৮ মেট্রিন টন ইলিশ জব্দ করা হয়। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩২ টাকা।

মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষাকল্পে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষা অভিযান চলবে। এই লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

 


আরও খবর



বারাণসী কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

  ডিজিটাল ডেস্ক:


ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি।


 আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বারাণসীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস রাজালিঙ্গম। খবর এনডিটিভি।


মনোনয়নপত্র জমার আগে বারাণসীতে কাল ভৈরব মন্দিরে এবং দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গাপুজা করেন। এর পর নমো ঘাটে ক্রুজে ভ্রমণ করেন মোদি। 


মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে বিজেপির পক্ষ থেকে গতকাল (সোমবার ১৩ মে) বিকালে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করা হয়।



মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন চার প্রস্তাবকের অন্যতম পণ্ডিত জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ এনডিএ শরিক দলগুলির নেতারা। 


আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট দেওয়া হবে এই বারাণসী কেন্দ্রে। আজ মঙ্গলবারই ছিল এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। 


এ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বারাণসী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশের বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালেও এই কেন্দ্র থেকেই জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।


এবার মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম চার দফার ভোটের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।  বাকি আছে আরো তিন দফা। পঞ্চম দফার ভোট আগামী ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। 


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার শিশু,অভিযুক্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোটার :

নওগাঁয় মাত্র ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে খাওয়ানোর প্রলোভন (লোভ) দেখিয়ে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান শিশুর স্বজনরা। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গাড়ীক্ষেত্র গ্রাম এলাকার আতাউর রহমান ওরফে চেকু (৫৫)।  

ভিকটিম শিশুটির মা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার আগে আমি বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী সহপাঠি শিশুদের সাথে আমার মেয়েও খেলা করছিলো। খেলা করাকালে সেখান থেকে খাওয়ানোর লোভ (প্রলোভন) দিয়ে প্রতিবেশি আতাউর রহমান চেকু আমার অবুঝ মেয়ে শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

শিশুটির মা আরো জানান, ঘটনার সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান চেকু'র বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগেই সে আমার শিশু মেয়েকে তার বাড়ির ভেতর নিয়ে (খারাপ কাজ) ধর্ষণ করার পর আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার শিশু মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানায় ও অসুস্থতা বোধ করায় মেয়েকে স্থানিয় মান্দা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেই। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান ওরফে চেকু সংবাদ কর্মীদের কাছে ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল ও অন্যায় হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেন। এঘটনায় ভিকটিম শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করার পরই থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ভিকটিম শিশুর মা মামলা করেছেন। মামলার পরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করেন।


আরও খবর



দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের এ দাম বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রয়টার্সের এক সংবাদে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ মে) সকালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

 ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।

গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। আজ সপ্তাহের শুরুতে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ল।

গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয় ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে দাম কমে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল গত সপ্তাহে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস দাবি করেছিল, বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক; কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।


আরও খবর



ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল বছরের শুরু থেকেই সেই আশঙ্কাকে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ২৩ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্যও এর আগে পাওয়া যায়নি কোনো বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও চলতি বছরের শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মারা গেছেন ২০৪ জন

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনে পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাস ভয়ঙ্কর তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিবে আগস্ট মাসে এরপরে এখনো বাকি সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এমন অবস্থায় মশা নিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই

কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক . কবিরুল বাশার বলেন, এবছর মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে এখন জুলাই শেষ আগস্ট সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবার লক্ষ্য করছি- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট সেপ্টেম্বরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে জানুয়ারিতেও ৫০০ মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না 

ঢাকা শহরেলাইট পলিউশনেরকারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কিনা জানি না লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারা দেশে মশা ছড়িয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে ভারী বর্ষণ হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। আগস্ট মাসে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে এরপর ধীরে ধীরে কমবে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আক্রান্ত মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো রিপোর্টে আসে না

তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেকে রক্ত দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায় তবে রক্ত দেয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয় সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায় আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায় কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না


আরও খবর



৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

 


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