Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে আটকের পর পুলিশের নির্যাতনে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগ স্বজনদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ঃ

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় পুলিশের নির্যাতনে রবিউল ইসলাম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাত থেকে দফায় দফায় রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে এ সময় চার পুলিশ সদস্যকে আহত হন।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গতকাল রাতে ‌আটকের পর রবিউল ইসলামকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহত যুবকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে হারাটি ইউনিয়ন এর হীরা-মানিক নামক স্থানে একটি চড়ক মেলায় জুয়াবিরোধী অভিযানে হিরামানিক গ্রামের বাসিন্দা প্রহ্লাদ চন্দ্র (৪০) ও কাজীর চওড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম খানকে (২৫) আটক করে পুলিশ। এ সময় রবিউল হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাত ১২টার দিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রাত সোয়া সাড়ে টার দিকে সদর হাসপাতালেই রবিউল মারা যান। এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম খানের চাচা,মা বলেন, রবিউল ইসলাম খান জুয়া খেলায় জড়িত নন। রবিউল বিবাহিত। রবিউল আট থেকে আটক মাসের কন্যাসন্তানের জন্য গ্রামীণ বৈশাখী মেলায় খেলনা কিনতে যান।

ঔ মেলায় গেলে লালমনিরহাট সদর থানার এসআই হালিমের নেতৃত্বে পুলিশ রবিউলকে আটকের পর জোর করে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা দোষী পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ে আসে। তার অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়। তবে এর অল্প সময়ের মধ্যেই ওই ব্যক্তি মারা যান। 

রবিউল এর মৃত্যুর বিষয়ে সদর হাসপাতালে উপস্থিত লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এডিশনাল এসপি রবিউল আলম জানান অসুস্থ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান।

শুক্রবার পৌনে দুটায় অবরুদ্ধ সড়কের মহেন্দ্রনগরে সদর থানার ওসি শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে রবিউল হত্যার সাথে জড়িত সবার বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় রবিউল এর স্বজনরা। 

এদিকে বিকাল সোয়া তিনটায় রবিউলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় পোস্টমর্টেমের নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রবিউলের স্বজনরা।

পুলিশ সূত্র জানায় পুলিশ এসল্ট ও পুলিশ ভাংচুরের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

এপ্রিল মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহের পর আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশবাসীকে দিয়েছে স্বস্তির বার্তা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবারও (১ মে) দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ১৯৮৯ এর পর গত ৩৫ বছরে এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে আজও তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

টানা তাপপ্রবাহ ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই অসহনীয় উত্তাপ ও প্রচণ্ড গরমে কষ্টে আছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। হিট স্ট্রোকে ঘটেছে অনেক মৃত্যুর ঘটনা।


আরও খবর



২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিএনপি-জামায়াতের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল। 


কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।



শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। 


আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। 


বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।



তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় এক শিক্ষকের ১০ বছর কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।


আরও খবর