Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:



সারাদেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ তালিকা দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব, কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে।


এর আগে সোমবার (১০ জুন) সারাদেশে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।



গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে পুরো কক্সবাজারে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চান হাইকোর্ট। 


কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। 


এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।




আরও খবর



যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা উদ্বুদ্ধ করবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন‍্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩শ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট ৩শটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর প্রদান করা হয়।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।


আরও খবর



মাঠে মাঠে আগাম ধান কাটার উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের তাড়াশে আগাম জাতের ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তাড়াশে বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২২হাজার ৪৯৩ হেক্টর। আর চাষ হয়েছে হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে নতুন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। আবার উপজেলার নওগাঁ, বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম, কাটাগাড়ী, বিনসাড়া, মান্নান নগর ও রানী হাট সহ বিভিন্ন হাট- বাজারে শুরু হয়েছে ধান ক্রয়-বিক্রয় ।

তাড়াশ উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন ধান কাটারি, প্রতি মণ ১২৫০ থেকে ১৩২০ ও মিনিকেট ১০৫০থেকে ১১৩০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন ধান কাটা শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোতে চালের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধানকুন্টি গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতে ধান কাটা শুরু করেছি। প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় আমরা লাভের আশা করছি। হাট-বাজারে ধানের দামও ভালো। এ বছর ধান বিক্রি করে শুধু খরচই না, বেশ লাভও হবে। এছাড়া খড়ের দামও অনেক। খড় বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এরপরে কে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

আলি শরিয়তির বিশ্লেষণ :

গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে বারবার। কিন্তু সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সম্ভবত দ্রুতই নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানাবে। এর আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের ডালপালা, কাণ্ড, পাতা এগুলো আগে ছাঁটাই করে, এরপরে মূল বা গোড়া ধরে টান দিবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করবে।

২.

পাকিস্তানের সামরিক শাসনামলে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এবং বাংলাদেশের সামরিক শাসনামলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা নয়। গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটেছে, একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করেছে। যা মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৭ নভেম্বরের ধারাবাহিকতা। ফলে এই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে ধীরে ধীরে নিষিদ্ধ করবে, নির্যাতন করবে এবং নির্মূলের পথে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ আরও কিছু নতুন দৃশ্য দেখছে। যা বাংলাদেশ আগে কখনও দেখেনি।

প্রায় নয় মাস চলে গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি। এখন কেন করছে বা করবে? এর পেছনের কিছু ঘটনা আছে। ইউনূস সরকার আগামী বছরের (২০২৬) সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিবে বলে জানিয়েছে। সরকার চায় এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিক। সরকারের পরিকল্পনা হলো আওয়ামী লীগকে নির্যাতনের মাধ্যমে এতটা কোণঠাসা করে রাখা হবে যে, নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাবে না, কর্মী সমর্থক খুঁজে পাবে না। এরকম হা-পা বেঁধে নির্বাচনে আনতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট, তারা এরকম নির্বাচনে অংশ নিবে না এবং আরও একধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে যে, ড. ইউনূসের অধীনে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিবে না। প্যাঁচটা এখানেই লেগেছে।

ড. ইউনূস চায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক। বিএনপি তো আসবেই। জামায়াত এবং এনসিপি তো আছেই। এই নির্বাচনী খেলায় ৪/৫টি আসন আওয়ামী লীগকে দিয়ে, ৮০/৮২টি আসন বিএনপিকে দিয়ে, কিছু খুচরা দলকে ১/২টা করে আসন দিয়ে, জামায়াতে ইসলামকে ৬০/৬১টি এবং এনসিপিকে ১৫১ এর বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতিয়ে আনবেন। নির্বাচন হবে একদম ১৯৭৯ সালের স্টাইলে। ষণ্ডা গুণ্ডা হোন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা! 

