Logo
শিরোনাম

টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে বাড়ছে প্রাণঘাতী রোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্মার্টফোন এক মিনিট হাতে না থাকলে অনেকেই নিজেকে অসহায় মনে করেন! স্মার্টফোন ছাড়া এখন এক মিনিট কাটানোও কঠিন। অনেকেই টয়লেটে যান হাতে ফোন নিয়েই। তবে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ, এমনই বলছে গবেষণা।

সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গবেষকরা দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ও ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।

৬০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক টয়লেটে যান হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভারতীয়রাও দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় একই কাজ করেন। এর ফলে যেসব সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে সেগুলোরও তালিকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

প্রায় ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোন নিয়ে যান টয়লেটে, এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। সংখ্যাটি কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান পরিস্থিতি।

এই বদভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক। টয়লেট হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। ই কোলি, সি ডিফিসিলের মতো মারাত্মক ধরনের জীবাণু থাকে টয়লেটে।

খুব সহজেই কিন্তু এই জীবাণুগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে টয়লেঠে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে। ফোনে সহজেই এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।

এই জীবাণুর কারণেই মূলত ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয়ে যায়। জেনে নিন টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়া কারণে কোন রোগ হতে পারে-

পাইলস হয়

পাইলস একটি গুরুতর ব্যাধি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। তবুও সচেতনতা নেই। তাই দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে ফোন নিয়ে বসে থাকার কারণেও অনেকের অর্শ হয়। আর যাদের আগে থেকেই সমস্যা আছে, তাদেরও জটিলতা বাড়ে।

পেটের সমস্যা

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টয়লেটে দর্ঘক্ষণ ফোন নিয়ে পেটের সমস্যাও বাড়ে। এক্ষেত্রে জীবাণুর সংক্রমণ অবশ্যই একটা কারণ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে যে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু।

যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই এখন থেকে টয়লেটে ফোন হাতে যাওয়ার আগে একবার নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবুন।

বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয় সময়ও নষ্ট হতে পারেন। তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন। চেষ্টা করুন নিজেকে এর থেকে মুক্ত করতে।


আরও খবর



গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও চাপ নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বললেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও চাপ নেই। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বিগত সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে।’ উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।’

গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সংস্কার প্রস্তাব জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশকে কিভাবে পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি তারই অংশ হিসেবে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাব শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যদি কারও তাতে আপত্তি বা প্রস্তাবনা থাকে; তাহলে ৩১ দফা থেকে সংস্কার কিংবা সংযোজন করা হবে। বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে দলের কর্মীদের বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার রাজধানীর ক্ষিলখেত এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের সমর্থনকে যে কোনোভাবে অর্থাৎ ইতিবাচকভাবে বিএনপির পক্ষে রাখতে হবে। জনগণ যেভাবে বলবে, সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে।

তিনি বলেন, হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়, মানুষও তা একরকম হয় না। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে দলের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়েছেন, বিভ্রান্ত করছেন। যে কারণে তাদের অনেকের কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছেন না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যদি লক্ষ্য অন্যকিছু হয়ে থাকে, তবে দু’দিন পর ছিটকে পড়ে যাবেন, জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন, তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন৷ তাই সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রেখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।


আরও খবর

লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বিপ্লব (২৮), আরিফ (১৭), হাসান (২২), শাওন (২৪), হোসাইন (১৮), চঞ্চল (২৬), তামজিদ শেখ (৪০), তন্ময় (২৫), নুর ইসলাম (২৩) এবং আল-আমিন (২৪)।

শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার ইউনিট ওয়ানে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা ১১ শ্রমিক দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ মোর্শেদ আলম বলেন, এয়ার ফ্রেশনারের বোতলে গ্যাস ভরার সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কার কত শতাংশ পুড়ে গেছে, তা কিছুক্ষণ পর জানানো যাবে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে দিল্লিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঘন বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা ঢেকে গেছে। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বায়ুর মান এ বছর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ ঘণ্টার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) মান হয়েছে ৪৮৪। এই মান 'চরম বিপজ্জনক' শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সুইস সংস্থা আইকিউএয়ারের লাইভ র‍্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে দিল্লী। শহরের বায়ুতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ) উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার ১৩০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ধূলিকণা, গাড়ির ধোঁয়া ও আশপাশের রাজ্যগুলোতে ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ধোঁয়া আটকে থাকে। এতে ধোঁয়াশার (স্মগ) সৃষ্টি হয়।

