Logo
শিরোনাম

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩০ কি.মি. যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে রিপোর্ট:


ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 


উত্তরের পথে আজ শুক্রবার সকালে যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও দুপুরের পর গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রায় ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 




এদিন দুপুরের পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। গণপরিবহণ ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মোটর সাইকেল, এমনকি গাড়ির ছাদেও চড়ে হলেও স্বজনদের কাছে ফিরছে মানুষ। 



এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল নগর জলফৈ বাইপাস পর্যন্ত কালিহাতী অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীদের মতে, কিছু যানবাহন বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করায় এই যানজট আরও ভয়াবহ হয়েছে। 



ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৮ টার সময় রওনা হয়ে ৭ ঘন্টারও বেশি সময় পর কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা-ভূঞাপুর লিংক রোডে পৌছেছেন লালমনিরহাটের আমেনা আক্তার। বাড়ি পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে সেই অনিশ্চয়তা ফুটে উঠেছে তার চোখে-মুখে। 


তার অভিযোগ, রাস্তায় পানিসহ সব ধরণের খাবারের দাম কয়েকগুন বেশি রাখা হচ্ছে।


এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে হটাৎ করে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।


 দুপুরের পর এই চাপ আরও বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চাপ আরও বাড়তে পরে।  গুরুত্বপূর্ণ  বিভিন্ন পয়েন্টে এবং মোড়ে মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



আলু পেঁয়াজ কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম আরও বেড়েছে। দর বাড়ার তালিকায় রয়েছে রসুন, আদাসহ কয়েকটি পণ্য। তবে চাল, ডাল ও আটা-ময়দার দাম আগের মতোই রয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়তি। গরমে মুরগি মারা যাওয়ায় বেড়েছে ডিমের দাম। আর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি বলে দর বেড়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাড়তে শুরু করে আলুর দর। এরপর আমদানির আলু আসার পর পণ্যটির দর কিছুটা কমে। এবার মৌসুমেও আলুর দর তেমন কমেনি। গতকাল খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কারওয়ান বাজারের আলু ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান সমকালকে বলেন, হিমাগারের গেটে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। এরপর পরিবহন খরচ ও ঘাটতি আছে। সব হিসাবনিকাশ করে ৫৫ টাকার কমে বেচলে লাভ থাকে না।

সরবরাহে ঘাটতির ছুতায় এক মাস ধরে কাঁচামরিচের বাজার চড়া। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। সেই হিসাবে এক মাসে দর বেড়েছে দ্বিগুণের মতো।

দাম বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এক সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৩০০ টন কাঁচামরিচ আমদানিও হয়। তবে বাজারে এখনও পণ্যটির দর কমেনি।

ডিমের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে বেশি বেচাকেনা হয় বাদামি রঙের ডিম। খুচরায় এ ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। হালি হিসাবে (৪টি) কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।

ডিমের দর বাড়ার জন্য করপোরেটদের দায়ী করছেন ছোট খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বড় প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার বড় পাইকাররা সিন্ডিকেট করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করছে। এতে ছোট খামারিরা হুমকির মুখে পড়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন হেরফের দেখা যায়নি মুরগির বাজারে। ব্রয়লারের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগির প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানির অনুমতি থাকলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে কম। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এতে দরও বাড়ছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

গত সপ্তাহের মতো দেশি রসুন প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় ও আমদানি করা চায়না রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে দেশি ও আমদানি করা প্রতি কেজি আদা ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে টমেটোর কেজি ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গতকাল তা বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বাজারে নতুন কচুরমুখি এসেছ, বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তি পেঁপের বাজার। গতকাল এক কেজি পেঁপে কিনতে গুনতে হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। শসার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ও করলা আগের মতোই প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ৬০ টাকার আশপাশের দরে।


আরও খবর



যুদ্ধে অর্থ ব্যয় না করে ক্ষুধার্ত মানুষের পেছনে ব্যয় করুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

যুদ্ধ-সংঘাতে বিশ্বশান্তি ব্যাহত হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে, মানুষের জীবন তত দুর্বিষহ হচ্ছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। এ যুদ্ধ মানবজাতির কোনো কল্যাণ বয়ে আনছে না।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে রক্ষা, ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণ ও শিক্ষাবঞ্চিতদের পেছনে ব্যয় করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। জাতিসংঘ এখন আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছে।


আরও খবর



মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছে না তৃণমূল, মমতার স্পষ্ট বার্তা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:



ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।


লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে গতকাল শনিবার বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর তিনি বলেন, রোববার (৯ জুন) মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেবে না।



বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমরা এখনো আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পেলেও আমরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেব না।’


