Logo
শিরোনাম

ইটনায় শিক্ষক দিবস-২০২২ উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

মোজাহিদ সরকার‌‌‌, ইটনা, কিশোরগঞ্জ

শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রুপান্তর শুরুএই শ্লোগান'কে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় প্রথম বারের মতো শিক্ষক দিবস -২০২২ উদযাপন হয়েছে। ২৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে ইটনা উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সদরে ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই দিবস পালিত হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাফিসা আক্তার সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাফিসা আক্তার বক্তব্যে বলেন, আজকের শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের সম্মানের সাথে বিনম্র শ্রদ্ধায় জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা চাই শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রুপান্তর হক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর এই মেরুদন্ড গড়ার কারিগর শিক্ষক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র সরকার শিক্ষকদের কে সম্মান প্রদর্শন করার জন্য আজকে সারা দেশে এক সাথে শিক্ষক দিবস পালিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সমাজে একমাত্র শিক্ষকদে সর্বশ্রেষ্ঠ আসন। তিনি আরও বলেন, হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষকের জন্য যেন সকল শিক্ষকদের বদনাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, শিক্ষকদের সম্মান টা তাদের কে ধরে রাখতে হবে। আমি একজন শিক্ষক ছিলাম এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিন্তু আমি শিক্ষক পরিচয় দিতে পছন্দ করি এবং গর্ববোধ করি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ঝালকাঠিতে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় স্বামী কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দফায় দফায় যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পর ১৩ মে ২০২৩ তারিখে গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী। ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে পাওয়া গেছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সবশেষ স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় মঙ্গলবার জামিন নিতে গেলে ঝালকাঠি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেহেদী হাসান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এখন মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীদের হুমকিও দিচ্ছেন এই প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিবার। তিনি

নাচলমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেবরা আরিফুর রহমান খানের ছেলে। মেহেদী হাসান বাপ্পী পরিবার পরিকল্পনা চাকরি করেন।

নির্যাতীত নারীর মা অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন

মেহেদী হাসান বাপ্পী কাছে এক বছর যেতে না যেতে শুরু হয় মেয়ের উপর অত্যাচারের ও তার কাছে টাকা দাবি করেন।

নির্যাতনের শিকার নারী অভিযোগ করেন, স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী তার কাছে টাকা দাবি করেন দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি তারপরে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করত ।

কিন্তু প্রায় ছয়মাস আগে পেটের ওপর আঘাত করে চারমাস বয়সি গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী।এরপরই তিনি বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাতেই সোমবার স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে গেছেন। এখন বিভিন্নভাবে মেহেদী হাসান বাপ্পী লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি আইনি সহায়তা দাবি করেছেন।মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে থাকায় স্বীকার করেন তার স্বজনরা।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদফতরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত তিন সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমের কারণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমে হিট স্ট্রোকসহ নানা শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবর এসেছে। এমন অবস্থায় তিন দফায় ৭২ ঘণ্টা করে হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের তীব্রতা না কমায় আগামীকাল রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



মেট্রোরেল চলবে পাঁচ মিনিট পরপর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

যাত্রীদের চাহিদার কথা ভেবে চলতি মাস থেকেই পাঁচ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল। ভবিষ্যতে এটি সাড়ে তিন মিনিটে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। এদিকে, মেট্রোরেল নির্মাণে নেওয়া ঋণের ৭৫ কোটি টাকা এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে অফিসের সময় বা পিক আওয়ারে ৮ মিনিট এবং অফিস সময়ের পর যেকোনো স্টেশন থেকে ১০ থেকে ১২ মিনিট অন্তর মিলছে মেট্রোরেল। কিন্তু দেখা গেছে অফিস সময় ছাড়াও বিকেল কিংবা সন্ধ্যায়ও যাত্রীতে ঠাসা থাকে মেট্রোরেল। অনেক সময় ব্যর্থ হয়ে পরের ট্রেনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এসব দিক বিবেচনা করে মেট্রো চলাচলের সময় আরো কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, চূড়ান্ত লক্ষ্য দুই ট্রেনের মাঝে বিরতি সাড়ে তিন মিনিটে নামিয়ে আনা। তবে এখন পিক আওয়ারে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৫ মিনিট অন্তর ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চার ঘণ্টার পিক আওয়ারও বাড়ানো হতে পারে।

মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা আর বাকি টাকার যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবার সেই ঋণের কিস্তি শোধ করতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এরই মধ্যে তিন কিস্তির ৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৪০ বছর ধরে ঋণের পুরো টাকা শোধ করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

