Logo
শিরোনাম

ঢাকায় অননুমোদিত ও অবৈধ ভবন ভাঙা অভিযান থেমে গেছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

অননুমোদিত ও অবৈধ ভবন ভাঙা অভিযান থেমে গেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওততাধীন এলাকায়। শুধু রাজউক নয়, সিটি করপোরেশনেরও এ ধরনের কোনো তৎপরতা এখন আর চোখে পড়ছে না। এমনকি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ নদতীরের অবৈধ দখল করা জমি উদ্ধারের তৎপরতাও নেই। মাঝখানে কিছু দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছিল রাজউক ও সিটি করপোরেশন। এখন এরই সুযোগে প্রতিদিনই রাজধানীতে উঠে যাচ্ছে নতুন নতুন অননুমোদিত স্থাপনা ।

ঢাকা মহানগরী ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর অন্যতম। এক শ’ বছর আগের বাংলাদেশ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে গেছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার সময় হয়ে গেছে। এক শ’ বছর আগে ঢাকা ছিল ছোট একটি শহর। সিলেটে অথবা সিলেটের আশপাশের বড় ভূমিকম্পের আঁচড় ঢাকাতেও লেগেছিল। তখন তেমন বড় স্থাপনা না থাকায় ঢাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে কোনো কোনো ভবনে ফাটলও দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। কিন্তু এখন ঢাকার আশপাশে ৭ অথবা এর চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে ধারণাতীত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে পুরান ঢাকায়। কারণ পুরান ঢাকার অনেক ভবন ১০০ বছরের বেশি পুরনো। এ ছাড়া নকশা অনুমোদন ছাড়া কেবল রাজমিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করা অনেক

ভবনও ঢাকায় রয়েছে সেখানে। এসব ভবন বড় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারবে না, ভেঙে পড়বে। ফলে জানমালের প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। সে কারণে পুরনো, জরাজীর্ণ ও রাজউকের অনুমোদনহীন দুর্বল ভবনগুলো ভূমিকম্প হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলা উচিত।

এ ব্যাপারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন সরকারও রাজউকের উদ্দেশে একটি প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার অননুমোদিত ও জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে রাজউক সবাইকে নতুন নকশা করে দিতে পারে। অন্য দিকে ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে; যেন এসব বাড়িঘরের মালিকরা পুরনো, জরাজীর্ণ ও অনুমোদনহীন বাড়িগুলো ভেঙে যেন নতুন করে মজবুত বাড়ি নির্মাণ করতে পারে।

প্রকৌশলী আজহার আলী বলেন, ‘নতুন নকশা দিয়ে বাড়ি করলে দুর্ঘটনা যেমন এড়ানো সম্ভব আবার ভবনের নান্দনিকতাও বৃদ্ধি পাবে। পুরান ঢাকায় ছোট একটি প্লটের মালিক বেশ কয়েকজন। তারা কয়েকটি প্লট একত্রিত করে যেন নতুন বাড়ির নকশা নেন সে জন্য রাজউক বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে। ব্যাংক ঋণ দিলে ব্যাংকে পড়ে থাকা অলস অর্থ কাজে লাগবে তেমনি অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারও হবে।

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকাকে নতুন করে গড়ে তুলতে রাজউক কিছু উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন বাড়ির মালিকদের সহায়তা করলেও পুরনো, জরাজীর্ণ ভবন ছেড়ে তারা নতুন ভবন তৈরিতে উৎসাহী হতে পারেন। এটা করলে পুরান ঢাকা আবারো বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এবং ভূমিকম্পের দুর্ঘটনাসহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে সেখানকার মানুষ।

রাজউকের কর্মকর্তারাই বলছেন, ঢাকা মহানগরীর যত্রতত্র অননুমোদিত ভবন যথাযথভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ম মেনে না করায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারবে না। ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে অনেক বেশি। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারীর মতে, অপরিকল্পিত ভবনগুলো ভূমিকম্পে ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে; কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করে ভবন করা হলে সেগুলো ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা সম্ভব। আবার পুরনো কিন্তু ঐতিহ্যবাহী অনেক ভবন ঢাকায় রয়েছে। সেগুলো না ভেঙে ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করেও শক্ত ও মজবুত করে গড়ে তোলা যাবে। সে জন্য রাজউক ও সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।

