Logo
শিরোনাম

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় অনেক রোহিঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। তবে তাদের এদেশে আসার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, নিজ দেশ ছেড়ে এবার ভুল করা যাবে না।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পে আয়োজিত কনভেনশনে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে এখনই তারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে।

দেশটির অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে সংগঠনটি। ফলে বুচিডংসহ রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে।

এদিন উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দুই পক্ষের হামলায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তারা বাংলাদেশে চলে আসার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে।

তবে এবার নিপীড়নের শিকার হলেও কোনো অবস্থাতেই জন্মভূমি না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। তারা বলছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ভুল করেছেন। সেটা দ্বিতীয়বার যেন অন্যরা না করেন। মিয়ানমারে এখন জান্তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই স্বদেশে ফিরে যাওয়া জরুরি।

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা আর কাউকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চায় না। বরং এখনই সময় সেখানে আমাদের চলে যাওয়া। যেটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে যেতে পারলে খুবই ভালো হয়। সেই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক রোহিঙ্গা বলেন, তারা কষ্ট পেলেও, জুলুমের শিকার হলেও মিয়ানমারেই থাকা দরকার তাদের। ওরা থাকতে পারলে পরে আমরাও যেতে পারবো।

মিয়ানমারে দ্রুত ফিরে যাওয়ার জন্য এদিন সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সম্মেলন করেন এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিটি। এতে নির্বাচিত বিভিন্ন ক্যাম্পের ৪ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আরাকান আর্মিকে ইঙ্গিত করে কমিটির নেতা মাস্টার ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে তারা এখনই চলে যেতে প্রস্তুত।

শরণার্থী কমিশন বলছে, নতুন করে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসান কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

অনুপ্রবেশের পাশাপাশি ওপার থেকে নিয়মিত ভেসে আসছে ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানি। এর ফলে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর



চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।


আরও খবর



সংকটে হজযাত্রীরা, ভিসা জটিলতায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল হজ ভিসা আবেদনের সময়। এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় 

হজ করতে ইচ্ছুকদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ সৌদিতে হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে না পারা। তবে এই সংকটের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ অবস্থায় বিশালসংখ্যক হজযাত্রীর হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল সৌদি সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে ৯ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

 

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য অংশীজন ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন,


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বেশির ভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর 

অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও 

সম্ভব না।

তিনি বলেন, সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ 

করা হয়েছিল। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলো এ সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা 

আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করতে 

হবে।

তবে অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এখনো যেহেতু অনেক হজযাত্রীই ভিসার আবেদন করতে পারেননি- 

তাই এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রীর সবাই ভিসা পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন ২৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাড়ি ভাড়ার টাকা সরকারের কাছে জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় সে অর্থ আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। একই সঙ্গে মোয়াল্লেম ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের মুখে এবার হজ ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো সবার অর্থ 

সৌদি আরবের আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। ফলে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলরকে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ই দায়ী।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত 

এজেন্সিগুলোর বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থায় মন্ত্রণালয়। তাই হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই বলা হয়েছিল, এ বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ে অর্ধেকের বেশি হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও জমা দেয়নি। ফলে শেষ সময়ে এই বিপুলসংখ্যক টাকা ট্রান্সফার করতেও সময় লাগছে।

এজেন্সিগুলোকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় বলছে, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে গত বছরের ৩০ জুন 

এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এই ইস্যুকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তারা বাড়ি ভাড়া করতে পারছে না বলে মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছে। প্রতিবারই তারা এ কাজগুলো করে মন্ত্রণালয়কে চাপে রাখে। এ ছাড়া সৌদি আরবে হাজিদের থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি 

দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি হজ ও ওমরা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করেছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে 

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল দেশটির 

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

 অবস্থায় ওমরাহ করতে ইচ্ছুক অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ 

উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন বলেন, নতুন নিয়মের কারণে হঠাৎই ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। তবে হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আবার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে তারা। এ ক্ষেত্রে হজ প্রত্যাশীরা চাইলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নিতে পারেন অথবা ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করলে আবেদন করতে পারেন।

উল্লেখ্যচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা। গত বুধবার পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। শেষ সময়ে কোনো চাল আমদানি করেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। এতে বরাদ্দ করা চাল আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২ বছরে মাত্র ২৮০ টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

চাল রপ্তানিতে ভারত সরকারের শুল্ক করারোপ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকটের কারণে অনুমতি থাকলেও এতদিন চাল আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের ২১ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল দুই ধাপে দেশের ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় ছিল ১৫ মে।

বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর দেশের চালের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। গত বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে চাল আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত ১৩ মার্চ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল রয়েছে ৪৯ হাজার ও আতপ চাল ৩৪ হাজার টন। পরবর্তী সময়ে ১৬ এপ্রিল আরো ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার ও আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। সরকার আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় আমদানির সময়সীমা। সময় শেষ হওয়ায় ও শুল্ক বৃদ্ধি বহাল থাকায় বরাদ্দ করা অবশিষ্ট চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ ক্রেতা আবদুর রহিম জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে চাল আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে শুনতে পারছি। বেনাপোল বাজারের চাল বিক্রেতা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৬ টাকা, মোটা চাল ৫০, কাজল লতা ৫৫ ও বাসমতি চাল ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি হলে আর নতুন ধানের চাল কৃষকের ঘরে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করছি।

চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের নিপুণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী লিপু হোসেন জানান, এবার তারা সরকারের কাছ থেকে ৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যেই আমদানির সময় শেষ হয়েছে। এতে তার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

চাল আমদানিকারক হাজি মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আবদুস সামাদ জানান, চাল আমদানিতে ভারতে ২৫ ও বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করে তেমন লাভ নেই। নতুন করে যদি সরকার আমদানির সময়সীমা বাড়ায়, তবে তারা আমদানির সুযোগ পাবেন। বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নতুন করে চাল আমদানির অনুমতি পেলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর



অসহনীয় দুর্ভোগে ৩৩ রুটের যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় পরিবহণ খাতে নৈরাজ্য ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা-রামপুরা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগেরও সীমা নেই। এসব রুটে চলাচলকারী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে বাড়ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও মাদকাসক্ত চালকের সংখ্যা। যাদের অধিকাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আর ওই দুটি সড়কের মুখেই যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হয়। যে কারণে যানজট ও মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে এ দুটি সড়কে চলাচলকারী অন্তত ৩৩টি রুটের গণপরিবহণের যাত্রীদুর্ভোগ ব্যাপক বেড়েছে।

অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত না থেকে ব্যস্ত থাকেন চাঁদাবাজিতে যা এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে সকাল ও সন্ধ্যার পর থেকেই ওই দুটি সড়কে যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সড়কের দীর্ঘ জায়গাজুড়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহণ আটক করে চেকিংয়ের নামে হয়রানি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরিবহণ সেক্টরে ট্রাফিক ও থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসোহারাভিত্তিক চাঁদাবাজির কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এখানকার চালকরা।

তবে এ বিষয়ে ট্রাফিক ও থানা পুলিশ বলছে ভিন্নকথা। তারা বলছেন, সড়কে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য থামাতে শুধু পুলিশের একক পদক্ষেপ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিবহণ মালিক-নেতা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতিসহ নানা কমিটি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে একত্র হয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দেখা গেছে, ডেমরার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাজধানীর প্রবেশদ্বার ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের মুখে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। রয়েছে নিষিদ্ধ অটোরিকশা, ইজিবাইকও। ডেমরা চৌরাস্তা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ সিএনজি-ইজিবাইক থামিয়ে চেকিংয়ের নামে হয়রানি। দীর্ঘ সময় আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওইসব যানবাহন। দূরপাল্লার পণ্যবাহী যানবাহনকে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশকে জরিমানার নামে দিতে হয় টাকা। পাশাপাশি অনেক যানবাহনের সঙ্গে করা হচ্ছে মাসিক চুক্তি। এসব যানবাহনের অধিকাংশই ফিটনেসবিহীন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডেমরা থেকে রামপুরা সড়ক দিয়ে শহরের কয়েকটি রুটে আসমানী, রাজধানী, অছিম, স্বাধীন, আলিফ ও রমজান নামের চার শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কে চলাচল করে আসিয়ান, রানীমহল পরিবহণ, গ্রীনবাংলা, গ্লোরি ও গাউসিয়া এক্সপ্রেস নামে দেড় শতাধিক বাসসহ দেড় শতাধিক ফিটনেসবিহীন লেগুনা। একই সঙ্গে সড়ক দুটিতে বিভিন্ন দূরপাল্লার কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল করে, যেগুলোর অধিকাংশই ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলতে হয়।

বির্ভিন্ন পরিবহণের কয়েকজন চালক বলেন, আমাদের বয়স কম বলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় না। তবে পুলিশ ধরলে টাকা দিয়ে ছুটে যাই। আর মালিক ও নেতারা মাসে মাসে আমাদের কাছ থেকে আলাদা টাকা নেয় সড়কে চলাচলের জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। মাদকাসক্ত চালকের হাতে মালিকরা তাদের মূল্যবান গাড়ি তুলে দিচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসন, ট্রাফিক পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালী মহলসহ আমরা সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ট্রাফিক জোনের টিআই মৃদুল কুমার পাল বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিকের একক পদক্ষেপে স্বাভাবিকতা আনা সম্ভব নয়। সমন্বিত পদক্ষেপেই নৈরাজ্য দূর হবে। পরিবহণ খাত থেকে মাসোহারা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে সবকিছুর দায়িত্ব ট্রাফিকের। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে ১৮ বছরের নিচে কাউকেই কোনো প্রকার যানবাহন চালাতে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রস্তুত।


আরও খবর