সদরুল আইন,সাংবাদিক,গবেষক
ত্রি-ভূজ প্রেমের ব্যর্থ মঞ্চায়ণ দ্বাদ্বশ সংসদ নির্বাচনে দেখতে যাচ্ছে গাজীপুর-৩ আসনবাসি।বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন সবুজকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে শীর্ষ পদ দখলসহ সংসদীয় আসনটি নিজেদের করে নিতে একটি বলয় ত্রি-ভূজ প্রেমের যে রাজনীতির অভিযাত্রা শুরু করেছেন তা ব্যর্থ হবে।এই আসনে আ.লীগের মনোনয়নে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এর কারন হিসেবে তারা বলছেন,বর্তমান এমপি জনপ্রিয়।জনগনের সাথে তার নিত্য সম্পর্ক বিদ্যমান।তার সময়ে তিনি প্রতিশোধ প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন।
এছাড়া অতীত শাসকদের ভূমিদখল,বিভিন্ন বাহিনি গঠন,পদ পদবি বিক্রি,ফেসবুক কমিটি গঠন এবং অতীতের বিদ্যমান প্যাকেট সংস্কৃতি প্রথা বিলুপ্ত করে জননিপীড়নের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ,চাঁদাবাজি,মাদকের বিস্তারের বিরুদ্ধে এমপি সবুজ জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহন করেছেন।অপরাধী নিজের অনুসারি হলেও তার পক্ষ নেন না তিনি।
বিশেষ করে করোনাকালে তার ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম এবং অতীতের যে কোন সময়ের থেকে এই আসনে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারনে তার সাফল্যের পালকে যাগ হয়েছে জনআস্থা। মানুষ নিরাপদ অবিচারমুক্ত মুক্ত জীবনের স্বাদ পেয়েছে এবং তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিরাপদ জীবনযাত্রায় সামীল হয়েছে।
তবে তার রাজনৈতিক নিকট সহযোদ্ধা ও বিশেষ শুভার্থিদের মনে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ রয়েছে নানাবিধ কারনে।কমিটি গঠন,সঠিক নেতৃত্ব সৃষ্টি,পদায়ণে দুরদৃষ্টির সাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি যা তার চলার পথে সুখকর না হয়ে কাঁটা হয়ে তারা বিধতে পারে পায়ে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনপ্রিয় নেতৃত্ব ইকবাল হোসেন সবুজ তৃণমূল থেকে উঠে আসা প্রখর দুরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক।যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিকে তিনি সঠিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখেন।
যারা তাকে উপড়ে ফেলতে বিশেষ মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন,জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা ব্যর্থ ও বিতর্কিত ছিলেন এবং আছেন।পেশী শক্তির বিকাশ,সম্মানীত মানুষের সম্মান ক্ষুন্ন,অন্যকে তোয়াক্কা না করা, বিতর্কিত কর্মকান্ড,জননিপীড়নের রেকর্ড থাকায় এই মিশনে তারা ব্যর্থ হবেন।বিপুল জনসমর্থনের ঠিকানায় পৌঁছাতে তাদের ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বাদ্বশ সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসবেন এ সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।
একই সাথে বিশেষ মিশনে থাকা রাজনৈতিকদের অনেকেরই জনপ্রতিনিধিত্ব ও রাজনৈতিক পদসমুহ থেকে চিরতরে ছিটকে পড়ার সমুহ সম্ভাবনা তৈরি হবে।অবসান হবে ত্রিভূজ প্রেমের নাটকীয়তা।