এ ছাড়া ঢাকার অনেক ভবনে নিচের অংশে কোনো ঝামেলা না থাকলেও হঠাৎ করে উপরের দিক থেকে ভবনের চার পাশ বাড়িয়ে ফ্লোর স্পেস বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র পল্টনের কালভার্ট রোডে এ ধরনের ভবন দেখতে পাওয়া যাবে। আবার গুলশান-বনানীতে এমন অনেক ভবন গড়ে উঠেছে যা পুরোপুরি অবৈধ। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই তা গড়ে উঠেছে। গুলশান-১-এর গোলচত্বরের লাগোয়া সুপার মার্কেটটি এমন ধরনের আরেকটি ভবনের উদাহরণ। এটা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক এমন ভবন রয়েছে যেখানে ছয় তলার অনুমোদন নিয়ে ১০ তলা করা হয়েছে। এমন অনেক ভবন রয়েছে যেগুলোর নকশা অনুমোদনে সামনে-পেছনে কোনো বারান্দা ছিলনা; কিন্তু পরে নির্মাণের সময় দ্বিতীয় তলা থেকেই বারান্দা গড়ে তোলা হয়েছে। ভবনের উপরের দিকে এমনভাবে বারান্দা তৈরি করা হয়েছে যার পুরোটাই রাস্তার উপর। উপরের তলায় বলে চলাচলরত যানবাহনের কোনো সমস্যা হয় না; কিন্তু নিচের তলা নকশা অনুযায়ীই করা হয়েছে।

রাজউকের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছেই রয়েছে ১০ হাজারের মতো অবৈধ ভবনের তালিকা। প্রায় এক যুগ আগে এ তালিকা করা হলেও তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

 


আরও খবর



রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  : 

নওগাঁর রাণীনগরে শনিবার দুপুরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে। নিহত রেজাউল ইসলাম উপজেলার রঞ্জনিয়া গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে রেজাউলসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকরা এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটছিলেন। ধানকাটার পর জমি থেকে ধান বহনের সময় দুপুরের দিকে রেজাউল ধানের ভার বাধছিল। এসময় তীব্র গরমে রেজাউল ইসলাম হিট স্ট্রোক করে মাটিতে পড়ে যায়। সেখানেই ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান ।

রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, ধান কাটার শ্রমিক রেজাউলের মৃত্যুর খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে থানায় কেউ কিছু জানায়নি।  


আরও খবর



ফের অস্থির ডিমের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। রাজধানীর খুচরা বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।


শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মালিবাগ, নিউমার্কেট, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা মাসখানেক আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।


এদিকে ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি বাজারদরের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি)।


ডিম ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত কিছু দিনে সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে খামারে অনেক মুরগি মরে গেছে। এতে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।



ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, এক মাস আগে রমজানের সময় ডিমের চাহিদা কম ছিল। তখন দামও কমেছিল। এখন ডিমের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু ডিমের উৎপাদন কমেছে। এরফলে বেড়েছে ডিমের দাম।


তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হালিপ্রতি ডিমের দাম যা বেড়েছে, তা অস্বাভাবিক। আমাদের কিছু করার নেই।


কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের উৎপাদন খরচ হিসেব করে একটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৪৯ পয়সা হতে পারে বলে জানিয়েছে। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। সেখানে ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।


এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মোহসিন বলেন, গরমের কারণে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে ডিমের দামের ওপর।


তিনি বলেন, বাজারে সবজি ও মাছের দাম বাড়ায় ভোক্তারা ডিমের প্রতি বেশি ঝুঁকেছে। ডিমের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি।


এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজে ডিম সংরক্ষণ করেছে। এখন সেই ডিম তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। এমন অভিযোগ প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদারের।


ভোক্তারা বলছেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। 


বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিবার নিয়ে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



আসছে ঘূর্ণিঝড়, দেশজুড়ে কালবৈশাখীর সতর্কতা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যারমধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিন্তু আমরা বলেছি- চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। হয়তো ১৫ তারিখের পর থেকে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপ থেকে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতার ধারাবাহিকতা এই মাসের ১১-১২ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শনিবার আমরা কালবৈশাখীর একটি সতর্কবার্তা জারি করেছি। আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড়, দমকা হাওয়া, ঝড়ো হাওয়া ছাড়াও বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ সময় সবাইকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার ও চট্টগ্রামে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে আজ আমরা আশা করছি খুলনা বিভাগে বৃষ্টিপাত বিস্তার লাভ করবে।

তাপপ্রবাহের দাপট কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ১২-১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে তেমন আর তাপপ্রবাহ আশা করছি না।


আরও খবর



সবজির বাজার গরম, কাঁচা মরিচের দামে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল রিপোর্ট:


দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।


 সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে।


শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।


আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও মান ও জাতভেদে পটল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।


বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে এ সপ্তাহে। প্রতি কেজি স্থানভেদে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কম ছিল। 


এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।


আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।




আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর