Logo
শিরোনাম

স্বতন্ত্র আতঙ্কে জোট ও আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থিরা : বসিয়ে দিতে তৎপরতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন :স্বতন্ত্র প্রার্থিদের জনপ্রিয়তার কাছে ক্রমশ কোনঠাঁসা হয়ে পড়ছে জোট ও আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থিরা।

এবারের নির্বাচনে নৌকা ও জোটের অনেক প্রার্থিরই ভরাডুবি ঘটবে জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থিদের জনপ্রিয়তার দাপটে তার আলামত এখনই দৃশ্যমান।

এতদিন নৌকা পাওয়া মানেই নিশ্চিত বিজয় মনে করেছিল যেসব প্রার্থিরা এবারের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তাদের কপালে চিন্তার বলীরেখা পড়তে শুরু করেছে।কেন্দ্রিয় কতিপয় নেতা আ,লীগের স্বতন্ত্রদের বসিয়ে দিতে নানা তৎপরতা চালালেও প্রধানমন্ত্রীর কড়া মনোভাবের কারনে তা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

দলটির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছেন যে, হয়ত শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থি ও অজনপ্রিয় স্বতন্ত্রদের বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তবে তা গণহারে করা হবে না।

যারা সত্যিকার অর্থেই জনপ্রিয় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হলে তাদেরকে স্বাগত জানাবে আ.লীগ।

এবারের নির্বাচনে কোন রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না।নির্বাচনে জিতে আসার দায়িত্ব প্রার্থির নিজের।জিতার প্রশ্নে কোন রকম সহায়তা করবে না দলটি।প্রশাসন থাকবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ।কোন কেন্দ্রে বা প্রচারনায় যদি নৌকার প্রার্থিও স্বতন্ত্রদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রদর্শণ করে তবে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ তার মহাজোট এবং ১৪ দলের শরিকদেরকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছে।

 ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৪ দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য। 

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানেও আসন সমঝোতার বিষয়টি আলোচনা হবে। আওয়ামী লীগ শরিকদের কতগুলো আসন ছাড়বে তার দিকে তাকিয়ে আছে ১৪ দলের শরিকরা। এমনকি জাতীয় পার্টিও। 

যে সমস্ত আসন ১৪ দলের শরিকদেরকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিবে, সেই সমস্ত আসনগুলোতে ১৪ দলের শরিকরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

এখানে আওয়ামী লীগ পাঁচ থেকে ছয়টি আসন দিতে রাজি। তবে ১৪ দলের অন্যতম নেতা হাসানুল হক ইনু গতকাল আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন যে, তারা ২০টি আসন প্রত্যাশা করে।

 তবে ২০টি আসনের বিষয়টিকে অতি বাড়াবাড়ি এবং অপ্রত্যাশিত চাওয়া হিসাবে মনে করছে আওয়ামী লীগ। তাদের কোন অবস্থাতেই এতগুলো আসন দেওয়া হবে না। এটা ১৪ দলের শরিকরাও জানেন।

তবে এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। ১৪ দল যে কটি আসন পাক না কেন, সেটার চেয়েও ১৪ দলের এখন বড় প্রত্যাশা জায়গা হল যে সমস্ত আসনে ১৪ দলের শরিকরা নৌকা প্রতীক পাবেন সেই সমস্ত আসনে যেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীরা না থাকে।

 স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীরা থাকলে ১৪ শরিকদের যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, তাদের জয় অসম্ভব হয়ে যেতে পারে এবং তারা বড় ধরনের চাপের মুখে পড়তে পারেন। 

একারণে তারা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেন দরবার করছেন। অন্তত নৌকা প্রতীক নিয়ে যেখানে যেখানে তারা নির্বাচন করবেন সেখানে সেখানে যেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিশেষ করে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যেকোনো মূল্যে বসিয়ে দেওয়া হয়। 

কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। একই অবস্থা জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও। জাতীয় পার্টি মনে করছে যে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যদি নৌকা প্রতীক থেকে বসে যান তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং তখন সমস্যা আরও বাড়বে। 

তাদের কাছে মনে হচ্ছে যে, যদি শেষ পর্যন্ত একটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক না থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন তার পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একটি জোয়ার উঠতে পারে। 

এই অবস্থায় জাতীয় পার্টিতে যে কটি আসনই ছেড়ে দেওয়া হোক না কেন, প্রত্যেকেই আসনই বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠতে পারে তাদের জন্য। আর এ কারণেই শরিকদের এখন সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম স্বতন্ত্র প্রার্থী।

 আর এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্বাচন থেকে কিভাবে বসিয়ে দেওয়া যায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে লাগাম কিভাবে টেনে ধরা যায় সেটাই এখন জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকদের প্রধান চাওয়া। 

আর এ কারণেই ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টির নেতারা আওয়ামী লীগের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে তাদের আতঙ্কের কথা বলেছেন।