এনসিপি সরকার গঠন করবে। সংরক্ষিত নারী আসন মিলিয়ে আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর সংবিধান সংশোধনের জন্য জামায়াতের শর্তহীন পূর্ণ সমর্থন পাবে। নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস হবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

কিন্তু আওয়ামী লীগ এই ফাঁদে পা দেয়নি। আর এজন্যই আওয়ামী লীগের উপরে নিষিদ্ধ সহ মামলা-হামলা-গ্রেফতার-চাঁদাবাজি ইত্যাদি নির্যাতনের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে। 

কিন্তু এরপরে কে?

৩.

জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, জাপা (মঞ্জু), গণ আজাদী লীগ, ন্যাপ (মোজাফফর) প্রভৃতি দলগুলোকেও ক্রমান্বয়ে নিষিদ্ধ করা হবে।

তৃতীয় ধাপে কিছু সামাজিক ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে, বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। যেমন- উদীচী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ইত্যাদি থাকবে এই তালিকায়।

চতুর্থ ধাপে নিষিদ্ধ করবে চব্বিশের আন্দোলনকারী স্টেকহোল্ডার কিছু রাজনৈতিক দলকে। যেমন- সিপিবি, বাসদ, জাসদ(আম্বিয়া-প্রধান), জাসদ (রব) এরকম কিছু রাজনৈতিক দল ও দলগুলোর ছাত্র-যুব সংগঠন। গণসংহতি আন্দোলনও ২০১৩ সালের গণজাগরণে সম্পৃক্ত হবার কারণে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত হতে পারে।   

এভাবে প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী দলগুলোকে মোটামুটি নিষিদ্ধ করে ফেলবে। দেশে তখন একচেটিয়াভেব সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বাম্পার ফলন ফলবে।

ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনের আলাপ থেমে যাবে। এগুলো ঘটবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। এরপরে সুবিধামতো সময়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে ১৯৭৭ সালের আস্থা ভোটের মতো একটা নামকাওয়াস্তে গণভোট আয়োজন করে সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে নিবে। মনে রাখতে হবে ড. ইউনূস কিন্তু জিয়াউর রহমানের রাজনীতিই ফলো করতেছে। তাছাড়া বিএনপির প্রথম গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাছাড়া সারাবিশ্বে সামাজিক ব্যবসার মতো ফটকা ব্যবসার তাবিজ বিক্রি করা ব্যক্তি তিনি। তাই এই মহাজনকে অতটা কাঁচা রাজনীতিক মনে করলে বোকামী হবে।

এভাবেই ইউনূস সাহেব তাঁর শাসনকাল চালিয়ে যাবেন।

৪.

যত সহজভাবে এগুলো লিখলাম বাস্তবেও কী এরকম সহজেই সবকিছু ঘটে যাবে? সহজেই ঘটে যেতে পারে আবার কঠিনও হতে পারে। তবে ঘটবেই, এটা নিশ্চিত। কারণ এই সরকার ওয়ান ইলেভেনের এক্সটেনশন সরকার। ২০০৭ সালে ইউনূস সাহেব মাত্র দুই বছরের জন্য প্রধান উপদেষ্টা হবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তাহলে কীভাবে বিশ্বাস করেন এখন তিনি ২ বছরেই ক্ষমতা ছেড়ে দিবে? পাগলের প্রলাপ, অসম্ভব। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান এবং আধুনিক বাংলাদেশের জাতির পিতা হতে চান। মাহাথির মোহাম্মদ ও লী কুয়ানের মতো। 

একটু আগে বলেছি কঠিনও হতে পারে। এই কঠিন হবে বিএনপির বাধা দিলে এবং তারা একপর্যায়ে বাধা দিবেও। তারেক রহমান ফিরলে ইউনূসের লক্ষ্য পূরণে সমস্যা হতে পারে, তারেক নিজেই দেশের ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির প্রধান নেতা বনে যেতে পারেন; এবং আরও কিছু আশঙ্কায় ট্র্যাভেল পাশ থাকা সত্ত্বেও তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেয়নি ইউনূস। এরপরেও বিএনপি কান্নাকাটি করবে, নির্বাচন চাইবে, রাজপথে নামবে। কিন্তু ইউনূসের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবে না। এই বাস্তবতা বুঝেই বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে কথা বলেছে। বিএনপির জোটসঙ্গী দলগুলোকে নানারকম সুবিধা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ইউনূস কাছে টেনে নিবে। মাঠে থাকবে বিএনপি একা। ইউনূস সরকার সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়াকে সিনিয়র মন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ দূত বানাবে। এতে বিএনপি আরও একধাপ দুর্বল হবে।

