অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ
সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া দিনের
তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার রাতে আবহাওয়া
অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত
দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা
থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও
তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে
অবস্থান করছে।
তিনি আরও জানান,
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের
তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যায় দেশের
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪
ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া
ঢাকায় ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে
ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮
ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া
নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট
আবহওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যতদিন যাচ্ছে এ জনপদে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। সন্ধার পর
থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আছন্ন হচ্ছে এখানকার পথঘাট। উত্তরের হিমেল
হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সুয়েটার, জেকেটসহ মোটা কাপড় পড়ে স্কুল কলেজে যেতে যেখা গেছে। কেউ ঘন
কুয়াশায় দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করছে। ধীরে ধীরে শীতের
তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অটোচালক তাহের বলেন,
সকাল ৮ টায় রিক্সা নিয়ে বেড়িয়েছি। প্রায় তিন ঘন্টায় আয় করেছি ৭০ টাকা। শীতের কারণে
বাইরে লোকজন কম।
উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট
ইউনিয়নের বাহার আলী (৬০) বলেন, কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। সকালে যে শীত পড়ছে রাস্তা
দেখায় যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর কষ্ট হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, শীতবস্ত্র হিসেবে উপজেলায়
৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু নির্বাচনের সিডিউল হওয়ায়, এখন পর্যন্ত
কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তা বিতরণ করা যাচ্ছে না।
রাজারহাট আবহাওয়া
অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, রবিবার সকালের দিকে জেলার
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সামনে আরও
কমার সম্ভাবনা রয়েছে।