Logo
শিরোনাম

রাণীনগরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে এসএসসিতে জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে ১০৮জন শিক্ষার্থীদের এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। 

রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্টিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাস্সম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম,কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হকসহ জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপূরে মেডিকেল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নওগাঁ মেডিকেল কলেজ চালুর পর থেকেই বরাবরই প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেছে। বড় মেডিকেল কলেজগুলোর মতো প্রায় সব সুবিধা থাকার পরও শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে এটি বন্ধের অনেক অপচেষ্টা চলছে। তাই ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানানো হয়। 


আরও খবর



নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতি, ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার ৩ মার্চ দুপুর ১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে  এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭),  হাতিয়র গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), ও একই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭) ও একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বললেন, চলতি করবর্ষে অনলাইন রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।

আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।

শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।

করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।

ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।

ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।


আরও খবর



১৮৯ জন নারী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭২ জন কন্যা ও ১১৭ জন নারীসহ ১৮৯ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩০ জন কন্যাসহ ৪৮ জন।

এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে তিনজন কন্যাসহ ১১ জনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদ আরো জানায়, চারজন কন্যাসহ পাঁচজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি ছয়জন কন্যাসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১০ জন। উত্ত্যক্ত করায় এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।

অগ্নিদগ্ধের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার তিনজন এবং একই কারণে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন কন্যাসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। তিনজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন, এর মধ্যে দুজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনজন কন্যাসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন কন্যাসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। আটজন কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। একজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন।

তিন কন্যাসহ মোট ৬ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।


আরও খবর



বাসে তুলে অটোরিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফের বিরুদ্ধে মো. লিটন মিয়া (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে এবং তাকওয়া পরিবহন বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা।

৪ মার্চ সকালে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার মানুষ। দুপুর ১০টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান। এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাদখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‍গতকাল বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্বামীকে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা জোর করে তুলে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা পর দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।

নিহতের ছোট ভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করল, অথচ মামলা করার পরামর্শ দেন সড়ক দুর্ঘটনা। এ জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১২টার দিকে সবাই সড়ক থেকে সরে যান।

অটোরিকশা চালক মহসিন বলেন, তাকওয়া পরিবহনের বাসের স্টাফরা করতে পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই। একজনকে খুন এটা তো তাদের জন্য খুবই সামান্য কাজ। ওরা বাসে নারীদের ধর্ষণ করতে পারে। শিশুদের ধর্ষণ করতে পারে। আমাদের একজন চালককে তুলে খুন করল অথচ মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

ইমাম পরিবহনের চালক মোকলেছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সড়কে আটকে ছিলাম। হাজার-হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা খুবই কষ্ট পেয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাকওয়া পরিবহন বন্ধ না করলে ওরা সড়ক ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল সড়কে।


আরও খবর