Logo
শিরোনাম

অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে বললেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে স্থাপিত সব অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।

মনজিল মোরসেদ জানান, ঢাকা জেলাসহ রাজধানীর পাশ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে স্থাপিত সব অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পরিবেশ অধিদপ্তর আদালতকে জানায়, মানিকগঞ্জের ১১টি অবৈধ ইটভাটার ৮টিতে, মুন্সীগঞ্জে ২৬টি অবৈধ ইটভাটার ১৬টিতে, ঢাকার ১১৩টির মধ্যে ২৫টিতে, গাজীপুর ৪৬টি অবৈধ ইটভাটার ৩৩টিতে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে।

রিটের পক্ষের আইনজীবী জানান, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ ইটভাটা স্থাপনে যেসব অনুমোদনপত্র প্রয়োজন সেগুলো ছাড়াই যেসব ইটভাটা এই পাঁচ জেলায় কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা এখন ভেঙে ফেলতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দাখিল করা হয়।


আরও খবর



সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ও কর অঞ্চল-৪ এর উপ-কর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


মামলার অন্য আসামি হলেন, কর অঞ্চল-৮ এর উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান । দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেসমিন প্রধান ২০২১ সালের শেষের দিকে কোনও এক সময় কর সার্কেল-১৬৫, কর অঞ্চল-০৮, এর অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে তড়িঘড়ি করে দাখিল করেন। 


এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমাজন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে দুদকের জব্দ করা নথিপত্রেও।



জেসমিন প্রধানের ২০১৬-২০১৭ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট পাঁচ করবর্ষের আয়কর রিটার্নগুলো রিটার্ন রেজিস্টারে যথাক্রমে ৮৬৮, ৬৫৩, ৭৮০, ১১০১ এবং ৫৬ নং ক্রমিকে এন্ট্রি হয়। 


রিটার্ন রেজিস্টারের রেকর্ড হতে দেখা যায়, (১) মোট আয়ের কলামে ঘষামাজা, (২) ৭৪ ধারার কর কলামে ঘষামাজা, (৩) ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ কলামে ঘষামাজা, (৪) হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি কলামে ঘষামাজা, (৫) রিটার্ন রেজিস্টারে নিট সম্পদ কলামে ভিন্ন হাতের লেখায় বিভিন্ন সংখ্যা বসানো, (৬) রিটার্ন রেজিস্টারে পারিবারিক ব্যয়ের যে তথ্য লেখা রয়েছে, আয়কর রিটার্নে এর ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


আয়কর নির্ধারণী আদেশপত্রে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রিটার্ন দাখিলের তারিখেই করদাতাকে ওই মাসের ৩১ তারিখে শুনানির জন্য ৭৯ ও ৮৩(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছিল। 


সার্কেল কর্মকর্তা খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামের কাছে করদাতার পক্ষে আয়কর আইনজীবী মো. আদনান শুনানি গ্রহণ করেন।


 শুনানি শেষে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। 


নথি অনুসারে, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সাধারণ ধারায় রিটার্ন দাখিল করলেও রিটার্নের সঙ্গে ৭৪ ধারায় প্রদেয় আয়কর ছিল নয় লাখ ৬৮ হাজার ১২৫ টাকা। যদিও ওইদিন কর দাখিল হয়নি, পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর পে-অর্ডারে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের গুলশান শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। 


আয়কর নথিতে খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম অনুস্বাক্ষরিত ও ক্যানসেল লেখা চারটি চেক সংরক্ষিত জব্দ করা হয়েছে। যা বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকে গেছে।


পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের ৩০ নভেম্বর চালানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের ২৯ নভেম্বর পাঁচ হাজার টাকা, ২০২৮-২০১৯ করবর্ষের ২ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত হয়েছে। 


কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইস্যুকৃত চেকের এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৯ টাকার চেক, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ইস্যু করা চেকের ছয় লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ টাকা এবং ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি নয় লাখ ৬০ হাজার ৬২৩ টাকার চেক জমা হয়নি। 


ওই চারটি চেক সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার কারণ ওটা ছিল পরবর্তী সময়ে দাখিল করা বলে দুদক মনে করছে।



করদাতার স্টক রেজিস্টার ও মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টার পর্যালোচনায় দেখা যায়, করদাতার ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার এবং ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।



 কিন্তু আয়কর রিটার্নে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ২১ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ওই একই আয় ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। 


অর্থাৎ করদাতার আয়কর রিটার্নের সঙ্গে স্টক রেজিস্টার এবং মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টারের কোনও মিল পাওয়া যায়নি।


এ অবস্থায় জেসমিন প্রধান কর অঞ্চল-৮ এর কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে করে দাখিল করে সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন করেছেন। 


ওই সার্কেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা রিটার্ন রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদির পরিবর্তন করার সঙ্গে আসামিদের সরাসরি জড়িত ছিলেন বা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। 


যে কারণে মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।


 ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন।


অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ২০২০ সালের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। 


কুয়েতের রায়ের নথি হাতে পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে জাতীয় সংসদ।


আরও খবর



নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ মে দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের মহাদেবপুর থানাধীন (নওহাটামোড়) চৌমাশিয়া বাজারে। নিহত শিশু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন এর ছেলে বাধন হোসেন (১০)। স্থানিয় লোকজন ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওহাটামোড় বাজারের কফিল চাউল মিলে লেবার হিসেবে শিশুর বাবা শামিম হোসেন ও তার মা একই চাতালে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার সময় শিশু বাধন চাতালের সামনে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে নওগাঁ অভিমুখি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস শিশুটিকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু বাধন হোসেন এর মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে স্থানিয় নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে   বাসটি সনাক্ত করনের কাজ চলছে একই সাথে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর



করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বছর ধরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকারক প্রভাব মামলায় জর্জরিত রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এত দিন কোম্পানি বলে এসেছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এই কোভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এই ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার মুখে পড়েছেন। অ্যাটর্নিদের মতে, কিছু পরিবার টিকা দেয়ার একটি বিধ্বংসী প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে অবশেষে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে তার কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে হলেও, টিটিএস-এর কারণ হতে পারে।


টিটিএস কী


টিটিএস-এর সম্পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস)। এটি একটি খুব বিরল সিন্ড্রোম, যা রক্ত
​​জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) এবং কম প্লেটলেট সংখ্যা (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ভিআইটিটি নামেও অভিহিত করা হয়, যার পূর্ণ রূপ 'ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া'। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে থ্রম্বোসিস হতে পারে, যা প্রভাবিত রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া শরীরে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম হওয়ার সময় ঘটে। সাধারণত, প্লেটলেটগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত রোধ করতে রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর সেই প্লেট সংখ্যা কমে গেলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক।

 

গত বছর, জেমি স্কট, দুই সন্তানের পিতা, ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, স্কট উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনা রুখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন। এর ফলে তার রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল নাকি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে স্কট বেঁচে থাকতে পারবেন না। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে এই দাবিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এত দিন ধরে। এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে এক মেইল পাঠিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বীকার করি না আমরা।

যাইহোক, এত দিন পর কোম্পানির স্বীকারোক্তি তাকে বিরাট ক্ষতিপূরণের মুখে ফেলে দিতে পারে। কারণ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মোট ৫০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।


আরও খবর



নেত্রকোনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে নেত্রকোনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলার পৌর শহরের ঐতিহাতিক মোক্তারপাড়া ঈদ গা মাঠে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হন বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজের ইমামতি করেন মুফতি তাহের কাছেমি। পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন এবং খুতবা শেষে দোয়া করেন। দোয়ার মধ্যে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়।

নামাজ আদায় শেষে আলহুদা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আহমুদ বিন আব্দুল খালেক বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

এছাড়া উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইসতিসকার নামাজ আমাদের বিশ্ব নবীর সুন্নত। তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় আমরা নেত্রকোনাবাসী বিশ্ব নবীর সুন্নত দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এই নামাজে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারাও এসে উপস্থিত হয়েছে। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে যেন সারা দেশে আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়। যে বৃষ্টি মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সকলের জন্য উপকার হবে। 


আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর