Logo
শিরোনাম

রাণীনগরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে এসএসসিতে জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে ১০৮জন শিক্ষার্থীদের এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। 

রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্টিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাস্সম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম,কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হকসহ জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সিলেটে ৬ লাখ মানুুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ |

Image



সিলেট অফিস:


সিলেটের পাঁচ উপজেলার বেশিরভাগ স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। 


ভারতের পাহাড়ি ঢলের প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে। তবে সিলেটের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৬ লাখ মানুষ।  


এদিকে শুক্রবার (৩১ মে) তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও উজানের পানি নিচের দিকে নেমে বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হচ্ছে। সিলেটে নগরীর মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। 


সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 


নগরের কাজিরবাজারসহ যেসব ড্রেন সুরমায় পড়েছে, সেসব ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের বদলে উল্টো পানি ঢুকছে। এর জন্য এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।  



এদিকে গোয়াইঘাট উপজেলার কিছু কিছু রাস্তাঘাট ভেসে উঠলেও ক্ষত চিহ্ন ভয়াবহ। ১৩টি ইউনয়নের রাস্তাঘাট, সড়ক, ব্রিজ, কালভার্টসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপন করছে প্রশাসন। বৃহষ্পতিবার কমলগঞ্জে পাত্রখলা চা-বাগানে টিলা ধসে এক মহিলা চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়।  


গত বুধবার ও বৃহষ্পতিবারের প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের ৫ উপজেলার অন্তত ৭০০ গ্রামের ৬ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বহু স্থানে রাস্তাঘাট ডুবে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। 


বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল, বাড়িঘর ও বহু মাছের ঘের। সবজি ক্ষেতগুলেতে পানির ঢেউ খেলছে।  



সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের খোলা ৪৫২টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উঁচু ভবনে বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। 


এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন সিলেটের সবকটি পর্যটন কেন্দ্র বৃহষ্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করেছে। সাদা পাথর, রাতারগুলসহ বিভিন্ন পর্যটকেন্দ্রে এখন পর্যটকদের ভীড় থাকার কথা। কিন্তু এসব স্থানে পানির তীব্র স্রোত। 





আরও খবর



নওগাঁয় পৃথক দুটি স্থানে ভুটভুটির ধাক্কায় দু'জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক স্থানে ভুটভুটির ধাক্কায় দু'জনের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা ১০ টার দিকে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বালুঘা মোড় এলাকায় হাবিবর রহমান (৫০) নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। অপরদিকে বদলগাছী উপজেলার কেসাইল চাওলাকালি বাজারে শনিবার দুপুরে আব্দুর রশিদ (৫৫) নামের অপর এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। দু'টি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পত্নীতলা ও বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ।

নিহত দু জন হচ্ছেন, বদলগাছী উপজেলার পারোরা গ্রামের মৃত ফারেজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ ও পত্নীতলার মহিমাপুর গ্রামের মৃত কেয়াম উদ্দিনের ছেলে হাবিবর রহমান। 

জানা যায়, নিহত আব্দুর রশিদ গরু বিক্রয়ের জন্য আক্কেলপুর বাজারে যাওয়ার পথে কেসাইল চাওলাকালি বাজারে পৌছালে তুস বোঝায় একটি ভটভটির চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, নিহত হবিবর রহমান বাই সাইকেল নিয়ে নজিপুর থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। একই দিক থেকে আসা মুরগী বাহী একটি ভুটভুটি পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোন অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। 


আরও খবর



ইসরাইলকে রাফায় হামলা বন্ধের আদেশ আইসিজের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার (২৪ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন। খবর আল জাজিরার।

আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, মার্চ মাসে আদালতের শেষ আদেশের পর থেকে রাফায় মানবিক পরিস্থিতির আরো অবণতি হয়েছে। তিনি বলেন, রাফায় মানবিক পরিস্থিতি এখন বিপর্যয়কর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। আদালত নিশ্চিত নয় যে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েল যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট কি না। বিশেষ করে সম্প্রতি রাফা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাফায় সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

রাফায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে নওয়াফ সালাম বলেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে রাফায় সামরিক আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। এই হামলা গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর উপর আঘাত করতে পারে। সেখানে বসবাসকারীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করবে এবং তাদের শারীরিক ধ্বংসও ডেকে আনতে পারে।

আইসিজে কর্তৃক আদেশকৃত ব্যবস্থা প্রয়োগের অগ্রগতি ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন অংশে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজায় এরই মধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও পুরুষ। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার।

সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার দক্ষিণ রাফায় হামলা জোরদার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

বিবিসি জানিয়েছে, যেন গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থার আর অবনতি না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এই নির্দেশনা দিয়েছে।


আরও খবর



র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 |

Image

বিডি টু ডে নিউজ:

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।


জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে সংস্থাটির পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।


 পরে শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমার বিশ্বাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।


উত্তম কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়, যা বর্তমানেও চলমান।



 দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরই তিনি অসংখ্য হিসাব থেকে সব টাকা-পয়সা তুলে হিসাব বন্ধ করছেন, যা সন্দেহজনক। তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি, বরং বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং সময় নষ্ট করছেন।


এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানকালে উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।


