বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিম
কুল এলাকায় সীমান্তের ওপারে সকাল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী
গ্রুপ আরকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমারে
সংঘর্ষ চলাকালীন মর্টারের গোলার কিছু অংশ ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিম কূল
এলাকার বাহাদুল্লাহ’র বসত ভিটায় এসে পড়ে।
আজ সকাল ৯টা থেকে ৩৪ নম্বর সীমান্ত পিলার ডানে মিয়ানমার বিজিপি
ক্যাম্প ও মিয়ানমারের ওভজারবেশন পোস্ট দখল নেওয়ায় দেশটির সেনাবাহিনী এবং
বিদ্রোহী আরকান আর্মিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ চলমান রয়েছে বলে জানান
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ।
অপরদিকে, চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের
ভিতর থেকে আকস্মিক একটি মর্টার শেলের বিস্ফোরিত গোলার অংশ এসে পড়ে তুমব্রু
পশ্চিমকূলের স্থানীয় বাসিন্দা বাহাদুল্লাহ’র বসতবাড়ির আঙ্গিনায়। এতে স্থানীয়দের
মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঁচটি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো
বাইশফাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বুনিয়া, তুমব্রু, পশ্চিম কুল তুমব্রু,
দক্ষিণ ঘুমধম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রি রতন
চাকমা বলেন, ‘সীমান্তে দিনভর গোলাগুলির কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ
মোতাবেক পাঁচটি সীমান্ত সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সীমান্তের বাসিন্দা মো. হোছন ও বাহাদুল্লাহ স্ত্রীর খালেদা বেগম
জানান, বাড়ির দরজার সামনে মোবাইল করা অবস্থায় ফুল গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিকট
শব্দ হয়ে উঠানে মর্টারশেলের গোলার অংশ পড়ে। তবে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘সংঘর্ষ
চলমান রয়েছে, তাই পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সীমান্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য
সতর্ক করা হয়েছে। আগে মাইকিং করে এ বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছিল।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাসরুকী বলেন, ‘এটি
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।