সোমবার দিল্লি ও চণ্ডীগড় শহরে স্বাভাবিক দৃষ্টিসীমা মাত্র ১০০ মিটারে নেমে আসে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছুটা বিলম্ব সত্ত্বেও বিমান ও ট্রেন চলাচল অব্যাহত আছে।

চলমান পরিস্থিতিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নির্মাণকাজ ও যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

দেশটির উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে 'ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা'র পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।

বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরে চলাচল করছেন সাধারণ জনগণ। দিল্লির বাসিন্দা অক্ষয় পাঠক ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, সকালের হাঁটাচলা সাধারণত উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু এখন দূষিত বাতাসে চোখ জ্বালাপোড়া করে ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

আবহাওয়া পূর্বাভাস দানকারী সরকারি সংস্থা সাফার জানিয়েছে, দিল্লির দূষণের ৪০ শতাংশের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর কৃষি জমিতে খড় পোড়ানো দায়ী। রবিবার স্যাটেলাইটে ছয়টি রাজ্যে এক হাজার ৩৩৪টি এমন ঘটনা চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বায়ুদূষণের এই চরম অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




২৮ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে আলু সরবরাহ ঠিক আছে, তবুও সাড়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। ভারত থেকে ২১ টাকা ৬০ পয়সা কেজি দরে আলু আমদানি করা হচ্ছে। পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ ও লাভসহ পণ্যটি পাইকারি সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ও খুচরা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা দরে বিক্রির কথা। কিন্তু বাজারে সেই আলু ৭৫ টাকা কেজি দরে কিনছেন ক্রেতারা।

আমদানির পাশাপাশি বাজারে আসতে শুরু করেছে কৃষকের নতুন আলু। অন্যদিকে আলু আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবুও কমিশন বাণিজ্যে সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে হু হু করে আলুর দাম বাড়ছে।

জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের গাছ আমদানিকারকরা ও মূল শিকড় শ্যামবাজারের আড়তদার সিন্ডিকেট। আগে থেকেই অবৈধভাবে মুনাফা লাভের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। আমদানিকারকরা কমিশনের মাধ্যমে আড়তদারদের দিয়ে আলু বিক্রি করান। আমদানিকারকরা সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৬০ পয়সার আলুকে তারা দুই পর্যায়ে সিন্ডিকেট করে আড়তদারদের ৫৫-৬০ টাকা বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। আড়তদাররা এই দামে আলু বিক্রি করছেন। ফলে এই আড়তি দামের আলু খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশের হিমাগারগুলোতে চলছে আরেক সিন্ডিকেট। কোল্ড স্টোরেজে যারা আলু সংরক্ষণ করছেন, তারা এখন দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যে কারণে আলুর দাম বেশি বেড়েছে। এখানে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী আছেন, যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরের আলু হিমাগার পর্যায় থেকে দাম বাড়িয়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেই আলু পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা পর্যায়ে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগেও ৫৫-৬০ টাকা ছিল।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শীত আসার আগে প্রতি বছর ২৫ টাকার নিচে নেমে আসে আলু। এ সময় এক কেজি আলু ৭৫ টাকা মানে, এটি একটি অরাজকতা। এগুলো কী দেখার কেউ নেই?

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘কোনো সরকারই বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল সিন্ডিকেট ভাঙবে। কিন্তু সেটাও দেখা যাচ্ছে না। সরকার গঠনের পর চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ করে কিছু পণ্যের দাম কমেছিল। তবে কয়েকদিন পরই চাঁদাবাজির হাতবদল হওয়ায় ফের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে পুরোনো সেই সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাড়িয়েছে পণ্যের দাম। এতে নাজেহাল ভোক্তা।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম কে বাড়ায়, কারা সিন্ডিকেট করে সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। ব্যবস্থা নিতে পারলে দাম কমবে। তবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ভর করেছে সব গাফিলতি। গলাকাটা দাম আর কত সইবে ভোক্তা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