সদরুল আইন,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তার দেশের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রস্তাবিত কিছু কিছু সংশোধনী কার্যকরী নয়, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খবর আলজাজিরার।
দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে আলোচনা শেষে ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের সাড়া দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে গাজা যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে ওঠা প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। গত রাতে আমরা এই পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে মিসরীয় সহকর্মীদের সঙ্গে এবং আজ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রস্তাবনার কিছু পরিবর্তন কার্যকরী, আবার কিছু কার্যকরী নয়।’
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে গত মাসে ওয়াশিংটন এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। গত মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামি জিহাদ যৌথভাবে এতে সাড়া দেয়। এই পরিকল্পনা ‘ইতিবাচক’ ও ‘দায়িত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করে সংগঠন দুটি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে গাজায় চলতে থাকা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ করতে এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করেই এই সাড়া প্রদান করা হয়েছে।
গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েক ধাপের যে প্রস্তাবনার ঘোষণা দেন, তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার ও স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে হামাসের অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী কী অসঙ্গতি রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মঙ্গলবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দায়ী করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৬ মে হামাসের দেওয়া প্রস্তাব এবং বর্তমানে আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তির বিষয়গুলো কার্যত অভিন্ন। এই চুক্তির পেছনে পুরো বিশ্ব রয়েছে, এই চুক্তি ইসরায়েলও গ্রহণ করেছে। আর এক্ষেত্রে হামাস একটিমাত্র শব্দ উচ্চারণ করতে পারে সেটা হলো–হ্যাঁ। তবে তা না করে হামাস দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে এবং আরও পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে এর আগে মেনে নেওয়া অবস্থানের বাইরে চলে গেছে তারা।’
হামাসের একজন কর্মকর্তা তাহের আল নানু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এমন আচরণ করছেন যেন তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্লিঙ্কেনের নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাহের আল নানু।