Logo
শিরোনাম

কিলার মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুন্সী মো.আল ইমরান: রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান জামাল প্রীতির কিলার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৮ মার্চ)ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন। এর আগে মাসুমকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামি মাসুমকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

গতকাল ঢাকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন মাসুম। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই হত্যায় মাসুমের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বগুড়া থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহিদুল হত্যার পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিরা ঘটনার পাঁচ দিন আগে ‘শুটার’ মাসুমকে ভাড়া করেন বলে জানিয়েছে ডিবি।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশারোহী কলেজছাত্রী সামিয়া নিহত হন।

ডিবি জানায়, মুগদা-গোড়ান এলাকার শরীফ হত্যাসহ চার-পাঁচটি মামলার আসামি এই মাসুম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ডিবিকে বলেন, কেবল টাকার জন্য তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হন। গ্রাফিক্‌স আর্টস নিয়ে লেখাপড়া করে মুগদা এলাকায় কেব্‌ল টিভির ব্যবসা করতেন মাসুম।


আরও খবর



আলুচাষীদের মাথায় হাত, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

দুমাস আগেই বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৭৫/৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করে ভালো লাভ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আলুচাষি শমসের আলী। বেশি লাভের আশায় এবার তিনি মাহাজন থেকে টাকা ধার নিয়ে এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম কমছে। ২০ দিন আগে শমসের আলী আড়তে যে আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলু গত সপ্তাহে বিক্রি করেন ১৩ টাকা কেজিতে। এতে লাভের আশা তো দূরে, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

শুধু শমসের আলী নন, আগাম আলু চাষ করে জেলার শত শত কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে এই জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের আগাম আলুর চাষ করেছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষে আলু রোপণ করে নভেম্বরে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির কারণে খেতের বীজ নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। এ কারণে নতুন বীজ রোপণ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাষের খরচও বেড়েছে। কিন্তু আগাম জাতের সেই আলু বিক্রি করে এখন লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। এখন মাঠে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ভাঙাকোয়াটার এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। আলু পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬০০ কেজি। তাতে প্রতি কেজি আলু চাষে খরচ পড়েছে ২৩ টাকার বেশি। সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। তাতে কেজিতে ১২ থেকে ১৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড় পলাশবাড়ি এলাকার আলুচাষি মাজেদূর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে গ্র্যানুলা জাতের আলু আবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি। আলু পেয়েছেন ১৯৫ মণ। ১২ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে পান ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। তাতে তার লোকসান হয়েছে ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা।

রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের কৃষক নাজমুল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলুর বিক্রি করেছি। তখন অল্প কিছু লাভ হয়েছে। কিন্তু এখন ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। আলু যে রেখে দেব, তারও উপায় নেই। কারণ, আগাম আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না।

সদর উপজেলার ছোট বালিয়া এলাকার আলুচাষি মোস্তফা বলেন, বাজারে দাম বাড়লে মানুষ কত কথা বলে। সরকারও দাম বেঁধে দেয়। এখন প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। কিন্তু কারও মুখে কোনো কথা নেই। সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।

কৃষকের মাঠ ঘুরে ঘুরে আলু কেনেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনেছি। গত সপ্তাহেও মাঠ থেকে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেই আলু কিনছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষক যখন একটি ফসলে লাভ পান, তখন অন্যরাও সেটাতেই ঝোঁকেন। চলতি বছরে আলুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচটাও একটু বেশি পড়ছে। কিন্তু বাজারে দাম কম। এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।


আরও খবর



ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭.৭২ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২৩ ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে। এ খাতে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলারে। ২০২৩ সালে ছিল ৩২১ কোটি ৪ লাখ ডলার।

কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ ডলারে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে।

এদিকে, বাংলাদেশ ধেতে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




বার্লিনে চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক বাংলাদেশের বিধান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৭৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবে জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে থাকছেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে উৎসবের প্যানারোমা বিভাগের বিচারক থাকবেন,তিনি বলেন,উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি।এর আগে বিধান রিবেরু ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। 

বিধান বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র দেখা। এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অন্য মানুষের মতামত জানা যেমন যায়, তেমনি নিজের মতামতকেও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এত বড় উৎসবে আমি যখন যাচ্ছি, এর মাধ্যমে নিজের যেমন অংশগ্রহণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই কারণে যে বাংলাদেশ থেকে একজন চলচ্চিত্র সমালোচক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, জুরি হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য আনন্দের, ভালো লাগার ব্যাপার। তবে দেশের মানুষ কীভাবে দেখে, সেটা অবশ্য আমি জানি না।’

বিধান রিবেরু আরো বলেন এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লাভবান হয়ে থাকেন। 

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে নতুন যেসব ছবি আসছে, বিশ্বের খ্যাতনামা সব নির্মাতাদের, একেবারে ক্ল্যাসিক ঘরানার ছবি, সেসব ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় এ ধরনের বড় সব উৎসবে। সবার আগে এসব ছবি জুরি হিসেবে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এ বছর ফিপ্রেসি ১০০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক বড়মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতাও বেরিয়ে এসেছে ফিপ্রেসি পুরস্কারের মাধ্যমে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আগামীতেও ভালো ও প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা উঠে আসবেন—যা কোনো একদিন হয়তো আমিও বলতে পারব। ফিল্মের প্রতি যেহেতু আমার ভালোবাসা আছে, এতে করে আমারও একধরনের সন্তুষ্টি ঘটে।


আরও খবর

সকাল সকাল দেশ ছাড়লেন তাহসান-রোজা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




একদিনে ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ধ্বংস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

একদিনে ১০৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের তৈরি দুটি গাইডেড বোমা, মার্কিন তৈরির সাতটি এইচআইএমএআরএস রকেট প্রজেক্টাইল এবং ১০৩টি ফিক্সড-উইং ড্রোন ধ্বংস করেছে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, গত ছয় দিনে সামরিক বিমানঘাঁটি, একটি গোলাবারুদ প্ল্যান্ট, ড্রোনের গুদাম এবং সেনা সমাবেশে হামলা করেছে রাশিয়ার সেনারা।

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার রণতরী একদিনে আটটি ইউক্রেনের মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেল ধ্বংস করেছে। এছাড়া রাশিয়ার সেনাসদস্যরা কয়েকদিনের অভিযানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৫০৫ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি করছে।


আরও খবর



বেড়েছে সরবরাহ, সবজির বাজারে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। কিন্তু দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজারে মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারে সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে। তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কমাটাই স্বস্তির বিষয়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাব্বি বলেন, বাজারের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কিছু সবজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি সবজির দামি অনেকটাই কমেছে। এই বিক্রেতার দাবি, সবজির দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি। সবজি সরবরাহ বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। একই কথা বলেছেন এই বাজারের আরও কজন বিক্রেতা। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম কমায় ক্রেতারা এখন সেসব সবজি বেশি করে কিনছেন। রামপুরা, মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