এবার নির্বাচনে যে সমস্ত দলগুলো দুর্বল, যাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা অত্যন্ত কম এবং যারা এতদিন শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কৃপায় মন্ত্রী, এমপি মন্ত্রী হয়েছেন, তাদের জন্য বড় আতঙ্কের কারণ হিসেবে এসেছে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা।

 স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, অনেক এলাকাতেই তারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের শরিকদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম এবং সেই চ্যালেঞ্জে তারা যে বিজয়ী হতে পারে সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


আরও খবর



ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানির মানদণ্ডে শেষপ্রান্তে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

  ডিজিটাল ডেস্ক :


ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দিন দিন কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ডলারের যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো কাটেনি।


 বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে হিসাব গত সপ্তাহে প্রকাশ করেছে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ তার চেয়ে অনেক কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এখন  ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম।


২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে তা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩৭২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৩ দশমিক ৭১ বিলিয়ন) নেমেছে। 


আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৮৩০ কোটি ডলারে (১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন)।



এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার (১৩ মে) বিকালে আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ আছে ২৩ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।


প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব শুধু আইএমএফকে দেয়। যা প্রকাশ করে না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।



বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬) বা ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আকুর ১৬৩ কোটি ডলার দায় পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১৯ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬) বা ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।


মূলত, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন অর্থাৎ আকু একটি আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস অন্তর এশিয়ার ৯টি দেশের (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান) মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে, যদিও এখন তা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কম।


এদিকে প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে এখন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হচ্ছে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেলে রিজার্ভ ফের বাড়বে।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর



ঢাকায় কনসার্টের পরেরদিন মাকে হারালেন মোনালি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :

ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুরের মা মারা গেছেন। ১৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে মোনালির মা মিনতি ঠাকুরের।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোনালি ঠাকুরের মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় বোন মেহুলি ঠাকুর। শুক্রবার (১৭ মে) মেহুলি ফেসবুকে লেখেন, ‘শিকল ছিঁড়ে গেছে...অবশেষে কষ্টের অবসান...। বেলা ২টা বেজে ১০ মিনিটে মা স্থির হয়ে গেছে।’

ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে মোনালি ঠাকুর লিখেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা, এই একাকিত্ব এই যন্ত্রণা বড্ড অসহায় লাগছে। কিন্তু এবার সময় এসে গেছে, তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে এবং তৈরি হতে হবে।


আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর এবং আমাকে সাহায্য করো। এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কীভাবে কল্পনা করব। আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

এদিকে মায়ের মৃত্যুর একদিন আগে ঢাকায় কনসার্ট করে গেছেন মোনালি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কলকাতা থেকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক গানের অনুষ্ঠান অংশ নেন এই শিল্পী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে গান শোনানোর কথা ছিল তার। আগেই চুক্তি সেরেছিলেন গায়িকা। তাই আর না করতে পারেননি। কথা রেখে ঢাকায় এসে মঞ্চে পারফর্ম করে গেছেন।

তার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার একটি কনসার্টে মোনালি ঠাকুর গান গাইছেন তার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার খবর পাওয়ার পরেও। আর সেখানেই তিনি তার মাকে উদ্দেশ্য করে গেয়েছেন।

বিষন্ন মনে মোনালির কণ্ঠে শোনা যায় রবীন্দ্রসংগীত। যেখানে মাকে উদ্দেশ্য করে এই সংগীতশিল্পী গাইলেন ‘তুমি রবে নীরবে’। গাইতে গাইতে গলা বুজে আসে গায়িকার। কেঁপে যায় গলা। তবুও গান থামান না তিনি।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঋষির দলের ভরাডুবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিকের কাছে ভরাডুবি হয়েছে কনজারভেটিভের। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এতে ১০৭ টি কাউন্সিলে ২৭,০০ কাউন্সিলর ও ১১ জন সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত ১১টি মেয়র আসনের মধ্যে ১০টি আসন হারিয়েছে কনজারভেটিভ। ১০টি আসনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে হার মেনেছে কনজারভেটিভ, সুনাকের দলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে লিবডেম। ১১৪০টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছে লেবার। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পেয়েছে ৫২১টি, কনজারভেটিভ পেয়েছে ৫১৩টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পেয়েছে ২২৮টি, গ্রিন পার্টি ১২১টি, রেসিডেনস অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে ৪৮টি।

১১টি মেয়র পদের মধ্যে লেবার যে ১০টি এলাকায় জিতেছেগ্রেটার লন্ডন, পূর্ব মিডল্যান্ডস, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, লিভারপুল সিটি অঞ্চল, উত্তর পূর্ব, সালফোর্ড, সাউথ ইয়র্কশায়ার, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এবং ইয়র্ক এবং উত্তর ইয়র্কশায়ার।

নির্বাচনী ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টির বড় জয় হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই প্রেক্ষাপট থাকবে না। বরং কনজারভেটিভকেই বেছে নেবে জনগণ। কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

অন্যদিকে লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার নির্বাচনী ফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। কিয়ার স্টারমার জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলই জনগণের আগাম বার্তা যে, তারা পরিবর্তন চায়।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