Logo
শিরোনাম

সন্দেহভাজন সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image



আবুল খায়ের:


তালিকা তৈরি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের

ভোল পালটে, পরিচয় গোপন করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে বসেছে রাজাকার, আলবদর ও আলসামসের কর্মকর্তাদের সন্তান-স্বজনরা।



 ছাত্র অবস্থায় শিবির ও ছাত্রদল করেছেন, এমন অনেকেই এখন বড় আওয়ামী লীগার। আবার অনেকে পিতার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বানিয়ে নিয়ে সরকারের কাছ থেকে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছেন। 



তারা একদিকে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জন করছেন, অন্যদিকে দেশে-বিদেশে তথ্য ফাঁস করছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই কাজ করছেন অনেকে। তারা পদোন্নতি ও সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন। তথ্য গোপন করে সুযোগসুবিধা গ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা করছেন একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। 



এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তর এবং মাঠ পর্যায় পর্যন্ত স্ব স্ব প্রশাসন এসব সুবিধাভোগী রাজাকারের পোষ্যদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ‘ছাগলকাণ্ডের’ মতিউর সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে।



ছাগলকাণ্ডের পর ড. মতিউর রহমানের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশে-বিদেশে থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে। মতিউর এনবিআরে থাকা অবস্থায় হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। অনেক দলীয় নেতা, বড় বড় ব্যবসায়ী, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য, স্থলবন্দর-বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছাড়াও যারা হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ মালামাল এনেছেন, তারা মতিউর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। 



হাজার হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হয়েছেন মতিউরের দ্বারা। তাই তাকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে সুবিধাভোগীদের দ্বারা ‘মতিউর রক্ষা কমিটি’ গঠিত হয়ে গেছে। 



কারণ মতিউর রক্ষা না পেলে অনেকেই ফেঁসে যাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন মতিউর। এই বিভাগের ছাত্ররা সরকারের অর্থনৈতিক বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এই গ্রুপটাও মতিউরকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে। ছাত্রাবস্থায় মতিউর ছাত্র শিবির করতেন, পরবর্তীতে ভোল্ট পালটিয়ে আওয়ামী লীগার হয়ে যান। 



এভাবে বিরোধী মতাদর্শীরা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাচ্ছেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অসংখ্য মতিউর রয়েছেন। রাজাকার, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যসহ দলবাজ, হাইব্রিড ও বিতর্কিতরা এখন নজরদারিতে রয়েছেন। 


জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থেকে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ডা. দিলীপ কুমার রায়। তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। 



এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একটি আলোচনাসভায় দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্যের সময় তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ডা. দিলীপ কুমার রায়কে। এটি আরও বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দলের মধ্যে এবং দলের বাইরে। একই সঙ্গে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। একজন দুর্নীতিবাজের জন্য এই অর্জন ম্লান হবে তা কারো কাম্য নয়।



রাজাকার, আলবদর ও আলসামসের কর্মকর্তাদের সন্তান-স্বজনদের ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তারা সরকারের জন্য বিপজ্জনক। তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।



 রাজাকারের সন্তান-স্বজনদের কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা কাজ করতে পারছেন না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে রাজাকারের সন্তান-স্বজনদের দাপট বেশি। একজন পিয়ন পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার মালিক। 



অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যাওয়া অনেক আমলা রয়েছেন। তাদের তালিকা হয়েছে। আমলাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৫২ জন কর্মকর্তা বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন, তাদেরও তালিকা করা হয়েছে। 



এই তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে রাজাকার পরিবারের সন্তান-স্বজনদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও ত্যাগী নেতার পরিবারের সন্তানরা প্রশাসন এবং দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। রাজাকার পরিবারের সন্তান-স্বজনরা অনেক নেতাকে প্রতি মাসে উৎকোচ দিয়ে টিকে আছে। তথ্য পাচার করার কারণে ইতিমধ্যে একজন পুলিশের চাকরি চলে গেছে।


প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের ভেতরে থেকে রাজাকার-আলবদরের পোষ্যরা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত। কেউ কেউ এমপি হয়েছেন। সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। 




আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত অন্তত ১২

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


ইউক্রেনে রাশিয়ার পৃথক হামলায় চার শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। 



স্থানীয় সময়  শনিবার (২৯ জুন) দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার।



ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি শনিবার সতর্ক করে বলেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের কাছে ভিলনিয়ানস্ক গ্রামে হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।



জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন,  ‘জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। চলমান যুদ্ধে মিত্রদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেকোনো বিলম্বের অর্থ হলো মানুষের প্রাণহানি।’


ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লিমেংকো বলেন, জাপোরিঝিয়া শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ভিলনিয়ানস্কে চার শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।



জাপোরিঝিয়ার গভর্নর ইভান ফেদোরভ বলেন, দিনের বেলায় মানুষের বিশ্রাম করার স্থানে হামলাটি করা হয়। তারা কোনো সামরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।


ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শনিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় চারজন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্ধারকারীরা দল মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিনিপ্রোতে একটি ৯তলা আবাসিক ভবনে হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনকে মৃত এবং ১২ জন আহত অবস্থায় পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



ইউক্রেনের এক হাজার কিলোমিটার জুড়ে দেশটির সেনাদের সঙ্গে তীব্র সম্মুখ যুদ্ধ হয় রুশ বাহিনীর। পাশাপাশি রাশিয়া ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করার জন্য বিমান হামলা জোরদার করেছে। প্রায়শ ইউক্রেনের জ্বালানি প্রকল্প এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।


ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, শত্রুদের আক্রমণ পুরো ফ্রন্ট লাইন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। পূর্ব দোনেৎস্কের আঞ্চলিক গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী জনবহুল এলাকাকে লক্ষ্য করে ১৩ বারের বেশি গোলাবর্ষণ করেছে।



জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের মিত্রদের মনে করিয়ে দিতে চাই, দিনিপ্রোতে রাশিয়ার বিমান হামলা প্রতিহত করার জন্য আমাদের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ উচ্চমানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগই পারে রাশিয়ার সন্ত্রাস বন্ধ করতে।’



ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পিছু হটার সুযোগ নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী চারদিক থেকে হামলা চালানো শুরু করেছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে লড়াই তীব্র হয়েছে।


অন্যদিকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। অঞ্চলটির গভর্নর অ্যালেক্সি স্মিরনভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী গ্রাম গোরোদিশে নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।



আরও খবর



নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ৬৪ কেজি গাঁজা সহ ৩ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিনব পন্থায় গাঁজা বহনের সময় ৩ জন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ গাঁজা বহনকৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের বাইপাস এলাকায় তাদের আটক করা হয়। বিকেল ৫টায় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার বসন্তপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহর গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৮) এবং বড় জ্বলা গ্রামের শাওন(২১)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অভিনব পদ্ধতিতে উপরের অংশ কাটা মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে লুকায়িত অবস্থায় একটি মাইক্রোতে গাঁজা নিয়ে নওগাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদে র‌্যাব সদস্যরা সকালে নওগাঁ শহরের বাইপাস ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় একটি মাইক্রো যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তল্লাসি চালানো হয়।  মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে লুকায়িত অবস্থায় আলামত হিসেবে ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা সহ সাদ্দাম হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং শাওন কে আটক করা হয়। এসময় চালক শহিদুল (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই জন কৌশলে পালিয়ে যায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় আটক আসামী সাদ্দাম ও পলাতক আসামী শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে জানা যায়। আটক সাদ্দাম জানায়- অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো দুইজন একই অঞ্চলের বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কারের উপরের অংশ কাটা মাইক্রোতে বহন করে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিলো।

গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের চারতলা বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।



বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের আরেক পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।



এটিইউয়ের ধারণা, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার-আল ইসলামের তিন-চারজন সদস্য ভবনের তিনতলায় অবস্থান করছে।


অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিট ঢাকার পুলিশ সুপার (অপারেশন) সানোয়ার হোসেন জানান, গত ৫ জুন নরসিংদী থেকে ১ জন জঙ্গি আটক করা হয়। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) কক্সবাজার থেকে ১ নারীকে আটক করা হয়। 



তার দেওয়া তথ্য মতে, রূপগঞ্জে বরপা আড়িয়াবো এলাকায় সৌদি প্রবাসী জাকিরের চারতলা বাড়িতে একাধিক জঙ্গি থাকার কথা রয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। 


সেজন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভিতরে তল্লাশি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।



আরও খবর



ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image



সদরুল আইন:


ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ (১২ জুন) থেকে ১০ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলা শুরু হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাত্রার সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।


ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে ৭ দিন চলাচল করবে।


এ ছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩ জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।


অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।



আরও খবর



শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউর কন্যা ইপ্সিতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস ডিজিটাল ডেস্ক:

ছাগলকাণ্ডে একে একে বের হতে থাকে মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার সম্পদ। 

শুধু মতিউর না তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে বেনামে থাকা সম্পদের তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য এবার ফাঁস হয়েছে।


মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন।



 কানাডায় নিজস্ব ফ্লাটে বসবাস করেন ইপ্সিতা। কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হইচই চলছে। তবে কানাডার চেয়ে দেশেই তার বেশি সম্পদ রয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে।



ইপ্সিতার সম্পদ নিয়ে একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে, ২০২৩ সালে মতিউর কন্যার প্রকাশিত আয়কর ফাইলেই ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। 



সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ইপ্সিতার।



আয়কর নথিতে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি আছে তার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল এলাকার সাততলা বাড়ি মালিক তিনি। বাড়িটির মূল্য অন্তত ৫০ কোটি হলেও আয়কর নথিতে তা ৫ কোটি দেখানো হয়েছে।


সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, বয়স ও পেশার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। 



বাবার প্রভাবে তার আয়কর ফাইল রাজস্ব বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান, আর স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চাওয়া মানুষেরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। 


এখন দুদকের উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।




আরও খবর