Logo
শিরোনাম

যে খাবার ব্রণ থেকে দূরে রাখবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ব্রণ শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট করে না, এটি যথেষ্ট অস্বস্তিকরও। হরমোনের তারতম্যের কারণে এটি বেশি হতে পারে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও আরও অনেক কারণে হতে পারে ব্রণ। ত্বকে যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ আমরা যা খাই, তার বড় প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। কিছু খাবার ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে, কিছু খাবার ব্রণ থেকে দূরে রাখে। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো ব্রণ থেকে দূরে রাখে-

পানি

পানি আমাদের শরীরে শরীরে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করে। সেইসঙ্গে অঙ্গগুলোকে পুষ্ট করে এবং ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উপযুক্ত করে তোলে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা শরীরের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। যে কারণে ব্রণ থাকে দূরে।

লেবুর রস

লেবুর রস অ্যাসিড বর্জ্য দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে লিভারকে সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করে। এটি রক্তের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এনজাইম তৈরি করে। ফলে ত্বক থাকে সতেজ ও উজ্জ্বল।

তরমুজ

ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে কাজ করে তরমুজ। এই ফলে থাকে ভিটামিন এ, বি এবং সি। এসব উপাদান ত্বককে সতেজ, উজ্জ্বল এবং আর্দ্র রাখে। তরমুজ খেলে তা ব্রণ দূর করে এবং ব্রণের দাগও কমায়।

দই

দইয়ের আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। ত্বক পরিষ্কার করতে এবং আটকে থাকা ছিদ্রগুলোকে অবরুদ্ধ করতে কাজ করে এটি। ব্রণ থেকে দূরে থাকতে হলে প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আপেল

উপকারী ফলের তালিকায় উপরের দিকেই আছে আপেলের নাম। আপেলে থাকে প্রচুর পেকটিন। এটি হলো ব্রণের শত্রু। তাই ব্রণমুক্ত থাকতে নিয়মিত আপেল খান।

আখরোট

আখরোট খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি হলো এটি ত্বকের মসৃণতা ও কোমলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আখরোটের তেলে থাকে লিনোলিক অ্যাসিড, যা ত্বকের গঠন বজায় রাখতে কাজ করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে।

দুগ্ধজাত পণ্য

আমাদের সুস্থ ত্বকের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় হলো সুষম খাবার। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যে থাকে ভিটামিন এ। এটি ত্বককে ভালো রাখে। দূরে রাখে ব্রণের সমস্যাও।


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রমজানে সাধারণ মানুষ যেন কম দামে প্রাণিজ আমিষ কিনতে পারেন, সে জন্য সরকার বিশেষ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রথম রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, সুলভ মূল্যে প্রাণিজ পণ্য বিক্রির জন্য জনগণের চাহিদা বিবেচনায় ঢাকা শহরের ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ কর্মসূচি সরকারের ভোক্তাবান্ধব নীতির অংশ, যা রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। দেশে বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহের ওপর সরকারের নজরদারি রয়েছে। এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের বাজারে যে অস্থিরতা রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বাংলাদেশ পাটকল কর্পো‌রেশনের খুলনার দৌলতপুর জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে বন্ধ থাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিজ গ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে ৩টি পাটকল লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিগতখাতে ছেড়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতোগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাটভিত্তিক শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরো ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতার উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানী ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ২০৪। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। অন্যদিকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে আজ সকাল ৮টায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এমন চিত্র দেখা গেছে। এর আগে গতকালও ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।

এই মুহূর্তে দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে প্রথমে রয়েছে ভারতের কলকাতা, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারতের দিল্লি, পঞ্চম অবস্থানে নেপালের কাঠমাণ্ডু এবং ১২৫ নম্বর অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, যার বায়ুমান স্কোর মাত্র ১২।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫–এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে সাড়ে ২৪ শতাংশ বেশি।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল একদিনে ৪ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড করেছে। বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে উভয় পথে যাত্রী পরিবহন করছে।

এর আগে একদিনে সাড়ে ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে মেট্রোরেল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেল যাত্রী সেবায় প্রথমবারের মতো ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এই মাইলফলক অর্জনে মেট্রো পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল, সম্মানিত যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীজনদেরকে মেট্রোরেল পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।

আরও বলা হয়, এ মহতি লক্ষ্য অর্জনে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব জনাব মো. এহছানুল হককের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সম্মানিত মেট্রো যাত্রীদের সেবায় আমরা নিবেদিত। আগামীর পথচলায় আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরো বাড়বে।


আরও খবর

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্যানসার প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০২৫ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন ক্যানসার সেবায় বৈষম্য দূর করি’ যা ক্যানসার সেবায় সমানাধিকার নিশ্চিতের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং বয়স বৃদ্ধির মতো কারণগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ বেশি থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো সীমিত, যা বৈশ্বিক ক্যানসার ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তৈরি করছে।

ক্যানসার মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি, ওষুধ এবং পুনর্বাসন সুবিধা সহজলভ্য হলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো অপ্রতুল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যানসার-সম্পর্কিত মৃত্যু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে, যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এবং সচেতনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্যানসার চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা পাননি। বৈশ্বিক ক্যানসার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা, বিনিয়োগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা। দেশে মাত্র কয়েকটি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া ক্যানসার চিকিৎসার উচ্চ খরচ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রযুক্তির অপ্রতুলতা সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগী চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসেন, যখন চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় ক্যানসার সচেতনতা এবং স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের অভাব রয়েছে, যা রোগ দ্রুত শনাক্তকরণে বাধা সৃষ্টি করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যানসার মোকাবিলায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