Logo
শিরোনাম

আজ সেরা আটে যাওয়ার লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:


যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। দেশটির সেন্ট ভিনসেন্টে অবস্থিত আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে আজ রাত সাড়ে ৮টায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।



 এটি নাজমুল হোসেন শান্তদের তিন নম্বর ম্যাচ। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে এসেছেন তারা। মার্কিন মুলুকে লঙ্কানদের হারাতে পারলেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পরাস্ত হয়েছে টাইগার বাহিনী। তাতে সেরা আটে যাওয়ার জন্য আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। 


এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে পরের পর্বের জন্য অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন শান্তরা। সেজন্য ডাচ বাধা কাটাতে মরিয়া বাংলাদেশ।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গেল আসরে নেদারল্যান্ডসকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানরা এই দলকে হারিয়েই সেবার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলেন। তারপর আরও একটি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে যাওয়া হয়নি। 


কিন্তু এবার সেরা আট হাতছানি দিচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এখন পর্যন্ত চার বার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। এর মধ্যে তিন বার জয় তুলে নিয়েছে টাইগার বাহিনী। 



২০১৬ বিশ্বকাপের পর ২০২২ বিশ্বকাপেও জয় এসেছে। ২০১২ সালে তিন জাতি সিরিজে ১ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই পরিসংখ্যান বাদ দিলে বিশ্বকাপের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন শান্তরা।



গত প্রায় ১০ বছর ধরে আর্নোস ভ্যালেতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে না। এবার সেখানেই নামবে বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মতো ভরাডুবি হবে না। তবে দীর্ঘদিন ম্যাচ না হওয়ায় উইন্ডিজের এই উইকেট সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। 



এই ম্যাচটি ‘ডি’ গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল হিসেবে সামনে এসেছে। দ. আফ্রিকা সেরা আট নিশ্চিত করার কারণে আজকের ম্যাচে যারাই জয় তুলে নিতে পারবে, দ্বিতীয় দল হিসেবে সেই দৌড়ে তারাই এগিয়ে থাকবে।


 আপাতত সেই লড়াই মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায়। 


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




মাভাবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, হ তে হাসিনা তুই খুনি তুই খুনি, ক তে কাদের তুই খুনি তুই খুনি, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের বিচারে অগ্রগতি নেই। হাজারো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”, “আমরা জানতে চাই, আর কত রক্ত ঝরলে বিচার হবে? আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিলম্বে আমরা আর শান্ত থাকব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন,অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও বিচারপ্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট হয়। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ছাত্র জনতা ঘরে ফিরবে না।

বিজিই  বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন ,ছাত্রসমাজ আর চুপ করে থাকবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”আমাদের দাবি স্পষ্ট—যে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”এই আন্দোলন কোনো দলের পক্ষে নয়, বরং গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত।


আরও খবর



রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন বেহাত না হয়, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুধুমাত্র সরকারের নয়, দেশের সব নাগরিকের।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়ে যায়। যেন এ সুযোগকে কেন্দ্র করে আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি, যেখানে কোনো অবস্থাতেই কাউকে নিপীড়নের মুখে না পড়তে হয়, বিচার বা বিচার বর্হিভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন তাকে মোকাবিলা করতে না হয়৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের যাত্রা।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল, সে সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বর্হিভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন, সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।

এ সময় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ব্যার্থ না হয় সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতি এক নতুন বাংলাদেশ চায়। ৫৪ বছরের বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) আবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে। দেশ এবং জাতি নতুন করে আবার পুর্নগঠিত হবে, যখনই আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো সেখানেও আপনাদের ভূমিকা থাকবে, এটা আমরা আশা করি।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই উদ্যোগ সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার ফল। এরই অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং তাগিদ রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক,ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।


আরও খবর



মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া সিডিএস অনিল চৌহানও সেখানে উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লির বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের এ নিরাপত্তা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধান—সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং।

বৈঠকে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী, গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডেকা এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধান রবি সিনহা।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন মাত্র দু’দিন আগে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর গত শনিবার দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে সব সামরিক তৎপরতা বন্ধে সম্মত হয়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের পরবর্তী ধাপ ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারত যে ৩২টি বিমানবন্দর বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল, সেগুলো আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা উদ্বুদ্ধ করবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন‍্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩শ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট ৩শটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর প্রদান করা হয়।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।