আজহার মাহমুদ: মা অতি ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর গুরুত্ব এবং মর্যাদা কতটুকু তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন দয়ালু এবং মর্যাদাবান মানুষটিকে কখনো কি আমরা সবাই সঠিকভাবে মর্যাদা দিই? যে মানুষটি আমাদের ১০ মাস ১০ দিন সহস্র যন্ত্রণা সহ্য করে তার গর্ভে রেখেছে এবং প্রবল ব্যথা উপেক্ষা করে প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের এনেছে, আমরা সেই মানুষটিকে কতটা সম্মান দিই? তা ছাড়া সব ভালোবাসা এই এক দিনে কেন? মা দিবসে মাকে লোকদেখানো ভালোবাসবেন, বাকি ৩৬৪ দিন মাকে অসম্মান করবেন, এমন লোকদেখানো ভালোবাসার প্রয়োজন নেই।

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসাটা আসতে হয় হৃদয় থেকে। এই ভালোবাসার জন্য কোনো অভিনয় করার দরকার পড়ে না, কোনো নাটক করার প্রয়োজন পড়ে না। আর মায়েরা সব বোঝেন, কোনটা আপনার ভালোবাসা আর কোনটা আপনার অভিনয়।

আচ্ছা মাকে ভালোবাসতে কী লাগে? অনেকেই হয়তো মাকে হাত-ভর্তি টাকা দিচ্ছেন কিংবা ভালো ভালো খাবার খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু মা কী চান সেটা কি বুঝতে চেয়েছি? আমরা কী কখনো চিন্তা করে দেখেছি মা আমাদের জন্য কী করে বা মূলত আমাদের কী দেন। কজন মা তার সন্তানকে ভালো খাবার কিংবা প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। কজন মা তার সন্তানকে দামি গাড়িতে করে দামি শপিং মলে নিয়ে যাচ্ছেন। সব মায়ই এসব তাদের সন্তানদের দিতে পারেন না। কিন্তু মায়ের ভালোবাসার কাছে সব দামি উপহার মামুলি এবং তুচ্ছ। কারণ মায়েরা যা দেন তা পৃথিবীর কেউ কখনোই তা দিতে পারবেন না। আমরা শপিং মলের দামি কাপড়টি কিংবা রেস্টুরেন্টের দামি খাবারটি পরে আবার পাব। কিন্তু মায়ের ভালোবাসা সেটা প্রতিবারই অমূল্য।

যাই হোক, মূল কথায় আসি, প্রতিটি সন্তান-ই জানে মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করে এবং কতটা ভালোবাসে। কিন্তু আমরা আমাদের মাকে কতটা ভালোবাসছি কিংবা ভালোবাসা দিচ্ছি। আবার এই সমাজে এমনও কিছু সন্তান আছে যারা মাকে ভালোবাসতে পারে না আবার কষ্ট দিতে জানে।

সত্যি বলতে, এখন মায়ের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসা বেড়েছে, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা কমেছে। মা দিবস আসলে লাফিয়ে লাফিয়ে বলি, মা আমি তোমাকে ভালোবাসি। ফেসবুকে মায়ের জন্য ভালোবাসার গল্প লিখে ভাসিয়ে ফেলি। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি করি সেটা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আমরা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি মা তখন কি খাচ্ছেন, কার সঙ্গে খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন।

আমরা অসুস্থ হলে মা আমাদের জন্য পারে না জীবনটা দিয়ে দিতে। তখন মা আমাদের জন্য কী করে কিংবা কেমন করে সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। কখনো খেলায় কিংবা অন্য কোথাও আহত হলে মায়ের অবস্থা কেমন হয়, সেটাও আমরা নিজেরাই দেখেছি। কিন্তু আমরা মায়ের অসুস্থতার সময় কী করেছি? কখনো জানতে চেষ্টা করেছি মা তুমি কেমন আছো?। কখনো কি জানতে চেষ্টা করেছি মা তোমার শরীর ভালো আছে?। মায়েরা শরীরে অসুস্থতা নিয়েও রান্না করে যান আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় খাবারটি। ঘরের সব কাজ নিশ্চুপে করে যান। বুঝতে দেন না কষ্ট হচ্ছে কিংবা আর পারছেন না।

আমরা যখন বুঝতে শিখি কিংবা একটু বড় হয়ে যাই, তখন আর মাকে মূল্যই দিই না। মায়ের সঙ্গে পরামর্শ কিংবা কোনো ধরনের কথা শেয়ারও করি না। একটা সময় নিজেরা মায়ের ভুল ধরতে শুরু করি। মাকে ধমক দিতে শুরু করি। আমরা বাবাকে যেমন-তেমন মান্য করলেও মাকে কখনোই মান্য করি না (অনেকেই করেন)। মা আমাদের কিছু বারণ করলেও আমরা সেটা তেমন তোয়াক্কা করি না। অথচ মায়ের সেই আদেশ, উপদেশ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্র্ণ ছিল সেটা পরবর্তী সময়ে ঠিকই টের পাই।

আমাদের সমাজে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা আজ মাকে ভালোবাসতে চাইলেও পারছে না। কারণ আজ তাদের মা নেই। যখন ছিল তখন হয়তো সেই সুযোগটি পাইনি। আজ সময় এসেছে কিন্তু মা নেই। কিন্তু যাদের আছে তারা মাকে কতটুকু সম্মান, ভালোবাসা দিচ্ছি। সমাজে এমনও কিছু সন্তান রয়েছে যারা তার জন্মদাত্রী মায়ের শরীরে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না। হয়তো ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে এই সম্মানটুকু দিচ্ছে মাকে। আমার কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে না পারলেও অসম্মান কেন করব?

