স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ইসলামের মর্মবাণী সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছিয়ে দিতে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেয়া নির্দেশকে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা হরণের হিসেবে দেখছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির দেয়া নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় আজ ২৫ নভেম্বর, শুক্রবার, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকার মসজিদের খতিবদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করে এখন আবার ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের নিয়ন্ত্রণের নামে কন্ঠরোধ করে তাদের বাকস্বাধীনতা হরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম কবির প্রশ্ন রেখে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বসে যারা ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কি অতীতে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থেকেছেন? তারা যদি যে কোন মঞ্চে বসে রাজনৈতিক বক্তব্য দেবার অধিকার সংরক্ষণ করে থাকেন, তবে অন্য দলের নেতাদের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন তবে অন্যরা পারবেন না কেন? এমনকি সরকারী চাকুরীজীবীরা পর্যন্ত আইন অমান্য করে অতীতে সরকারী দলের হয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে সরকারের আস্থাভাজন হয়ে আলোচিত হয়েছেন। এ অবস্থায় সরকারি চাকুরীজীবিদের নিয়ন্ত্রণ না করে ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত দূরভিসন্ধিমূলক।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতি করা ও রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা। দেশের সাধারণ মানুষ ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের কন্ঠরোধের কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।