Logo
শিরোনাম

বলাৎকারের অভিযোগ পীরগাছা থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

এক ভ্যানচালককে বাসায় এনে বলাৎকারের অভিযোগে রংপুরের পীরগাছা থানার এসআই স্বপন কুমার রায়কে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। অসুস্থ ওই ভ্যানচালককে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেষ চন্দ্র জানান, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এসআই স্বপন রায়কে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়াও তার ভাড়া বাসা থেকে ভুপতি রায় নামের আরো একজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এসআই স্বপন রায়ের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়। ২০ দিন আগে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ডেলিভারির জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এই সুযোগে পীরগাছার কলেজ রোডে স্বর্ণব্যবসায়ী রিপন রায়ের ভাড়া বাড়িতে স্বপন রায় বিভিন্ন বয়সী পুরুষদের হুমকি দিয়ে আনতেন এবং তাদের বলাৎকার করতেন।

বুধবার রাতে উপজেলার শুখানপুকুর এলাকার এক ভ্যানচালককে (৫০) হুমকি দিয়ে ওই বাড়িতে নিয়ে যান এসআই স্বপন রায় এবং তাকে উপর্যুপরি বলাৎকার করেন। এক পর্যায়ে পায়ুপথ দিয়ে তার প্রচুর রক্তপাত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভ্যানচালককে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে বিষয়টি থামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তা ঢোপে টেকেনি।

এদিকে এ ঘটনার পর শুক্রবার বেলা ১১টায় এসআই স্বপন রায়ের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান বাসার তালা ভেঙ্গে ভুপতি চন্দ্র রায় (৪৮) নামের আরো একজনকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ভ্যানচালকর স্ত্রী জানান, ‘আমার সহজ-সরল স্বামীকে ভাড়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার সর্বনাশ করেছে পুলিশ স্বপন চন্দ্র। আমার স্বামী তার কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই সে ছাড় দেয় নাই। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’

ওই ভ্যানচালকের ছেলে জানান, ‘পুলিশ আমার বৃদ্ধ বাবার ওপর যেভাবে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না। পুলিশ বলে সে যেন কোনোভাবেই পার না পায়। তাকে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।


আরও খবর



জমকালো কান চলচিত্র উৎসবে পর্দা উঠছে নবাগতা কিয়ারা আদভানির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image



বিডি বিনোদন ডেস্ক:


গতকাল জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের। 


প্রতিবছরই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাহারি পোশাকে রেড কার্পেট মাতান ভারতীয় তারকারা। সেই তালিকায় অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন দীপিকা পাডুকোন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, আনুশকা শর্মা, সোনম কাপুর, সারা আলী, অদিতি রাওসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী। 


এবার সেখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির নাম। এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে তাকে। 


জানা গেছে, চলতি আয়োজনে ‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন’-এর ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা ডিনার’-এ অংশ নেবেন কিয়ারা। এটি ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ দ্বারা আয়োজিত হবে। 


অনুষ্ঠানে সারাবিশ্ব থেকে ৬ জন প্রতিভাবান নারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা বিনোদন মহলে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃত।



তাছাড়া, ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বিশ্বে ছবি প্রযোজনা এবং চিত্রগ্রহণ সম্পর্কে ১৮ মে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কিয়ারা রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্যানেলে অংশগ্রহণ করবেন। 


তার প্রস্তুতিও এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশও করেছেন কিয়ারা। যা ভক্তদের মাঝে বেশ উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। 


অনেকেই তার কান অভিষেক নিয়ে কমেন্ট বক্সে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গতকাল শুরু হয়েছে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।


আরও খবর



কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে। মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। এভাবে চির নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে।

আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি। তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৬২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার জন্মদিনের। তবু বাঙালি মানসে এখনো তিনি দিবাকরের মতো সমান সমুজ্জ্বল, তার কিরণ এতটুকু ম্লান হয়নি।

প্রতি বছরই এ দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু আমাদের নতুন করে দিয়ে যায় আত্মপরিচয়ের তাগিদ। আত্মশক্তির উদ্বোধনের আহ্বান, মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার বারতা। কালবৈশাখীর মত্ত মেখে বন্ধহীন বেগে। অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝপানে এক দিন তুমি এসেছিলে এ লিখিলে নব মল্লিকার গন্ধে, সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবন-হিল্লোল-দোল ছন্দে, খামলের বুকে। সেই যে নূতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি, এসেছি জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে। হে নূতন, দেখা দিক্ আবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।

জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছেন, খ্যাতির কলরবমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে, সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজন স্তব্ধতায় শান্তিতে।

রবীন্দ্রমোদীরা মনে করেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছেন, তাতে এই ভাষা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সব ভাব-অনুভূতির প্রকাশ এবং নির্মল হাস্য-কৌতুকের বাহন হতে সমর্থ হয়েছে। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, গায়ক ও চিত্রশিল্পী। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বভারতী তার বিপুল কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কীর্তি। অনেকেই মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। একইভাবে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নেওয়া বাংলা গদ্যকেও তিনি চূড়াস্পর্শী সাফল্য দান করেন।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তিনিই প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক।

রবীন্দ্রসাহিত্য, বিশেষত রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তার গানই (আমার সোনার বাংলা) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার অনেক গান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর



বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image



বিনোদন ডেস্ক:


ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তিনি। 


এই তারকার বিয়ে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই ভক্তদের। বেশ কয়েকবারই তিনি জানিয়ছেন, অসংখ্য নারী ভক্ত নাকি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।


সম্প্রতি বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছে জায়েদের। তবে তার বিয়ের খবর সত্যি হলে মন ভাঙবে অনেক নারীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জায়েদের বিয়ের খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। আর এতেই শোরগোল নেটদুনিয়ায়।


ফেসবুকে জায়েদের সঙ্গে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন জয়। ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, অসাধারণ পরিবর্তন। মুগ্ধ আমি। জায়েদের কিন্তু বিয়ে হয়ে গেছে।


ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে জায়েদের বিয়ের খবর। এরপরই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তাকে শুভকামনা জানাচ্ছেন অনেকেই। কারও মতে, প্রবাসী এক নারীকে বিয়ে করেছেন। 


আবার কারও মতে, এক চিত্রনায়িকাই হয়েছেন তার ঘরনি। অনেকেই আবার বিষয়টিকে ‘মজা’ হিসেবে নিয়েছেন।


বিয়ষটির সত্যতা জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, ধুর! ফাঁকা আওয়াজ। বিয়ে করিনি। আর বিয়ে করলে সেটা আপনারা অবশ্যই জানতেন। জয় ভাই, মজা করেই সেই স্ট্যাটাস দিয়েছে। তার কাজই আলোচনায় থাকা।


প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন জায়েদ। অংশ নিচ্ছেন স্টেজ পারফরম্যান্সে। মে মাসের শেষ সপ্তাহেই লন্ডনে শো আছে তার।


 এ ছাড়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার করা একটি বিজ্ঞাপনও রয়েছে বেশ আলোচনায়।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর বিষের ভেতর বসবাস করছে রাজধানীর মানুষ। ঢাকার বাতাসে এসব বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

বিশ্বের ২৭টি স্থানে পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহনগুলি রাসায়নিক উপাদানগুলির উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যানসার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।

এ বছরের শুরুতে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং ২০৫০ সালে দেশটিতে ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।


আরও খবর