মমতা আরও বলেন, এই সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে গঠিত হচ্ছে। তাই তারা এই সরকারকে শুভকামনা জানাতে পারেন না। তবে তারা দেশ ও দেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।



এদিকে টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। এর মাধ্যমে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে টানা তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হবেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। একই দিন শপথ নেবেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।


এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কার্যত সাজ সাজ রব দিল্লি জুড়ে। রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত দেশের রাষ্ট্র নেতারা।


 অন্যরা হলেন—শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সিসিলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং তোবগে। এছাড়াও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজনকে।


টানা দুই মেয়াদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ছিল মোদির দল বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। যদিও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। 


তাই জোট শরিকদের ওপর ভর করেই তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদি। গত শুক্রবার এনডিএ জোটের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন দেন। এরপরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানান।


আরও খবর



ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধ মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজে অবৈধভাবে ৭২ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


 বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রুহল হক বাদী হায়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কামরুন নাহার এক আদেশে অবৈধ প্রক্রিয়ার ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রধান করে অপরাধমূলক অসদাচরণ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।


মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল এক আদেশ অবৈধ প্রক্রিয়া শুরু করে ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেছেন। অথচ কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি কোনো শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবে না। 


তারপরও কামরুন নাহার নোটিশ বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে একক স্বাক্ষরে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেছেন। ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করার কারণে নতুন করে এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্য পদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দেয়া হয় অস্থায়ীভাবে। স্কুল ফান্ড থেকে তাদের যাবতীয় বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। 


এই অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্তদের অব্যাহতি প্রদান বা পরবর্তীতে এনটিআরসির মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কোনো ধরনের ব্যবস্থা কামরুন নাহার নিজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি গ্রহণ করেননি। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের কোনো ধরনের লিখিত পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। 



শুধুমাত্র অল্প কয়েকজনের ডেমোলট্রেশন ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে নামমাত্র একটি নিয়োগ কমিটি করে এই কমিটির মাধ্যমে শুধু প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই করে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এসব নিয়োগ দিয়েছেন।



পরবর্তীতে এসব শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করেছেন।



এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে, কোনো প্রকারের জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, কোনো লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে, অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে শুধুমাত্র শিক্ষাগত সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে একক আদেশে মোট ৭২ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।



আরও খবর



তদন্তাধীন মামলায় গণমাধ্যমে বিবৃতি বন্ধে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

আনার হত্যাকাণ্ডসহ সব তদন্তাধীন মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের আগে গণমাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন না করা সংক্রান্ত হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের কমিশনার বরাবর এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদাহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যে ঘটনা টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত। তার মরদেহ সম্পূর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইলেকট্রনিক, প্রেস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিয়েল টাইম আপডেট প্রচার করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। সময়ে সময়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিকরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানান ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। এমন প্রেক্ষিত বিবেচনায় গণমাধ্যমের সামনে কর্তৃপক্ষ উত্তর দিচ্ছেন। ছোটো-খাটো অনেক বিষয় উঠে আসছে। লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম পছন্দ অনুযায়ী হেডলাইন করছে। ফ্রিল্যান্সাররা খণ্ডাংশ উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। এ বিষয়ে হরেক-রকম বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

অতীতেও তদন্তনাধীন চাঞ্চল্যকর ঘটনার ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। তন্মধ্যে বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড, ফেনীর নুসরাত হত্যাকাণ্ড, ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরাম হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য।

এই সংক্রান্তে আমাদের হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র (৩৯ বিএলডি ৪৭০) মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

ওই রায়ের বলা হয়, এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা খুবই সংগত হবে যে, ইদানীং প্রায়শই লক্ষ্য করা যায় যে, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার পূর্বেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যা অনেকসময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর এবং অনুমোদনযোগ্য এবং বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে।

আমাদের সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে একজন অভিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে, তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সংগত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয় এবং তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের পূর্বে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন সমীচীন নয়, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিতর্ক বা প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

রায়ে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থাপনের পূর্বেই গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন এবং কোনো মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে তদন্ত বিষয়ে কতটুকু তথ্য গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা সমীচীন হবে সে সর্ম্পকে একটি নীতিমালা অতি দ্রুততার সঙ্গে প্রণয়ন করা বাঞ্ছনীয়। এই নীতিমালা প্রণয়ন ও যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ/সুরক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিদর্শক, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া গেল।

সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের ঘোষিত রায় সবার জন্য বাধ্যকর। ফলশ্রুতিতে হাইকোর্ট বিভাগের উল্লেখিত রায় সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অবশ্য পালনীয়।

এমন পরিস্থিতিতে আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডসহ সব তদন্তাধীন মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে যথাযথ আইনি প্রতিকার চাওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর