Logo
শিরোনাম

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ‘হৃদয়ের কথা’ লিখিত জানাতে বললেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর পক্ষে মৌখিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘এগুলো তো হৃদয়ের কথা বললেন। 



এটাই লিখিতভাবে দিন।’ আজ বুধবার (১২ জুন) আদালত অবমাননার বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য ছিল।



আজ সাত আইনজীবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘সাত আইনজীবীর মধ্যে একজন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন। অন্যরা এখানে উপস্থিত আছে। এরা সবাই আদালতের সম্মান ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। 


এ ছাড়া আইনজীবী (বার) ও আদালতের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক হোক, তা আমরা চাই না। কারণ, দিন শেষে আমরা এই আদালতে এসেই দাঁড়াই। তাই আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’



এ সময় প্রধান বিচারপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের উদ্দেশে বলেন, ‘যে কথাগুলো বললেন, তা তো আপনাদের হৃদয়ের কথা। কিন্তু আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে কি কোনো লিখিত জবাব দিয়েছেন?’


তখন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড লিখিত দেওয়া হয়নি।’ তখন প্রধান বিচারপতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের লাইন ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল….’ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের হৃদয়ের কথা যা বললেন, তাই লিখিত আকারে দিন। আমরা বিষয়টি দেখব।’


একপর্যায়ে আপিল বিভাগ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এই মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন এবং এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।


আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এর আগে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।



যে সাত আইনজীবীকে সর্বোচ্চ আদালত তলব করেন, তারা হলেন—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল (প্রয়াত) এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।


আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা গত বছরের ২৯ আগস্ট বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করেন।



আরও খবর



অটিজম শিশুদের ভিশন রেহেবিলটেশন অপ্টোমেট্রিস্টদের ভূমিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে সমাজের সর্বোচ্চ শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও বড় অংশটিরই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু (যাদেরকে অটিজম রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশু বলা হয়) এর সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অটিস্টিক শিশুরা যে রোগে আক্রান্ত হয় তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Autism spectrum disorder (ASD) বলে। যে কারণে এই শিশুদের অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশু বলা হয়। এই রোগটিতে আক্রান্ত মানুষদের ব্রেইনের বিভিন্ন অংশ অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষের ব্রেইন এর বিভিন্ন অংশের মতো কাজ করে না। মানুষের ব্রেইন এর বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করে মানুষের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করার জন্য। যেমন আপনার বাড়িতে আগুন লাগলে আপনার ব্রেইন এর একটি অংশ নির্দেশ প্রদান করে যে বিপদ আসন্ন; সুতরাং, এখনই এই বাড়ি ত্যাগ করতে হবে। কোন কোন অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে ব্রেইনের অংশটি আসন্ন বিপদের কথা যাচাই করতে পারে না। কিংবা ঘরে পরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে নিজের মাথায় আঘাত করলে ব্যথা পাবে বা নিজের ক্ষতি হবে তা বুঝতে অক্ষম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অংক করতে ভালো বাসে পরীক্ষায় ১০০ এর মধ্যে সবসময়ই ১০০ পায় অথচ খুবই সাধারণ বিষয় ফেল করে। কোন-কোন শিশু শুকনো খাবার পছন্দ করে কিন্তু ভেজা খাবার কখনও হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখে না।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে বিশ্বে জন্মানো প্রতি ১৬০ জন শিশুর মধ্যে জন শিশুর মধ্যে অটিজম রোগের উপসর্গ পাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যেখানে এই রোগ নির্ণয় অনেক সহজ লভ্য সেখানে প্রতি ৬০ জন শিশুর জনের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ পাওয়া যায়। উন্নত দেশগুলোতে অটিজম রোগ সম্বন্ধে জানার জন্য ব্যাপক গবেষণা শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এই রোগ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদের জানার পরিধি এখন খুবই সীমাবদ্ধ যে কারণে এখন পর্যন্ত এই রোগ নিরাময়ের জন্য পূর্ণ কোন চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নি। তবে বৈজ্ঞানিকরা এই রোগের কিছু উপসর্গ সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন। শিশুর জন্মের পরে যত দ্রুত এই উপসর্গ গুলো নিরাময় করার চেষ্টা করা যাবে তত দ্রুত এই সমস্যাগুলো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যাগুলো স্থায়ী রূপ নিবে যখন সেই সমস্যাগুলো আর নিরাময় করা সম্ভাবনা অনেক কমে আসবে।

