![Image](https://cdn.bdtodays.com/images/4b54f91e676a39a26c9b4d21f6b6a971.jpeg)
একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। নাড়ির টান আর প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ
ভাগাভাগি করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে বাস
টার্মিনালগুলোতে ইতোমধ্যে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শনিবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী
বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার সকাল থেকে
সড়ক পথে মানুষের চাপ চোখে পড়ার মতো।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, যারা মূলত বেসরকারি চাকরি করেন তারাই আজ ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন। শনিবার
বাধ্যতামূলক অফিসে হাজিরা দিতে হবে, তাই কোনরকম হাজিরা দিয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা
দিয়েছেন অনেকে। আর সরকারি চাকরিজীবীদের অধিকাংশই শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি থাকায়
আগেই নিজ নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,
ঈদকে কেন্দ্র করে যারা ঢাকা ছাড়ছেন, তাদের অধিকাংশই সন্তান পরিবার নিয়ে বাস
টার্মিনালে এসেছেন। আবার কেউ কেউ সমবয়সীদের সঙ্গে কেউবা একাই এসেছেন। কর্মব্যস্ত
এসব মানুষের যেন সময় নেই। কত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেই তাড়া দেখা গেল
সবার মাঝে। যাত্রাপথে ভোগান্তি হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে
গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাত্রা করতে পেরে বেশ খুশি তারা।
মহাখালী বাস
টার্মিনালে ঢুকতেই ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের কাউন্টারে দেখা গেলো যাত্রীদের উপচে
পড়া ভিড়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কেউ কেউ টিকিটের জন্য ২০
থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহন
কাউন্টারে গিয়েও দেখা যায় যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। তাদের প্রত্যেকেই ঢাকা থেকে
কিশোরগঞ্জ ফিরছেন। একইচিত্র দেখা গেছে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলগামী
বাসগুলোর কাউন্টারেও।
রাজিব আহমেদ নামে এক
যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের আগে জামালপুর রোডে প্রচুর যানজট হয়,
যাত্রীদের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে আজও এরকমটাই হবে। কাউন্টার এসে দেখি প্রচুর মানুষের
ভিড়। যে সময়ে কাউন্টার এসেছি, অনেক দূর চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু এনা পরিবহনের
গাড়ির এখনো সিরিয়ালে আছি।
তিনি বলেন, ঈদের আগে
এই ঝামেলা হতে পারে ভেবে সপ্তাহখানেক আগেই স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন
একাই যাচ্ছি, কষ্ট হলেও এখন তেমন একটা খারাপ লাগছে না।
কিশোরগঞ্জগামী মওদুদ
আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে থেকেই ঈদের একটা ফিল শুরু হয়ে গেছে। তাই সকাল থেকেই কখন
বাড়ি ফিরবো সেই চিন্তা। বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই সকালে অফিসে
গিয়েছি। এরপর অফিসে গিয়েই বসকে বলে আবার বেড়িয়ে চলে এসেছি। যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়
হলেও ভালো লাগছে।
অনন্যা পরিবহনের টিকেট
কাউন্টারে দায়িত্বরত রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরোদমে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ঢাকা ছাড়ছে
মানুষ। ভোর ৫টা থেকেই যাত্রীরা কাউন্টারে আসতে শুরু করছেন। প্রতিটি বাসই একদম
পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তবে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা বাসগুলোর এখন সিট ফাঁকা রেখেই ঢাকায় ঢুকছে।
ভাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা কোন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না। মালিক সমিতি থেকে কড়া নির্দেশ, লস হলেও এক টাকা ভাড়া অতিরিক্ত নেওয়া যাবে না।