Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:



সারাদেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ তালিকা দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব, কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে।


এর আগে সোমবার (১০ জুন) সারাদেশে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।



গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে পুরো কক্সবাজারে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চান হাইকোর্ট। 


কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। 


এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।




আরও খবর



একটানা বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে এখন খুলনা ও কয়রার দিকে অবস্থান করছে। 


ঘূর্ণিঝড়টির পুরো প্রভাব শেষ হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে এমন বৃষ্টি আরও ভোগান্তিতে ফেলেছে নগরবাসীকে।


সোমবার (২৭ মে) বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে অফিসগামী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 


পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ফুটপাতের দোকানিরাও সমস্যায় পড়েছেন। তারপরও এক ধরনের যুদ্ধ করেই গন্তব্য যেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।


এর ওপর রাস্তায় স্বাভাবিকের তুলনায় যানবাহন অনেকটা বেশি দেখা গেছে। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই অনেক জায়গায় আরেক ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট।



রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে। বাড্ডা, বিজয় সরণী, শেওড়াপাড়া, জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, তালতলা, মগবাজার ও খিলক্ষেতসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে অফিসগামী মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।


সড়কে চলাচলরত অনেকের ছাতা থাকলেও শরীরের নিচের ও পেছনের অংশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে। কারও পুরো শরীর ভিজে একাকার। অনেকেই কাকভেজা শরীরেই চলছেন অফিস কিংবা গন্তব্যে।


এদিকে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যান যাত্রীরা। তবে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে চলাচল ফের শুরু হয়েছে।


আরও খবর



বিনিয়োগ ছাড়াই গাজীপুরে ভাওয়াল রিসোর্টের মালিক বেনজীর

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

বিডি ডেস্ক রিপোর্ট:


গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে ইজ্জতপুর সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। 


সেখানকার নলজানী গ্রামে তিন দিকে বনভূমিবেষ্টিত এই রিসোর্ট এলাকার মানুষের কাছে ‘বেনজীরের রিসোর্ট’ নামে পরিচিত। যদিও কোনো প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক হয়েছেন বেনজীর আহমেদ।


অভিযোগ রয়েছে, ৫০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ভাওয়াল রিসোর্টের ৩.৬৮ একর জমি বন বিভাগের। আর নিরীহ কৃষকদের অন্তত ৪০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টটি।


সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। কীভাবে প্রভাববলয় ব্যবহার করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই গাজীপুরের রিসোর্টটির মালিক বনে গেছেন বেনজীর। শুরুতে ১৯ একর জমি নিয়ে রিসোর্টটির কাজ শুরু হলেও সাবেক আইজিপি (তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের-ডিএমপি কমিশনার) বেনজীরের ক্ষমতার জোরে প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন রিসোর্ট মালিকরা।


জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট, ম্যাক্স ভ্যালিসহ সাতটি রিসোর্টের অবৈধ দখল করা জমি উদ্ধার করলেও ভাওয়াল রিসোর্টের জমি উদ্ধারে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিল না বন বিভাগ।


এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভাওয়াল রিসোর্টের করা এক মামলায় এ জমির বিষয়ে একটি স্টে অর্ডার ছিল।


 এ কারণে বন বিভাগ চাইলেও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে ২০১৭ সালেই জেলা জজ আদালতের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে আপিল করে। 


গত বৃহস্পতিবার এর রায় হয়েছে। আদালত আপিলটি গ্রহণ করে স্টে অর্ডারটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। তবে প্রক্রিয়া শুরু করতে কয়েক দিন লাগতে পারে।


শুধু বন বিভাগ নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিও দখল করে করা হয়েছে ভাওয়াল রিসোর্ট। এর মূল প্রবেশপথের এক একরের বেশি জমি কাপাসিয়া-শ্রীপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. সিরাজুল হক এবং তার মায়ের। 


প্রবীণ এ মুক্তিযোদ্ধা নিজের জমি উদ্ধারে নানাজনের কাছে দিয়েছেন ধরনা। তবে প্রভাবশালী বেনজীরের কারণে তারা ২০১৩ সালের পর থেকে ওই জমির ধারেকাছেও ভিড়তে পারেননি। বেনজীরের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর চাউর হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন ডা. সিরাজুল। 


জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।


এলাকাবাসী জানান, ভাওয়াল রিসোর্টের মূল উদ্যোক্তা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ পারটেক্স। ব্যবসায়িক গ্রুপটির উদ্যোক্তা প্রয়াত এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজীজ রাসেল বর্তমানে এটির মালিকানায় রয়েছেন।


 ২০১৩ সালে গাজীপুর সদরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামের কয়েকজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে এর সঙ্গে আরও কিছু সরকারি খাসজমি দখল করে নেন তারা।


এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ২৮ মে বেনজীর আহমেদকে চিঠি দেয় দুদক। ৬ জুন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করা হয়েছে। 


তবে দুদকের ওই চিঠি গুলশান-১ এর ১২৬ নম্বর সড়কে বেনজীরের বাসার অভ্যর্থনা কক্ষে পড়ে আছে। দুদকের চিঠি ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই ৪ মে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়েন সাবেক আইজিপি।


আরও খবর



নিচে নামছে ঢাকার পানির স্তর, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image



সদরুল আইন:


