Logo
শিরোনাম

লেবাননে ইসরায়েলের সিরিজ হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিডি টুডেস রিপোর্টর:

লেবাননের দক্ষিণে বিভিন্ন গ্রামে সিরিজ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

এসব গ্রামের মধ্যে কাফার কিলা এবং আল-বায়াদাও আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর আল জাজিরার।  



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ১৮ সেনা আহত হয়। এরপরেই লেবাননে পাল্টা হামলা চালালো ইসরায়েল। 


তবে লেবাননে চালানো ইসরায়েলের সর্বশেষ এই হামলা কী পরিমাণ হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।


গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজারের বেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ হাজার শিশু। 



এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ না করলে তারাও ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে। 



আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

আজ ২৫ শে মার্চ (সোমবার) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদকে সভাপতি এবং সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।


মাভাবিপ্রবি শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র সংগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মো: আওরঙ্গজেব আকন্দ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার আজাদ খান ভাসানী।


সংগঠনের বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. সুখী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক চৌধুরী, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান রাব্বি, আশরাফুল আলম হৃদয়, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল মিয়া, উপ-কোষাধ্যক্ষ 

মো. সজিব শেখ, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. জাহিদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তী খান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. হৃদয় হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবিদ ফেরদৌস মিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাইস আক্তার সারা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকমিজানুর রহমান ইমন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুভ, কার্যনির্বাহী সদস্য, তুষার আহমেদ,অনিক ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান রাকিব, ইসরাত জাহান এ্যাথি, ইসরাত জাহান ঈশা, সাদিয়া জান্নাত, সিদ্দিক আল ছোয়াদ, মো. নাঈম ইসলাম, নুসরাত জাহান অর্পি, তাসনিম খান অয়োমী, সিফাত,নাসিমুল হাসনাত চৌধুরী আকিব, আমজাদ হোসেন, জিসান রহমান, ফারিয়া আক্তার, মো. ইমরান হোসেন, নোমান হাসান।


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, "আজ শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি এর নির্বাহী কমিটি (২০২৪-২৫) এর যাত্রা শুরু হলো। এ কমিটি করার পিছনে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা স্যারদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ আমাদের সংগঠনের উদ্ধোধনী যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম কমিটি আহ্বায়ক কমিটি করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে সংগঠনের পূর্ণ রূপ দিতে এবং নতুন নেতৃত্ব বের করে আনার জন্য এই নির্বাহী কমিটির প্রয়োজন। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা করা। সকলের মাঝে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া শহিদদের ঘটনা নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ ও সঠিক তথ্য প্রচার করা। সত্যনিষ্ঠ গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাসের জ্ঞান বিস্তার করা। ইতিহাস ও সংগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক সমাজে স্থান দেয়া। আমি চাই, এ সংগঠন আজকের পর থেকে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ধারা অব্যাহত রাখুক। সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চায় এগিয়ে যাক।"

প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুল হাসান বলেন, "জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা এবং সত্যকে জানানোই আমাদের লক্ষ্য। এর দ্বারা সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য উৎসাহ যোগাবে ইন শাহ আল্লাহ।

প্রসঙ্গত জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতিকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে “শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি”র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।"


আরও খবর



সবজির দাম বাড়তি, সংকট সয়াবিনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদের পর থেকে বাজারের প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি। আগে ছিল ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে গিয়েও সবজির বাজার বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বেসরকারি চাকরি করা মো. বুলবুল জানান, ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন তিনি। বলেন, ঈদের আগে সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে দাম প্রায় ২০ টাকার মতো বেড়ে গেছে।

এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন, চাল ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা রাজীব আহসান বলেন, কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কাটন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে তেল পাবেন।


আরও খবর



আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসককে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার পরিচালকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে এমডি পদমর্যাদায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

পর্ষদ বিলুপ্ত নিয়ে গভর্নর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাগত ও পরিচালনা পর্ষদের দুর্বলতার কারণে বিপুল পরিমাণের মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিপুল অঙ্কের শ্রেণিকৃত বিনিয়োগ, বড় অঙ্কের পুঞ্জিভূত লোকসান, ব্যবস্থাপনায় চরম অস্থিরতা ও প্রবল তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি, ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মাধ্যমে আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজে পর্ষদ সম্পৃক্ত থাকায় জনস্বার্থে বিদ্যমান পর্ষদ বাতিল করা হলো।

অপর এক আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৭ সালে আল-বারাকা ব্যাংক নামে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালে ওরিয়ন গ্রুপ মালিকানায় এসে এর নাম দেয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক।

ওই সময় ব্যাংকটিতে বড় ধরনের অনিয়ম ঘটায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৬ সালে প্রশাসক বসায় এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক নামকরণ করা হয়। মালিকানায় আসে মালয়েশিয়া ভিত্তিক আইসিবি গ্রুপ।


আরও খবর



নাটোরের উত্তরা গণভবনে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পারিজাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরের উত্তরা গণভবনে ফুটেছে দুষ্প্রাপ্য পারিজাত ফুল। তাপদাহ উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে গণভবনে আগন্তুক দর্শনার্থীদের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে পারিজাত। ফুলকে কেন্দ্র করে হাজারো মৌমাছির গুঞ্জন মোহনীয় করে তুলেছে চারপাশ।

