Logo
শিরোনাম

শিবচরে কালোজিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

কালোজিরা শুধু মসলা জাতীয় ফসল নয়, মৃত্যু ছাড়া সব রোগের মহৌষধ’ - গ্রামে এমন কথার প্রচলন রয়েছে। এই মহৌষধ কালোজিরা এখন মাদারীপুরের শিবচরে কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মসলা জাতীয় এই ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত আগ্রহী কৃষকেরা। কালোজিরা তাদের কাছে এখন ‘কালো সোনা’ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

কম খরচে বেশি মুনাফা লাভের সুযোগ রয়েছে এই কালোজিরা চাষে। ফলে কালোজিরা চাষে অপার সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ কৃষক ও চাষীরা। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া কালোজিরা চাষের খুবই উপযোগী।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা কালোজিরার গাছ অনেকটা ধনিয়া গাছের মত দেখতে। সাদা ফুলে ভরে গেছে মাঠ। মৌমাছিরা মৃদু গুঞ্জরণে মুখরিত করে তুলছে ফসলের ক্ষেত। গুনগুন শব্দে মধু আহরণে ব্যস্ত ওরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ২৫৯০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের কৃষক রাজ্জাক মিয়া বলেন, ‘আমার জমিতে কালোজিরা আবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যদি কোনো সমস্যা না হয় আর বাজারমূল্য ঠিক থাকে, তাহলে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।

একই এলাকার আরেক কৃষক রোকন ফকির বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ এবং মাঠকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছি।’

কাদিরপুর ইউনিয়নের মো: ‍মজিদ হাওলাদা জানান, ‘বাড়ির পাশে ১০ শতাংশ জমিতে কালোজিরা ফসলের চাষ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে। এই জমিতে যে পরিমাণ কালোজিরা পাবো, তাতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটবে। কালোজিরা তরকারিতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তরকারি বেশ মজাদায়ক হয়।’

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় বলেন, ‘এ উপজেলার মাটি কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কালোজিরার আবাদে। বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণে কৃষকদের মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল বছরের শুরু থেকেই সেই আশঙ্কাকে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ২৩ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্যও এর আগে পাওয়া যায়নি কোনো বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও চলতি বছরের শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মারা গেছেন ২০৪ জন

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনে পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাস ভয়ঙ্কর তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিবে আগস্ট মাসে এরপরে এখনো বাকি সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এমন অবস্থায় মশা নিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই

কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক . কবিরুল বাশার বলেন, এবছর মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে এখন জুলাই শেষ আগস্ট সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবার লক্ষ্য করছি- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট সেপ্টেম্বরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে জানুয়ারিতেও ৫০০ মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না 

ঢাকা শহরেলাইট পলিউশনেরকারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কিনা জানি না লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারা দেশে মশা ছড়িয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে ভারী বর্ষণ হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। আগস্ট মাসে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে এরপর ধীরে ধীরে কমবে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আক্রান্ত মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো রিপোর্টে আসে না

তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেকে রক্ত দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায় তবে রক্ত দেয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয় সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায় আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায় কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না


আরও খবর



মুসলিম লিগের সভাপতির পদ ছাড়লেন শাহবাজ শরিফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস ডিজিটাল ডেস্ক:

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতির পদ ছেড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল সোমবার তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। খবর জিও নিউজের।

পদ ছেড়ে দিয়ে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, দলীয় প্রধান হিসেবে বড় ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঠিক অবস্থান বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে।

পিএমএল-এন সভাপতির পদ ছাড়ার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, দলের সভাপতি হিসেবে নওয়াজ শরিফকে তার যথাযথ জায়গায় ফেরার সময় এসেছে।

দলের একটি সূত্র জানায়, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি ব্যস্ততার কারণে দলীয় কাজে সময় দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দলটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।

২০১৮ সালে কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় নওয়াজকে কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানের আদালত। আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও হারান তিনি। কারণ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) মিয়া সাকিব নিসারের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ দেশটির সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ অনুচ্ছেদের অনুযায়ী রায় দেন, অযোগ্য ব্যক্তি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। 

চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। 

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের পর পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে নওয়াজের দল। 



আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




১৫ মে থেকে আবার আসছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখে ছিলো না কোনো কালবৈশাখী বা বৃষ্টি। উল্টো পুরো এপ্রিলজুড়ে সারাদেশের মানুষ পুড়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে। গরমের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে জনজীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। সেই তাপপ্রবাহ দুর করে চলতি মাসে শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। বর্তমানে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে মানুষ। তবে সেই স্বস্তি বেশিদিন থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আগামী কয়েক দিনে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে; মধ্য মে থেকে গরম বাড়বে। মাসের শেষাংশের পুরোটাজুড়েই থাকতে পারে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। এটা আরও কমে যাবে। রোববার থেকে দেশের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আর ১৫ তারিখের পর থেকে মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন,  রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; তবে রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তখন রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় হয়তো বৃষ্টি থাকবে, কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে কমে যাবে। ১৫ তারিখ থেকে পুরো মাস জুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আরেক আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিলের মতো প্রকট হবে না। কারণ, এর মধ্যেই কোনো কোনো দিন বৃষ্টি হবে। তবে মে মাসের শেষের দিকে এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়বে আরও এক ধাপ। কারণ, জুনের ১৫ তারিখ থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়। এর আগে প্রকৃতি ড্রাইআউট হয়। তখন তাপমাত্রা বাড়বে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

দেশে এখন ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার রয়েছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি।

সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাদেরকে বেকার হিসাবে গণ্য করা হয়। বিবিএস এই নিয়ম অনুসরণ করে থাকে।

এদিকে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে নারী বেকারের সংখ্যা।

বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।


আরও খবর