Logo
শিরোনাম

মহামারির আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু !

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু। যা নিয়ে উদ্বেগের অন্ত নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এ বছর মহামারি আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গুজ্বর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ রোগী ঢাকা শহরের। বাকি ২৩ শতাংশ ঢাকা জেলা এবং দেশের বাকি বিভাগ, জেলা ও উপজেলার।

গত ২৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ সম্মেলন করে চলতি বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতার বিষয়ে জানান দেয়। ডেঙ্গু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয় হাসপাতালগুলোকে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে শক সিনড্রোমে

শক সিনড্রোম মানে হচ্ছে- ডেঙ্গু রোগীর রক্তচাপ অতিদ্রুত কমে যায়, রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রোগীর পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে পড়ে, রোগী অচেতন হয়ে পড়েন।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বাসা-বাড়ির বারান্দা, ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা ফুলের টব বা পানি জমে মশা বংশ বিস্তার করতে পারে- এমন পাত্র পরিস্কার রাখা, মশারি টানানোসহ সার্বিক সচেতনতা অবলম্বন করতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে এ বছর রাজধানীতে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এ মাসের ১৯ দিনেই মারা গেছে ৮৭ জন। অন্য বছরের চেয়ে এবার রোগীদের শারীরিক জটিলতা বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকার দুই মেয়র।

শনির আখরার বাসিন্দা ইমরান হোসেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন মুগদা হাসপাতালে। শয্যা না থাকায় তাদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। এ হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগীই মুগদা, যাত্রাবাড়ী, মানিকনগর বা দনিয়া শনির আখরার বাসিন্দা। হাতেগোনা কয়েকজন ঢাকার বাইরের। শুধু মুগদা হাসপাতালেই গত ১৫ দিনে ভর্তি হয়েছেন হাজার রোগী।

মুগদা হাসপাতাল পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গতবছরের চেয়ে এবার রোগীদের অবস্থা বেশি খারাপ।

বর্ষা শুরুর আগেই ডেঙ্গুর ভয়াবহতার জন্য দুই সিটি করপোরেশনকে দুষছেন নগরবাসী।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গত ১৫ জুন থেকে ৪ মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করেছে। আর ১৫ জুলাই থেকে তিনমাসব্যাপী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এডিসের লার্ভা পেলে জরিমানা করাসহ নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে এসব ব্যবস্থা আগের বছরগুলোর মতোই।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও (ডিএনসিসি) এডিস মশা দমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লার্ভিসাইডে জোর দিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এডিসের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে, মশক নিধন কার্যক্রমে উত্তর সিটির সঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দল যুক্ত করেছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম-জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে।

তবে নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি দুই সিটি করপোরেশনকেই।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো, জোবায়দুর রহমান দাবি করেন, আমরা আগে ফগিং ও লার্ভিসাইড এ সমান গুরুত্ব দিতাম কিন্তু এখন লার্ভিসাইড এ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সকালে লার্ভিসাইড প্রয়োগের সময় দুই ঘণ্টা এগিয়ে ভোর ৬টায় নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কীটতত্ত্ববিদদের এবং বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে এডিস মশা দমনে পদ্ধতিগত অনেক পরিবর্তন এনেছি। আমরা উত্তর সিটির এলাকার জন্য ১০ জনের পিআর টিম তৈরি করেছি এবং রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। পাঠ্যসূচিতে ডেঙ্গুর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি এবং স্কুলে শিশুদের মাঝে ড্রয়িং বই বিতরণ করা হবে বিনামূল্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, আবহাওয়ার যে ধরন সে অনুযায়ী এখন ডেঙ্গুর সংক্রমণ দ্রুত হারে বেড়ে যাবে। সঠিকভাবে এডিস মশা দমন করতে না পারলে ডেঙ্গুতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বিগত বছরগুলোর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, গত ২৩ বছরে ডেঙ্গু নির্মুল তো দূরের কথা, নিয়ন্ত্রণই করতে পারিনি। এজন্য আমাদের পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ দরকার এবং এর ওপর গবেষণা দরকার। এজন্য স্থানীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যায়। যা দেশে এক বছরে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি রোগী মৃত্যুর রেকর্ড। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত তহবিল পাওয়া না গেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মাসিক রেশনের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে। ০৭ মার্চ ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।

আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। সংস্থাটির মতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার। জরুরি নতুন তহবিল না পেলে তা প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’

এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

স্ক্যালপেল্লি বলেন, এখন আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডব্লিউএফপির খাদ্যসহায়তাই হলো তাদের বাঁচা আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য। এ সংকট আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর



বাসে তুলে অটোরিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফের বিরুদ্ধে মো. লিটন মিয়া (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে এবং তাকওয়া পরিবহন বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা।

৪ মার্চ সকালে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার মানুষ। দুপুর ১০টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান। এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাদখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‍গতকাল বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্বামীকে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা জোর করে তুলে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা পর দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।

নিহতের ছোট ভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করল, অথচ মামলা করার পরামর্শ দেন সড়ক দুর্ঘটনা। এ জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১২টার দিকে সবাই সড়ক থেকে সরে যান।

অটোরিকশা চালক মহসিন বলেন, তাকওয়া পরিবহনের বাসের স্টাফরা করতে পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই। একজনকে খুন এটা তো তাদের জন্য খুবই সামান্য কাজ। ওরা বাসে নারীদের ধর্ষণ করতে পারে। শিশুদের ধর্ষণ করতে পারে। আমাদের একজন চালককে তুলে খুন করল অথচ মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

ইমাম পরিবহনের চালক মোকলেছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সড়কে আটকে ছিলাম। হাজার-হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা খুবই কষ্ট পেয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাকওয়া পরিবহন বন্ধ না করলে ওরা সড়ক ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল সড়কে।


আরও খবর



দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

শতাংশ দাম কমছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের। শনিবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে। ২৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে।

এছাড়া ব্যাকবন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে, যোগ করেন আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই ৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মা খাদিজা (রাঃ) অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় খানকা শরীফে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, বরুড়া আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত মা খাদিজা (রাঃ) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। নবুয়্যতপ্রাপ্তি ও ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দুর্গম ও কণ্টকময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে কঠিন মুহূর্তে তিনি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সবসময় মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে ছিলেন। উঁচু হেরা পাহাড়ের গুহার সেই বন্ধুর পথ তিনি প্রতিদিন পাড়ি দিতেন শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য।"


সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন,"বিশেষত, ইসলামের বাণী প্রচারের সূচনালগ্নে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  যখন কাফিরদের অত্যাচার ও বিদ্বেষের  তীরের আঘাতে জর্জরিত, তখন প্রেরণার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আত্নত্যাগের জন্যই তিনি লাভ করেছেন, 'উম্মুল মু'মিনীন' বা 'বিশ্বাসীদের মা' এর মহৎ মর্যাদা। তিনি নিজের সব ধন-সম্পদ ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কদম মুবারকে উৎসর্গ করেন। এত ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলামের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করেছেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাত্র ২৩ বছরে তৎকালীন বর্বর আরব জাতিকে ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত একটি মানবিক জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন অগণিত ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। ১৪০০ বছর আগে তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আজও তার অনুসরণে বিশ্ববাসী পাচ্ছে মুক্তির দিশা। আজ ইসলামের পতাকা বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে। আর এ অনন্য সফলতার পেছনে হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনাদর্শ থেকে আমরা প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তার যেমন শিক্ষা পাই, তেমনি আদর্শ মা এবং দাম্পত্য জীবনকেও রঙিনভাবে সাঁজাতে পারি। যে দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দেদীপ্যমান নিদর্শন আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।

মাহ্ফিলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বৃষ্টির কল্যাণে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান সমান। তবে রান রেটে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গ্রুপে তৃতীয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এক পয়েন্ট পাওয়ায় স্বস্তি থাকলেও লম্বা সময় পর আইসিসি ইভেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ। অবশ্য সাফল্য বিবেচনায় খালি হাতে ফিরলেও টাকার হিসাবে কোটিপতি তারা।

টুর্নামেন্টে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন সাত নম্বরে। তবে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরে গেলে বাংলদেশ আট দলের প্রতিযোগিতা শেষ করবে ৬ নম্বরে থেকে। তাতে করে প্রাইজমানিও খানিকটা বেশি পাবে।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরও বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে কোটি টাকা আয় করছে। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর অংশগ্রহণ ফি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার, যা প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দলের কোষাগারে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা চলে এসেছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে যদি ইংল্যান্ড শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যায়। সেটি হলে বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থান অর্জন করবে, ফলে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের বদলে শান্তরা পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি।

গতবারের চেয়ে প্রাইজমানি এবার ৩৬ লাখ ডলার বেশি দেওয়া হবে, ৫৩ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে প্রাইজমানি ৬৯ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। ৯ মার্চ ফাইনাল শেষে ট্রফির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নরা পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা। রানার্সআপদের ব্যাংকে ঢুকবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ২১২ টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া প্রত্যেক দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা) করে।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