শারীরিক কিংবা মানসিক সবভাবেই মাকে আমরা অনেকেই এখন আঘাত করে থাকি। এটাই কি প্রসব ব্যথা সহ্য করে আপনাকে-আমাকে জন্ম দেওয়ার পুরস্কার? শিশুকালে আমাদের লালনপালন করার পুরস্কার? নিজে না খেয়ে আমাদের খাওয়ানোর পুরস্কার?

এত কিছুর পরও সন্তানের জন্য মায়ের মনে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। আমরা অপরাধ করলে মা সব সময় আমাদের ক্ষমা করে দেন। মা শুধু চান আমরা যেন ভালো থাকি এবং সুন্দর থাকি। মা যদি না ফেরার দেশেও চলে যান সন্তানের মঙ্গল কামনা সেখান থেকেও করবেন। কারণ তিনি তো মা। সত্যি বলতে, আমরা যতটাই বড় হচ্ছি, ততটাই মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। এমনও সন্তান রয়েছে যাদের মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে রাত কাটান। এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী আছে?

আসুন মাকে লোকদেখানো ভালো না বেসে প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি। মাকে অন্তত তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই। অবহেলা আর অযত্নে যেন কোনো মা দিন না কাটান সেদিকে নজর রাখি। নিজের মায়ের পাশাপাশি, অসহায় মায়েদেরও খোঁজ রাখি। বৃদ্ধাশ্রমে যেন কোনো মাকে রাত কাটাতে না হয়, সে প্রত্যাশা রাখি।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। ইমেইল : [email protected]

 


আরও খবর



নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য, ধ্বংস হচ্ছে তরুন ও যুব সমাজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। প্রাপ্যতা সহজলভ্য হওয়ায় কৌতুহলবশত না বুঝে মাদ্রকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মরন ফাঁদ নামক মাদকের নীল ছোবলে যুক্ত হচ্ছে তরুন সহ যুব সমাজ। তরুন ও যুব-সমাজ নিয়ে চরম উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছে অভিভাবকরা। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে দ্রুত মাদক কারবারীরা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করায় উদ্বেগের শঙ্কা আরো বাড়িয়েছে। 

অপরদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা পুরো উপজেলাকে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের অন্ধকার জগতে। বর্তমানে হাত বাড়ালেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাই মদ, দেশি মদ, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, তাড়ি, বুপ্রেনরফিন, এম্পল পাওয়া যাচ্ছে। তবে গাঁজা ও ইয়াবার বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চিহ্নিত কিছু মাদক কারবারীদের আটক করে জেলে দিলেও আইনের ফাঁক দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে এসে আবার দেদারছে শুরু করে মাদকের কারবার। চিহ্নিত মাদক কারবারীদের ও মাদকের সম্রাটদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন উপজেলার সচেতনমহল।  

আবার মাদকের সঙ্গে সঙ্গে জুয়া, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডও বেড়েছে সমান তালে। এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই মাদকের কারবার করে হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার কারণে স্থানীয়রা তাদের ভয়ে কোন প্রতিবাদও করতে পারে না।    