তাছাড়া নির্বাচনে জিতে নিশ্চিত মন্ত্রী ও এমপি হবে, এরকম বিএনপি নেতা ছাড়া বাদবাকী একজন বিএনপির কর্মীও নির্বাচন চায় না। কারণ তাদের আয় রোজগার এখন নির্বিঘ্নে চলছে, তাই তারা নির্বাচন নিয়ে একদমই আন্দোলনে আগ্রহী না। পরে যদি চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাটের ক্ষেত্রগুলো ফসকে যায়! বিএনপি পড়বে মহাফ্যাসাদে।

তাছাড়া বিএনপিপন্থী সাবেক ও বর্তমান আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে নিজেদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন, সবাই চেয়ারে বসেছেন। তাহলে নির্বাচনের দরকার কি? 

তবুও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর যদি বেশি শক্তি দেখাতে চায়, তাহলে বিএনপির কপালেও নিষিদ্ধ হবার তকমা জুটবে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকার জন্য যা করা দরকার সবই করবে। ফ্যাসিবাদ, জ#ঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যবাদ কাকে বলে ও কত প্রকার তা দেখিয়ে দেবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারলে, বিএনপির মতো কিংস পার্টিকে নিষিদ্ধ করা ইউনূসের কাছে এক্কা দোক্কা খেলার মতোই পানিভাত।

৫.

জমায়াতে ইসলাম মহাখুশি, কারণ তাদের নেতাদের ফাঁসি ও কারাদণ্ডের বদলা নিতে পারছে, ইউনূস এটা নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। দ্রুতই বিচার কার্য শুরু ও শেষ করবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও জাতীয় নেতাদের ফাঁসির রায় দিয়ে দিবেন। সুযোগ পেলে ফাঁসি কার্যকরও করবেন। এটাই জামায়াতের একমাত্র চাওয়া। এনসিপি এমনিতেই ক্ষমতায় আছে এবং যদি পাতানো নির্বাচন হয় তাহলে নিশ্চিত ক্ষমতায় যাবে।

ইউনূসের উদ্দেশ্য পরিস্কার। পাতানো সংসদ নির্বাচনে এনসিপিকে ক্ষমতায় বসানো, অথবা গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিয়ে নেওয়া। দুটি প্রক্রিয়ার যেকোন একটি বাস্তবায়ন করেই তিনি ক্ষমতা উপভোগ করবেন।

তবে হ্যাঁ, একটা বাধা আছে। এখন পর্যন্ত এটাই বড় বাধা। সামরিক বাহিনী তথা জেনারেল ওয়াকার। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ, রাখাইনে মানবিক করিডোর, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস স্থাপন, US Military Corps এর ঘাঁটি স্থাপন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেওয়া ইত্যাদি যখন সম্পন্ন হতে থাকবে ততদিনে সামরিক বাহিনী ও জেনারেল ওয়াকার সাহেবও নতজানু হয়ে যাবেন। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তাঁর তেমন কিছু করার থাকবে না। কারণ সময় গেলে সাধন হবে না।

শেষকথাঃ

যে কোন মূল্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় থাকবেন। এজন্য প্রধান বাধা আওয়ামী লীগ, তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে ক্রমান্বয়ে বাধা হতে পারে এরকম অন্যান্য দলগুলোও নিষিদ্ধ করবে। গণতন্ত্রের কবর রচনা করে বাংলাদেশকে বানাবে পাকিস্তানের মতো ধ্বংসপ্রায় একটি রাষ্ট্র তথা অস্তিত্ব!


আরও খবর



শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়াচ্ছে কিশোরী মা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রগতির পর গত দুই বছরে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হারও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর বড় কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের কারণে সন্তান প্রসব করার সময় রক্তক্ষরণ বেশি হয়, যে কারণে তাদের মৃত্যুর হার বেশি। এছাড়া কিশোরী মায়েদের বিভিন্ন সমস্যার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, এখনো বিশ্বে প্রতি বছর তিন লাখ নারী গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর পরই মারা যান। বছরে ২০ লাখ শিশু জন্মের প্রথম মাসেই মারা যায়। আর মৃত শিশু জন্ম নেয় ২০ লাখেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি এমন শিশু মারা যায়, যার মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেটারনাল অ্যান্ড পেরিনেটাল ডেথ সার্ভিলেন্স অ্যান্ড রেসপন্সের (এমপিডিএসআর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ধারাবাহিকভাবে মাতৃমৃত্যু কমলেও গত দুই বছর আবার বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৬২ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল লাখে ৭৫। ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৯০-এ পৌঁছেছে। গত বছর মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে লাখে ১১ জন নারী মারা যান।

যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের হিসাব অনুসারে, প্রতি ১ লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৩৬ জন মা মারা যান। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১৫৩। ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৬৮।

নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ১৯ বছর বয়সের আগে প্রতি হাজারে ১১৩ কিশোরী গর্ভধারণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোরী অবস্থায় বিয়ে ও গর্ভধারণের হার বেড়ে যাওয়ায় মাতৃমৃত্যু বাড়ছে।

লালকুঠি মা ও ‍শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. শাহনাজ খান বলেন, যে হারে মা ও নবজাতক মৃত্যুহার কমার কথা ছিল তা কমছে না। যারা অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করে তাদের নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যেমন খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে পানি আসা। মায়েদের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি দেখা দেয়। কিশোরী অবস্থায় বিয়ে হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ। যে কারণে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এমপিডিএসআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সন্তান জন্মদানের সময় যেসব নারী মারা গেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে এ হার ছিল যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৮ ও ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যেসব নারী মারা যান তাদের বেশির ভাগই প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একটি বড় অংশ আবার গ্রাম পর্যায়ের। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে তারা গর্ভবতী নারী ও গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকেন না। প্রসবের আগে চিকিৎসকের অধীনও হন না। তাদের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রচার-প্রচারণাও আরো বাড়ানো জরুরি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। গত বছর প্রকাশিত বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদনে (২০২৩) বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ২৫ জন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২১।

অন্যদিকে এক মাসের কম বয়সী নবজাতকের মৃত্যুহার হঠাৎ বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে প্রতি এক হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২০ জন মারা যায়। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬। পাঁচ বছর আগে ছিল ১৫। এছাড়া ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ জন। ২০২২ সালে ছিল ৩১ জন। পাঁচ বছর আগে ছিল আরো কম, ২৮ জন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, নিরাপদ পানি না পাওয়া ও ভেজালযুক্ত খাবারে কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যু বাড়ছে। এছাড়া শিশু ও মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। যে কিশোরী গর্ভধারণ করে স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজের ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকে না। তাদের পুষ্টির অভাব থাকে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

২০২৩ সালে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত ইউনিসেফের জরিপে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ নারীর বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশে প্রায় ৪8 লাখ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু খর্বাকৃতির শিকার। যার অন্যতম কারণ মায়ের অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ, ‍শিক্ষা ও পুষ্টির অভাব। বাংলাদেশে ১২ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের মধ্যে ১২ শতাংশেরই ওজন তাদের বয়স ও উচ্চতার তুলনায় কম। এছাড়া বাংলাদেশে গর্ভবতী নয় এমন প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার পুষ্টিহীনতা রয়েছে।


আরও খবর



এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই।

তিনি আরও লিখেছেন, দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন প্রবীণ উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি না। পরবর্তীতে দল হিসেবে লীগকে নিষিদ্ধ করার কয়েকটা আইনি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রাথমিক ঐকমত্য হয় যে, ফ্যাসিবাদ দূর করতে ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আমরা সেগুলো অনুসরণ করব। গতকাল বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।

তিনি লিখেছেন, পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই। আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সঙ্গেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!

আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, উক্ত দলের প্রধানকে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না। কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এই প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।

প্রসঙ্গত, মাহফুজ আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর