দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী
২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চাওয়ায় ‘অনুমোদন’ দিতে হবে
রাষ্ট্রপতিকে।
১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়
সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক হয়। পরে এক
ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, ‘১৩ দিনের জন্য অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের
বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা
হবে। এজন্য অবশ্যই সবসময় প্রস্তুতি আছে।’ গতবার ৩৮৮ উপজেলায় সেনা মোতায়েন করা
হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, তারা
(নির্বাচন কমিশন) চাচ্ছে সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে তা নিয়ে আলোচনা
হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন করবেন। তিনি যদি সিদ্ধান্ত দেন তবে
অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। ইসি যেভাবে সহায়তা চাইবে সেভাবেই আমরা সহায়তা করব।
ওয়াকার-উজ-জামান
বলেন, তারা (ইসি) চাচ্ছে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু ও ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন হোক। এ
ব্যাপারে আমাদের সামান্য সন্দেহ নেই। তারা অত্যন্ত সিরিয়াস। আমরা সশস্ত্র বাহিনী
যদি ডেপ্লয় হই, আমরা অবশ্যই সহায়তা করব। এটাই ছিল প্রারম্ভিক আলোচনা। রাষ্ট্রপতি
অনুমতি দিলে আমরা অতীতের মতোই আবার ডেপ্লয় হব; ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায়
মোতায়েন হব।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার
(সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ
করবেন। এর মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ ও র্যাবের ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১,
কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।
১৫ নভেম্বর প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী
প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই
হয় ১-৪ ডিসেম্বর, ৬ ডিসেম্বর থেকে চলছে মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের
শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮
ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।