পারিজাত এদেশে দুষ্প্রাপ্য ফুল। উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথ ধরে হ্রদ পেরিয়ে গেলেই শতবর্ষী দুটো পারিজাত ফুলের গাছ। প্রায় সাত মিটার করে উচ্চতায় অনেকখানি এলাকা জুড়ে ছাতার মত ছড়িয়ে আছে চির সবুজ এ গাছ। ঘন পাতার আচ্ছাদনে গাছের নীচে সূর্যের আলো আর তাপ পৌঁছনোর উপায় নেই। কান্ড আর ডালপালা অশোকের মত। সবুজ পাতা তৈরী হওয়াটা অনেক মনোরম আর বৈচিত্রের।

কলার মোচার মত হরিণ রঙের কচি পল্লব অনেক আকর্ষণীয়। পথ পরিক্রমায় পল্লবের এক একটি মোচা রকমারী রঙ ছড়িয়ে শত শত পাতায় পরিণত হয়। আর ফুল? রক্ত রাঙা এক একটা ফুলের মধ্যে প্রায় শতটি ছোট ছোট ফুলের সমাহার। ফুলে গন্ধ নেই। তবে আছে পরাগ রেণু আর অনেক মধু। পারিজাতের এক একটি ফুলে অসংখ্য মৌমাছির সমাবেশ। দুটো গাছ জুড়ে হাজারো ফুলে মৌমাছির দল সারাদিন ব্যস্ত মধু আহরণে। ছায়া, ফুল আর মৌমাছি এ এলাকাকে স্বর্গীয় করে তুলেছে। তাই হয়তো পারিজাতকে বলা হয় স্বর্গীয় ফুল!

বিপ্রদাশ বড়ুয়া গাছপালা তরুলতাতে বলেন, দেবর্ষি নারদ স্বর্গ থেকে পারিজাত নিয়ে এসেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ এ ফুল তাঁর পত্নীকে উপহার দেন। পারিজাত ফুল নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী নার্গিসকে চিঠিতে লিখেছিলেন, তোমার যে কল্যাণ-রুপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, সে রুপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। আর নজরুল সংগীতে বললেন, পরো কুন্তলে, ধরো অঞ্চলে/ামলিন প্রেম-পারিজাত। রবি ঠাকুর বললেন, পারিজাত কেশর নিয়ে ধরায় শশী, ছড়াও কী এ/ ইন্দ্রপুরীর কোন রমণী বাসর প্রদীপ জ্বালো

উত্তরা গণভবনের হিসাব সহকারী নুর মোহাম্মদ জানান, উত্তরা গণভবনে মোট ছয়টি পারিজাত ফুলের গাছ থাকলেও প্রবেশ পথ পেরিয়ে বাম পাশের দুটি গাছ রাজার আমলের। বয়স দুইশ বছর পেরিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন দুষ্প্রাপ্য এ গাছের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চেষ্টা চলছে চারা তৈরীর।

ঈদ আর ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী গণভবন পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন পারিজাতের সৌন্দর্যে। এ তাপদাহে পারিজাত যেন দুদন্ড শান্তির পরশ। পারিজাতের সৌন্দর্যে প্রতিবছর এ সময়ে গণভবনে আসি। ফিরে ফিরে আসি- বললেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা।

নাটোরের জেলা প্রশাসক ও উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসমা শাহীন বলেন, তাপদাহ উপেক্ষা করে হাজারো দর্শনার্থী  প্রতিদিন ঈদের ছুটিতে গণভবন পরিদর্শনে আসছেন। দর্শনার্থীদের জন্যে বসন্তের ফুল পারিজাত শান্তির হয়ে উঠেছে।  



আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




থানায় মামলা নিতে গড়িমসি

কদমতলীতে চাঁদার দাবিতে বিএনপি নেতাকে উলঙ্গ করে হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

রাজধানীর কদমতলীতে চাঁদার দাবিতে বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবিরকে উলঙ্গ করে সন্ত্রাসী হামলা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাঈদ (৩২), সাদেক (৩০), ওমর ফারুক (৪০)কে এজাহার নামীয় এবং  অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে হামলার শিকার হুমায়ুন কবির। 

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ৩০ মার্চ রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কদমতলীর মুজাহিদ নগর এলাকার বাসিন্দা বিএনপি নেতা হুমায়ুনের বাড়ীর কেচি-গেইটের তালা ও সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে বেদম মারধর করে এলাকার ২০/২৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এসময় তাকে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এসময় তার নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদাদ দিতে অস্বীকার করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি পিটিয়ে এবং ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে  স্ত্রী- সন্তানসহ শতশত মানুষের সামনে তার পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে উলঙ্গ এবং তার মুখের দাড়ি ছিড়ে ফেলা হয়। 


এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ৩০ হাজার টাকা তাদেরকে দিয়ে বাকী টাকা পরে দেয়ার কথা বলে স্বামীকে প্রাণে রক্ষা করে হুমায়ূনের স্ত্রী। বাকী টাকা না দিলে তাকে হত্যাসহ মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এদিকে মুজাহিদনগর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানায়,ঈদের আগের দিন রাতে সন্ত্রাসীরা হুমায়ুনের বাড়িতে ঢুকে শতশত মানুষের সামনে ও তার স্ত্রী- সন্তানের সামনে তাকে বেদম পিটিয়ে তাকে উলঙ্গ করা হয়েছে এবং তার দাঁড়ি ছিড়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

উল্লেখ্য- হামালার শিকার বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ও তার ছেলে আওয়ামীলীগ শাসনামলে একাধিক মামলার আসামি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও হামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এ বিএনপি নেতা হুমায়ুন।

এদিকে থানায় কেন অভিযোগ করেছে হামলাকারীরা ১০/১৫ টি মোটরসাইকেল নিয়ে হুমায়ুনের বাড়ির সামনে মহড়া দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) শাফায়াত হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