আটিজম আসলে কী?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি) হলো, মস্তিষ্কের পার্থক্যের কারণে সৃষ্ট এক ধরনের অক্ষমতা। এটি মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ততাকে বোঝায়। অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সামাজিক আচরণে ক্ষেত্রে দুর্বল পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণত কম সক্ষম হয়ে থাকে। মানসিক সীমাবদ্ধতা একই কাজ বারবার করার প্রবণতা থেকে এদেরকে শনাক্ত করা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু টিবিএসকে বলেন, "অটিজম হলো একটি জেনেটিক সমস্যা। জন্মের ১৮-৩৬ মাসের মধ্যে একটা বাচ্চা যখন অন্য বাচ্চার সাথে মিশে না, অন্য বাচ্চারা যে ধরনের আচরণ করছে তেমন করে না, কথা বলে না- একই কাজ বারবার করে, কোনো কিছুর ওপর আসক্তি থাকলে সেটা নিয়ে থাকে সবসময়এসব লক্ষণ দেখলে ডাক্তার দেখাতে হবে। দ্রুত শনাক্ত (আর্লি ডিটেকশন) করা গেলে অটিজম আক্রান্তদের কাজে লাগানো যায়।"

"আগে মনে করা হতো, অটিজম আক্রান্তদের বুদ্ধি নেই। কিন্তু সেটি ঠিক নয়। অটিজম আক্রান্তদের বুদ্ধিমত্তা ভালো থাকে, কিন্তু আচরণগত সমস্যা থাকে। সে কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অটিজমে আর্লি ডিটেকশনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেসব কাজে বুদ্ধির দরকার হয়, সেসব বাদে অন্যান্য যেকোনো কাজ তারা করতে পারে। সেজন্য আর্লি ডিটেকশনে আরও গুরুত্ব দিতে হবে," যোগ করেন তিনি।

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) একটি মানসিক এবং বিকাশগত অক্ষমতা যা প্রায়শই শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ এবং আচরণে প্রভাব ফেলে। তবে, অনেকেই জানেন না যে অটিজম শিশুদের মধ্যে চোখের সমস্যাও হতে পারে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বাধা সৃষ্টি করে। যদিও অটিজম শিশুদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি থেরাপি রয়েছে, ভিশন রেহেবিলিটেশন এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । অটিজম শিশুদের দৃষ্টি সমস্যা সাধারণত অবহেলিত হয়। অনেক সময় এই শিশুদের চোখের সমস্যা তাদের আচরণগত শিক্ষাগত উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে।

অটিজম শিশুদের মধ্যে ভিশন সমস্যার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। সাধারণ সমস্যা গুলোর মধ্যে রয়েছে:

·         স্ট্রাবিসমাস: চোখের বল একত্রে কাজ করতে না পারা।

·         অ্যাম্বলিওপিয়া: চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।

·         কনভারজেন্স ইনসাফিসিয়েন্সি: চোখের বল একত্রে কাজ করতে অক্ষমতা।

এই সমস্যাগুলো অটিজম শিশুদের জন্য আরও জটিল হয়ে ওঠে কারণ তারা প্রায়ই তাদের সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে সক্ষম হয় না। অটিজম শিশুদের দৃষ্টি সমস্যা সাধারণত অবহেলিত হয়। অনেক সময় এই শিশুদের চোখের সমস্যা তাদের আচরণগত শিক্ষাগত উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে। অপ্টোমেট্রিস্টরা ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে তাদের জন্য সঠিক চিকিৎসা থেরাপি প্রদান করতে পারেন।

অপ্টোমেট্রিস্টরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক যারা চোখের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দক্ষ। অটিজম শিশুদের ক্ষেত্রে, অপ্টোমেট্রিস্টরা বিশেষ দৃষ্টি থেরাপি এবং রেহেবিলটেশন প্রোগ্রাম প্রয়োগ করতে পারেন, যা শিশুদের চোখের সমস্যা মোকাবেলা করতে সহায়ক।