তথ্যঅনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পূর্বদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও উত্তর দিকে আদমদীঘি এবং সদর থানা। আবার দক্ষিণ দিকে নওগাঁর আত্রাই, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকা ও পশ্চিম দিকে মান্দা উপজেলা। এমন সুযোগে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার, বগারবাড়ি মোড়, ভান্ডারগ্রাম বাজার, বিলকৃষ্ণপুর বাজার, ডুবাগাড়ী বাজার, কালিগ্রাম ইউনিয়নের ভেটি এলাকা, আবাদুপুকুর বাজার, করজগ্রাম, রাতোয়াল বাজার, পাশের বগুড়ার আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকা, একডালা ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো, বড়গাছা ইউনিয়নের বড়গাছা বাজার, মালশন-গিরিগ্রাম বাজার, শলিয়া, ভাটকৈ বাজার, বিভিন্ন আশ্রয়ণপল্লীর এলাকা, সদর উপজেলার লোহাচ’ড়া বাজার, গহেলাপুর বাজার, সিম্বা বাজার এলাকা, রাণীনগর বাজার এলাকার সুইপার পট্টি (মেথর পট্টি), রেলস্টেশন ও রেলগেইট এলাকা, হাতিরপুল এলাকা, বটতলী মোড়, চোরপট্টীপাড়া, সদর ও আদমদীঘি উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা চকউজির স্কুলের পুরো এলাকা, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ স্থানগুলো বাহাদুরপুর গ্রামের বাজার, হাসপাতাল মোড়, ত্রিমোহনী হাট, মন্ডলের ব্রীজ, কুবরাতলী মোড়, এনায়েতপুর মোড়, কুজাইল বাজার, গোনা ইউনিয়নের বেতগাড়ী বাজার, গোনা বাজার এলাকা, আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা প্রেমতলী মোড়, পাগলীর মোড়, রেললাইন সংলগ্ন নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়, মিরাট ইউনিয়নের মিরাট বাজার, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা বান্দাইখাড়া এলাকাসহ পুরো উপজেলাতেই নতুন করে জমে উঠেছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচা-কেনা।

উপজেলার ভেটি গ্রামের কালাম সরদার (ছদ্মনাম) বলেন, বেশকিছুদিন যাবত ভেটি গ্রাম এলাকাটি অনেকটাই মাদকমুক্ত ছিলো কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের সোর্স সেজে চিহ্নিত মাদক কারবারীরা পুনরায় মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। কোন কিছু বলতে গেলেই পুলিশের ভয় ও হয়রানী মূলক মামলার ভয় দেখায়। মাঝে মধ্যেই সম্ভবত সিভিল পোষাকে পুলিশের লোকেরা এসে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে যায়। হাতের কাছে পাওয়ায় মাদকের নীল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুন ও যুব সমাজ। সন্তানেরা বড় হয়ে গেলে আর কত চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে। অথচ পুলিশ বাহিনী ইচ্ছে করলেই নিমিষের মধ্যে এলাকা থেকে মাদকের দৌরাত্ম কমাতে পারে।     

কুবরাতলী এলাকার এক মাদককারবারী মো. রইচ উদ্দিন (ছদ্মনাম) বলেন থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকার মাদক কারবারীদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে। যারা সেই চুক্তিতে সম্মত দিচ্ছে তারা দেদারছে ব্যবসা করছে আর যারা চুক্তির বাহিরে তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটক করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্যের চলাচলের পথ রোধ না করা পর্যন্ত মাদকের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যারা প্রভাবশালী যারা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে আসছে তারা প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা ব্যবসা করলেও পুলিশ তাদেরকে দেখতে পায় না।  অথচ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চাইলেই উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে শক্তিশালী ভ’মিকা রাখতে পারে। 


পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ জাহিদুর রহমান (জাহিদ ফকির) মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে উপজেলার মধ্যে পারইল ইউনিয়ন মাদকের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তি ইউনিয়ন হওয়ার কারণে এই ইউনিয়ন দিয়েই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি মাদক চালান হয়। আগে গোপনে হলেও বর্তমানে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পারইল বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়। ইদানিং এই ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থানই মাদক বিস্তারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ মাদক নিয়ে কথা বলে কোন লাভ হয় না। মাদক নিয়ে করা ওই অভিযোগ কিংবা কথাগুলো শুধুমাত্র রেজুলেশনের খাতার পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে বাস্তবায়ন করে না কেহই। তাই মাদক নিয়ে আর কোথাও কোন কথা বলতে কিংবা তথ্য দিতে ইচ্ছে হয় না। 

তিনি আরো বলেন, যখন দেখি ইউনিয়নের তরুন-যুবকরা বুঝে না বুঝে চোখের সামনে মাদকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তখন খুব কষ্ট হয় খুব খারাপ লাগে। অনেকবার মাদকের বিস্তাররোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা বাস্তবায়ন করার মতো কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় পরিষদে আমার কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছি। যদি রক্ষকরা ভোক্ষক হয় তাহলে সেই সমাজ থেকে মাদকের দৌরাত্ম বন্ধ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।  

থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীদের বলেন, থানা পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিনিয়তই মাদকের বিস্তার রোধে এর সঙ্গে জড়িতদের আটক করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করছি। এছাড়া জনবল সংকট থাকার কারণে ইচ্ছে করলেও মাদকের বিষয়ে বেশি কার্যক্রমও পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই উপজেলায় মাদকের বিস্তারকে জিরো টলারেন্সে আনতে আমরা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম মোবাইল ফোনে বলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো মাদকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত তেমন কোন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। তবে মাঝে মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মাদকের কারবার কোথায় হচ্ছে সেই তথ্যগুলো আমাকে জানালে আমি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।   


আরও খবর