এদিন দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের কাছে আদালত জানতে উত্তম কুমার এখনো চাকরিরত কি-না। পরে আদালতকে জানানো হয় উত্তম কুমার এখনো কর্মরত। 


এরপর তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।


আরও খবর



সাভারে নদী খাল বিল দখলের মহোৎসব চলছে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টুডে রিপোর্ট:

রাজধানীর পাশের জনপদ সাভার উপ শহরের ওপর দিয়ে বংশী, তুরাগ ও ধলেশ্বরী নদীসহ বিভিন্ন খাল বহমান। কিন্তু এ নদী ও খাল এখন কেবলই স্মৃতি।

 ভূমিখেকোদের গ্রাসে নদী এখন পরিণত হয়েছে ছোট খালে। কেননা নদীর দুই পাশের শত শত বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি সাভারে অবস্থিত তিনটি খাল (তেঁতুলঝোড়া, যোগী-জাঙ্গাল ও নয়নজুলী) এবং দুইটি বিলের (তাঁতি বিল, শুকনা বিল ও রইপতা বা নোয়াদ্দা বিল) মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

একই সঙ্গে এসব খাল ও বিল পুনরুদ্ধারের জন্য দখল ও দূষণকারীর তালিকা প্রস্তুত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া খাল ও বিল দখল এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়ন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা জেলাধীন সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় প্রায় ৬০০ একর আয়তনের একটি বিল রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে ‘গজাইরার’ বিল নামে পরিচিত। বিলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৪ কিলোমিটার। বিলটি রক্ষায় ‘উত্তরণ প্রোপার্টিজ লিমিটেড’ ও ‘অ্যাচিভ করপোরেশন’ নামক আবাসন কোম্পানির অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের জন্য মাটি ভরাট, প্লট বিক্রয়সহ সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত। 

একইসঙ্গে আদালতপ্রদত্ত উল্লিখিত নির্দেশ প্রতিপালন সংবলিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে সম্প্রতি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।

সাভার উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগ নদীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল ও জলাশয়। যার মধ্যে জামুরমুচিপাড়া মৌজায় তেঁতুলঝোড়া খাল, কান্দিবলিয়ারপুর, চান্দুলিয়া মৌজায় বামনী খাল; পাথালিয়া মৌজায় যোগী-জাঙ্গাল (জুগী জঙ্গল), নয়নজুলী খাল, চারিগাঁও ও চাকরগাঁও মৌজায় তাঁতি বিল (শুকনা বিল) ও বড়ওয়ালিয়া ও মোহনপুর মৌজায় রইপতা (নোয়াদ্দা) উল্লেখযোগ্য। এ খাল ও বিলগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক গ্রামবাসীর জীবন ও জীবিকা। একসময় কৃষিনির্ভর সাভারবাসী সেচের জন্য অনেকাংশেই এসব খাল ও বিলের পানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। অবৈধ খদলদারিত্ব ও দূষণে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব খাল, বিল ও জলাশয়গুলো বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এসব খাল ও বিলের অংশবিশেষ ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা। 

গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি শিল্প মালিকরা তাদের শিল্পকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লিখিত খাল ও বিলসমূহকে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখের সামনেই এভাবে নদী খাল দখল হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। ফলে প্রভাবশালীদের নদী ও জলাশয় দখল চলছেই । হাউজিং ব্যবসার প্রতারণার শিকার হচ্ছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। বংশী, তুরাগ ও ধলেশ্বরী শাখা নদী ও একাধিক খালের তীর দখলের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ভূমিদস্যুরা। 

এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও হাউজিং কোম্পানিগুলো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তুরাগ, বংশী, ধলেশ্বরী নদী দখলমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বিভিন্ন সময়ে মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ করলেও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না এ দখল প্রক্রিয়া।

এক কালের সাভারের বন্দর নামে পরিচিত নদীর কুল ঘেঁষে অবস্থিত সাভারের নামা বাজার আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, আর ক্ষুদ্র হচ্ছে বংশী নদী। কেননা বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা নদীর জমি দখল করে সেখানে নির্মাণ করছে দোকানপাট , মালামাল রাখার গুদামঘর , চিড়া ও তেলের মিল, ডাল মিলসহ অন্যান্য কলকারখানা।

 বাজারের এসব প্রভাবশালী নদীর জায়গা দখল করে দোকানপাট মিল কলকারখানা বসিয়ে লাভবান হচ্ছেন আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নামে অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, সরকারি সম্পত্তি দখলে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে ভূমি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। অনেক সরকারি সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভূমি অফিসের সহায়তায় দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিয়েছেন।

 সাভার বাজারের পাশে বংশী নদীর পাড় ঘেঁষে সরকারি জমি (খাস জমি) নামে-বেনামে এবং লিজের মাধ্যমে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিংহভাগ জমিই বেহাত হয়ে গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে অজ্ঞাত কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বর্তমানে বংশী নদীর তীর ঘেঁষে এ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

সাভার পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রভাবশালী কর্তৃক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। তিনি নদী সুরক্ষায় সিএস নকশা আনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারনের দাবি জানান। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাভারের সভাপতি অধ্যাপক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই নদনদী রক্ষা প্রয়োজন। ক্রমাগত নদী খাল ভরাট হলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।’ 

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়া নদী, খাল, জলাশয় ভরাটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরও খবর