মানুষে দালানে গিজগিজ ঢাকা। জনসংখ্যার বিস্ফোরণে যাদুর শহরে এখন দমবন্ধ পরিস্থিতি।


 অন্যদিকে দখল দূষণে বিপন্ন আশপাশের সব নদী আর খাল। তাই দুই কোটিরও বেশি মানুষের পানির জোগান দিতে ভূগর্ভস্থ পানিই হয়ে উঠেছে একমাত্র অবলম্বন।



যদিও পাইপে সরবরাহ করা পানির মান নিয়ে অভিযোগ আছে রাজধানীর অনেক এলাকার বাসিন্দাদের। তারা জানান, বাসা-বাড়িতে যে পানি সরবরাহ করা হয়, সেই পানি দুর্গন্ধ হওয়ায় ব্যবহারের উপযোগী নয়। 



তাই ওয়াসা থেকে পানি নিয়ে নিজেদের প্রযোজন মেটান তারা।


ঢাকা ওয়াসা প্রতিদিন উৎপাদন করে ২৯০ কোটি লিটার পানি, যার মাত্র ৩০ শতাংশের মতো মিলছে ভূ-উপরিভাগের উৎস থেকে। চাহিদার বাকি সবটাই তুলতে হয় মাটির নিচ থেকে।


 এ ছাড়া শিল্প কারখানা, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও অনুমোদনহীন অনেক নলকূপ দিয়েও বিপুল পানি তোলা হচ্ছে প্রতিদিন। এতে দ্রুত নামছে পানির স্তর।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা বলছে, প্রতি বছর দুই মিটার করে নেমে যাচ্ছে ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর।


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকার পানির স্তর ৩ দশমিক ৯ মিটার করে প্রতি বছর নেমে যাবে। 


আমরা যদি এখনই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ এটি গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ছয় মিটারে।’


ঢাকার ৬২ শতাংশ ভূমিজুড়েই এখন ভবন আর ভবন। ইট কংক্রিটের জঞ্জালের কারণে পানি শোষণ করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে এ শহর। এ ছাড়া জলাধারের সংখ্যাও কম। তাই বর্ষায় দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও ঢাকায় তা পূরণ হয় না। 



এ ছাড়াও বরন্দ্রে অঞ্চল, চট্টগ্রাম আর ঢাকার আশপাশের কিছু শহরেও নিচে নামছে পানির স্তর। তাই এখনই সচেতন ও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অদূর ভবিষ্যতে রাজধানীবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।


 


আরও খবর



যাত্রাবাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image



বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:


রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলার বাসা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।


নিহতরা হলেন শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।



পুলিশ জানায়, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের লাশ দেখতে পায়। 


তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে মশারির ভেতর স্ত্রী ফরিদার লাশ পাওয়া যায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।


পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা প্রাথমিকভাবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার ভেতর সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে।



যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় ওৎ পেতে থাকা খুনিরা তাকে প্রথমে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তারা দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। 


বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। শফিকুরের কাছে বাসার প্রধান ফটকের চাবি পাওয়া গেছে। বাসার পেছনের দেয়াল–লাগোয়া একটি ভবন বেয়ে এই ভবনে ওঠা যায়। 


বাসার ভাড়াটেরা দাবি করেছেন, তারা কেউ বিষয়টি টের পাননি।


আরও খবর



২৯০ আসনে এগিয়ে মোদির এনডিএ, রাহুলের ইন্ডিয়া ২৩৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

বিডি টু ডে  রিপোর্ট:


ভারতের লোকসভার নির্বাচন শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোট গণনা চলছে। প্রাথমিক গণনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে। অপরদিকে রাহুলের ইন্ডিয়া ২৩৭ আসনে এগিয়ে।



মঙ্গলবার (৪ জুন) কংগ্রেসের মুখপাত্র পাওয়ান খেরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা একেবারে শুরুর দিকের ফল। দিনের পরের অংশে আমরা আরও ভালো ফল দেখতে পাব।


দেখা গেছে, কংগ্রেস এককভাবে ৯৭ আসনে এগিয়ে আছে। ইন্ডিয়া জোট বুথফেরত জরিপের আভাস পার করতে সক্ষম হয়েছে।


বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রাথমিক তথ্যে এগিয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদি। অমেঠী কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। অন্যদিকে গান্ধীনগরে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ।


হামিরপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর, কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন অখিলেশ যাদব। তবে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড় দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।


শনিবার (১ জুন) বুথফেরত জরিপের বলা হয়, মাত্র ১৪১-১৬২টি আসন পেতে পারে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যা ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ২১ আসনে এগিয়ে থেকে বিজয়ের আশা করছে।


এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের দাবি, প্রায় ১০০ কোটি নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৬৪ লোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।


দেশটিতে সরকার গঠনে লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্য ২৭২ আসনে বিজয়ী হতে হবে। দেশটিতে সাত দফার ভোটে প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে একে একে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট গণনা করা হচ্ছে।


এদিকে বিজয় উদ্‌যাপনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে জমকালো আয়োজনের অপেক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা।


গত আড়াই মাস ধরে মোট সাত দফায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশটির প্রধান উৎসব সাধারণ নির্বাচনে ভোট হয়েছে। 


এবারের নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটার ছিলেন প্রায় ৯৭ কোটি। এদের মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন।


আরও খবর