অনেক এএসডি শিশুদের ভিশন থেরাপির প্রয়োজন হয়। অপ্টোমেট্রিস্টরা এই থেরাপি প্রদান করে থাকেন, অটিজম শিশুদের জন্য দৃষ্টি থেরাপির প্রভাব শুধুমাত্র তাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক নয়, বরং তাদের সামগ্রিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক দৃষ্টিশক্তি শিশুদের শিখতে, খেলতে এবং সামাজিকভাবে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে, যা তাদের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার এএসডি শিশুদের ভিশন সমস্যা

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডিশিশুদের মাঝে বিভিন্ন ধরণের ভিশন সমস্যা দেখা যায়। তারা অনেক সময় চোখের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়ে, চোখের সংযোগ স্থাপনে অক্ষমতা এবং ফোকাস করার সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যা তাদের দৈনন্দিন কাজ, শিক্ষা এবং সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

অপ্টোমেট্রিস্টদের ভূমিকা:

. ভিশন এসেসমেন্ট:
অপ্টোমেট্রিস্টদের প্রথম কাজ হলো এএসডি শিশুদের ভিশন এসেসমেন্ট করা। এই এসেসমেন্টের মাধ্যমে শিশুর চোখের কার্যকারিতা, ফোকাসিং ক্ষমতা, চোখের গতিবিধি এবং চোখের মাংসপেশির কাজকর্ম যাচাই করা হয়। এর মাধ্যমে দৃষ্টির কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।

. ভিশন থেরাপি:
অনেক এএসডি শিশুদের ভিশন থেরাপির প্রয়োজন হয়। অপ্টোমেট্রিস্টরা এই থেরাপি প্রদান করে থাকেন, যা শিশুদের চোখের মাংসপেশি এবং চোখের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিশন থেরাপি মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা সম্ভব হয়, যা শিশুর দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে।

. চশমার প্রয়োগ:
প্রয়োজনে এএসডি শিশুদের চশমা ব্যবহার করতে হতে পারে। অপ্টোমেট্রিস্টরা শিশুদের দৃষ্টিশক্তি অনুযায়ী সঠিক পাওয়ারের চশমা নির্ধারণ করেন, যা তাদের দৃষ্টির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

করণীয়:

. নিয়মিত চেক-আপ:
এএসডি শিশুদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা উচিত। এর মাধ্যমে চোখের কোন সমস্যা থাকলে তা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

. ভিশন রেহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম:
বিভিন্ন ভিশন রেহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের সাথে শিশুদের যুক্ত করা উচিত। এই প্রোগ্রামগুলো তাদের চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

. পারিবারিক সহযোগিতা:
এএসডি শিশুদের ভিশন রেহেবিলিটেশনে পরিবারের সদস্যদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বাড়িতে চশমা পরিধান করানো, ভিশন থেরাপির অনুশীলন করানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

. শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা:
এএসডি শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় শিশুদের সঠিক ভিশন রেহেবিলিটেশন সম্ভব।

বাংলাদেশে এএসডি শিশুদের জন্য কার্যকর ভিশন রেহেবিলিটেশন নিশ্চিত করতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত:

·         সচেতনতা বৃদ্ধি: এএসডি এবং এর সাথে সম্পর্কিত ভিশন সমস্যার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

·         প্রশিক্ষিত অপ্টোমেট্রিস্ট: ভিশন রেহেবিলিটেশনের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ অপ্টোমেট্রিস্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা জরুরি।

·         প্রতিষ্ঠানিক সহায়তা: সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় ভিশন রেহেবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করা যেতে পারে।

·         গবেষণা উন্নয়ন: এএসডি এবং ভিশন সমস্যার উপর গবেষণা বৃদ্ধি করা এবং নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা উচিত।