আরও খবর



ক্রিকেটের নামে অশ্লীলতা, নির্মাতা ও অভিনেত্রীদের লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শোবিজের তারকাদের অংশগ্রহণে বহুল আলোচিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ সদ্যই শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে স্বপ্নধরা স্পারটান্সর মুখোমুখি হয় গিগাবাইট টাইটানস। রাত ১০টায় খেলা শেষে ৯ উইকেটে জয়ী হয় গিগাবাইট টাইটানস।

সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫র আসরের আয়োজন নিয়ে এবার অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছে। যার দরুণ এই ক্রিকেট লিগের কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, অশ্লীলতার অভিযোগে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের মেন্টর নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, তানিম রহমান অংশু এবং মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটপ্রেমী। ক্রিকেটের প্রতি আবেগপ্রবণ, তাই বাংলাদেশের ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন এবং ক্রিকেট নিয়ে নানা কৌতূহল থাকে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগের সব ক্রিকেট খেলাই শিশু থেকে বয়স্ক সবাই পরিবারকে নিয়ে দেখেন এবং দেখার ইচ্ছা করে। তবে যদি হয় সেই ক্রিকেট ম্যাচ সেলিব্রিটি নিয়ে- তাহলে সাধারণ জনগণের মাঝে আরও কৌতূহল থাকে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার, হোক সেটি সরাসরি বা অনলাইনে।

বর্তমানে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ-২০২৫ টুর্নামেন্ট ছাড়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মডেলসহ ছোট ও বড়পর্দার অভিনেত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন। সেই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশা তাদের শালীনতা বজায় না রেখে অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গিমাসহ ক্রিকেট খেলার জন্য বা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঠিক ড্রেস না পরে ছোট ছোট ড্রেস পরে ক্রিকেট খেলার নামে সমাজে ছোট-বড় সবার মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা ক্রিকেট প্রেমীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। একইসঙ্গে সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং অভিনেত্রী মারুফা আক্তার জামান নিজেও ইন্টারভিউতে বলেন, ফিগার যদি না দেখাতে পারে তাহলে কীভাবে হলো? এ থেকে স্পষ্ট, ক্রিকেটের নামে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন অভিনেত্রীরা, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ যেহেতু মুসলিম মানুষ এবং ইসলামকে ধারণ করে, তাই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ নামে অশ্লীলতাকে ছড়িয়ে না দিয়ে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের সব খেলোয়াড়দের শালীন ড্রেস মেইনটেইন করে খেলার জন্য আহ্বান করা হলো। তাতে যেমন সমাজ অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আরও বেশি ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।

এছাড়া নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও তানিম রহমান অংশু উক্ত খেলা পরিচালনা করছেন, তাই তাদের সুপরামর্শে অশ্লীল ড্রেসকোড পরা অভিনেত্রীদের শালীনতায় ফিরিয়ে আনবেন এবং ক্রিকেট খেলার নামে যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে তা থেকে ক্রিকেটকে মুক্ত রাখবেন এবং নোটিশ গ্রহীতা মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশা ক্রিকেট খেলার নামে অশ্লীল ড্রেস কোড না পরে সুন্দর শালিন ড্রেস কোডের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণের ও প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করা হলো।

তাদের আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অশ্লীল ড্রেস পরে ও অঙ্গ-ভঙ্গি করে কেন ক্রিকেট খেলার মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়েছেন, তার জন্য জবাব দাখিল করতে বলা হলো। অন্যথায় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ-২০২৫ এই ক্রিকেট খেলা নিয়ে সমাজে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৫ মে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আর টুর্নামেন্টের পর্দা নামে গতকাল। এ আসরে জয় লাভ করেছে গিগাবাইট টাইটানস। আর দলটিতে খেলেছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, শরিফুল রাজ, মৌসুমী হামিদ, মেহজাবীন চৌধুরী প্রমুখ।

টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নেয়। দলগুলো হচ্ছে- গিগাবাইট টাইটানস, জেভিকো কিংস, নাইট রাইডার্স ও স্বপ্নধরা স্পারটানস।


আরও খবর