Logo
শিরোনাম

কু‌মিল্লা দেবীদ্বারে সাংবাদিক বিল্লালের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুমিল্লার দেবীদ্বারে কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় জেলার সাংবাদিকরাও এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দেবীদ্বার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চুলাশ উত্তর বাজারের মরিচাগামী সড়কের উপরে সুমনের চায়ের দোকানের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।


এ ঘটনারই জের ধরে ওই দিন রাত আটটায় সন্ত্রাসীরা আরেক দফায় তার বাড়িতে যেয়ে আবারো হামলা করে ভাংচুর চালায়। এসময় এহামলায় সাংবাদিক বিল্লালসহ তার ভাই জালাল, জালালের স্ত্রী রীনা বেগম, পুত্র শাহজাহান ও আহত সাংবাদিকের চাচা সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

আহতরা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আহত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে হবে। এছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা ও তাদের সুরক্ষার দাবি তুলে দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার বলেন, মাঠে নেমে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো সাংবাদিক হত্যা, হামলা, নির্যাতনের সুবিচার আদায় করতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও কী সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের দৃশ্য চোখে পড়ে না?


‘নির্যাতিত সাংবাদিকদের অপরাধ তারা সত্য সংবাদ সংগ্রহের কাজে নেমেছিল। বাক স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্র মানবতার জন্য সাংবাদিকরা লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা মার খাচ্ছি। আজো গণমাধ্যমকর্মী আইন পাশ করা হয়নি। ওয়েজবোর্ড পাশ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সব ক্ষেত্রেই আমরা পদে পদে নির্যাতিত হচ্ছি সব ক্ষেত্রেই। প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, কয়েক দিনের মধ্যেই সাংবাদিক নির্যাতনকারী, হেনস্থাকারী, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন।’

দৈনিক আমাদের দেবীদ্বার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এটিএম সাইফুল ইসলাম। মাসুম বলেন, আমরা সব সাংবাদিকরাই নির্যাতিত হচ্ছি, অথচ হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা হতে পারে না। একজন সাংবাদিককে কোপানো হবে, আবার আদালতে গিয়ে হুমকিও দেওয়া হবে, এটা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য লজ্জা। আমি মনে করি, বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার সময় এসেছে। সাংবাদিক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হোক।

সমাবেশে উপস্থিত থেকে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকা ও বিএমএসফ'র কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি মো. শাহিদুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের কন্ঠের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. জহিরুলর ইসলাম মারুফ ও দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার মো. আবদুল আলীম ।


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আজকলের খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. শরিফুল আলম চৌধুরী, দৈনিক গণকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. আবদুল জলিল, এশিয়ান টিভির মো. নেছার উদ্দিন, দৈনিক আমাদের কন্ঠের দেবীদ্বার প্রতিনিধি মহি উদ্দিন স্বপন ও লোকমান তালাশীসহ আ‌রো অ‌নে‌কে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন না সুনিল নারিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে যেভাবে জ্বলে উঠেছেন সুনিল নারিন, তাতে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন। নারিনকে কি আগামী জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমি সেই সিদ্ধান্তের (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


আরও খবর



রাজশাহীতে আমের বাজার আমশূন্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

চলতি বছর ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের দুইদিন অতিবাহিত হলেও রাজশাহীর বৃহত্তম আমের বাজার বানেশ্বর হাট আমশূন্য রয়েছে। ১৫ মে থেকে রাজশাহী জেলায় ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে। সরেজমিনে বানেশ্বর হাটে গিয়ে দেখা মেলেনি আমের।


সারাদেশে রাজশাহীর আমের কদর রয়েছে। রাজশাহীর অর্ধেক এলাকার আম কেনা-বেচা হয় পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে। কিন্তু গাছে তেমন আম না থাকায় এখনো আম কেনা-বেচা শুরু হয়নি বানেশ্বর হাটে। অলস সময় কাটাচ্ছে আড়ৎদাররা। সারাদেশ থেকে আসা পাইকারি আম ক্রেতারাও কেউ আসেনি।


পুঠিয়ার শিবপুরের আমচাষী জমসেদ আলী বলেন, বাগানে আম নেই। গাছে কিছু মুকুল দেরিতে এসেছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আম আসেনি। গতবারের তুলনায় অর্ধেক আমও হবে না এবার।


আমের আড়তদার মকবুল হোসেন জানান, অলস বসে আছি। বাগানগুলোতে আম নেই বললেই হয়। কেউ আম পারেনি। পাইকারি ক্রেতারাও নাই। ২৫ মে এর আগে এখানে আম তেমন পাওয়া যাবে না।


বানেশ্বর হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বানেশ্বরে আমের বাজার এবার শুরু হয়নি। বাগানগুলোতে আম নাই। তবে এবার আমের দাম বেশি হবে।

পুঠিয়া উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা স্মৃতি রানি সরকার বলেন, এবার আমের অফ ইয়ার। গাছে কিছু মুকুল এসেছিল। তাতে আমের গুটি আসেনি। গতবারের এক তৃতীয়াংশ আমও নাই বাগানগুলোতে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির দাম আরও বেড়েছে। প্রচ- গরমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে। অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গরমের প্রভাব পড়েছে সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে সব সময় ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল।এ ছাড়া বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মাহমুদ খান বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচ- গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

 

শনির আখরা বাসিন্দা ইমরান বলেন, যেভাবে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে কেনাই মুশকিল। সাধারণ মানুষ মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েই চলছে। অথচ এক-দেড় বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। সাধারণ ক্রেতার কথা ভেবে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। এত দাম দিয়ে সাধারণ নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।


আরও খবর



নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনধি:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্বোধনের মাধ্যমে ৮ মে দুই দিনব্যাপী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু হয়েছে।

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই মটোকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় মেলা শুরু হয়। মেলা শুরু হলে সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গবেষণাপ্রেমীদের জমজমাট পদচারণায় গবেষণা মেলায় যেন- প্রস্তরের বুক চিরে গবেষণার ফুল ফুটেছে।

বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গবেষণা মেলায় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন-এটি আমাদের মটো। আমাদের মটো শুধু শব্দমাত্র নয়, বরং এটি একটি ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা সকলে মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় আলস্য পরিত্যাগ করে প্রত্যয় বাস্তবায়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


গবেষণা মেলার গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে

তিনি আরও বলেন, গবেষণা যে শুধু পদোন্নতির জন্য নয়, ব্যক্তিগত নথিতে আটকে রাখার বিষয় নয় সেই ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। গবেষণা মেলার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করছি। গবেষণা মেলার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে ভালো ও উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হবে উপাচার্য ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কার্যক্রমকে প্রকাশের জন্য নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।’

তরুণ গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গবেষণা মনস্কতা তৈরি করি যাতে উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় শামিল হই।

গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিটিআই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার উদ্বোধন করে উপাচার্যসহ অন্যরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র অংশ গ্রহণ করেছে। লটারির মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সেসব স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি স্টলে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী, গবেষকরা তাদের উপস্থাপনা দিয়ে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে দিচ্ছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন (৯ মে) প্রথম পর্ব শুরু হবে বেলা ১১ টায়। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী ১৪টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে ও দ্বিতীয় পর্বে তথা বেলা আড়াইটা থেকে আরও ১৩ টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, বুয়েট।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