বাংলাদেশে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) শিশুদের ভিশন রেহেবিলিটেশন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অপ্টোমেট্রিস্টদের মাধ্যমে সঠিক ভিশন রেহেবিলিটেশন কার্যক্রম পরিচালিত হলে এই শিশুদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই, ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) শিশুদের ভিশন রেহেবিলিটেশন একটি জটিল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপ্টোমেট্রিস্টদের সহযোগিতায় এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এএসডি শিশুদের জীবনে দৃষ্টিশক্তির সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব এবং তাদের জীবনকে সহজ করা যায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এএসডি শিশুদের জন্য একটি সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।


লেখক: ডক্টর মো: মিজানুর রহমান , পিএইচডি , দৃষ্টি বিজ্ঞান

অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরম্যানেজমেন্ট এন্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটি , মালয়শিয়া


আরও খবর



ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:


ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।



এদিকে, আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।


 দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে আরও অগ্রসর হতে পারে।


আরও খবর



জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কালো তালিকায় ইসরায়েল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:

যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের রক্ষায় ব্যর্থ দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর তালিকায় ইসরায়েলকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। তবে বিশ্ব সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি। খবর এএফপির।

যদিও জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে আগামী ১৮ জুনের আগে বার্ষিক ‘শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত’ বিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশের সম্ভাবনা নেই। 

তবে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাড আরডান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে আরডান বলেন, ‘এই লজ্জাজনক সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত ও বিরক্ত।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, ‘হামাসের অযৌক্তিক দাবিকে গ্রহণ করে জাতিসংঘ নিজেকেই আজ নিজেকে কালো তালিকাভুক্ত করল।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে নেতানিয়াহু আরও লেখেন, ‘ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের অন্যতম ন্যায়পরায়ণ সামরিক বাহিনী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের এমন ঢালাও সিদ্ধান্ত এটির কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।’

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘ইসরায়েলকে এই লজ্জার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলেও তাদের হামলায় নিহত শিশুদের জীবন ফিরে আসবে না কিংবা পঙ্গু হয়ে পড়া মানুষের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।’

এক্স হ্যান্ডেলে রিয়াদ মানসুর আরও বলেন, ‘এটা সঠিক নির্দেশনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দুমুখো নীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে ইসরায়েল যে সুবিধা ভোগ করে আসছিল এবং যার কারণে আমাদের শিশুদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে তা কিছুটা হলেও দূর হবে।’

এদিকে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হামাস এবং আরেকটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাড আরডান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বলেন, ‘আজকে জাতিসংঘ মহাসচিবই কালো তালিকাভুক্ত হলেন।’

আরডান বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সিদ্ধান্তের ফলে হামাস তাদের কাজে আরও বেশি করে স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করতে থাকবে। এই সিদ্ধান্ত হামাসকে আশা জোগাবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে সূচনা হয় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের অবস্থানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। 

চলমান এই হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক। গাজার সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার শিশু।


আরও খবর



শুরু হচ্ছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি রিপোর্ট:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে আম পরিবহনের জন্য আজ সোমবার (১০ জুন) থেকে চলবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। বিকেল ৪টায় জেলার রহনপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে ট্রেনটি।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, এ বছর যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে ছাড়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও রাজশাহীসহ ১৫টি স্টেশনে আম তোলা হবে। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২টা ১৫ মিনিটে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, ছয়টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে প্রতিদিন আম পরিবহন করা যাবে ২৮ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত এক কেজি আমের ভাড়া দিতে হবে এক টাকা ৪৭ পয়সা। রাজশাহী থেকে এক টাকা ৪৩ পয়সা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান মো. ওবায়দুল্লাহ।


আরও খবর



আজ থেকে ব‌্যাংক লেনদেন ১০-৪টা, অফিস চলবে ৬টা পর্যন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:



আজ থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংকের লেনদেন ও অফিস কার্যক্রম চলবে। 


নতুন নিয়মে বুধবার (১৯ জুন) থেকে ব্যাংকগুলোর লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকগুলোর অফিস খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।



এতদিন ব্যাংক লেনদেন হ‌য়ে‌ছিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা এবং ব্যাংকগুলোর অফিস চলত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সেই হিসাবে ব্যাংক লেনদেন আধা ঘণ্টা ও অফিস এক ঘণ্টা বেশি সময় চলবে।



 গত ৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে  এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি ক‌রা হয়।


আরও খবর