ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়াতে আগুনে ঘর ভস্মীভূত!
নওগাঁয় ২২মে গুটি আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৪
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
সাগরে মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা
জাটকা রক্ষায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে নদীতে নেমে হতাশ
জেলেরা। তারা বলছেন, জালে মাছ ধরা পড়েছে না। যে দু-চারটা ইলিশ পড়ছে, তা বেচে নৌকার
(ইঞ্জিনচালিত) তেল খরচই উঠছে না।
জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। তাই বুকভরা আশা
নিয়ে নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন। জেলেরা জানান, নৌকায় ১৫শ’
টাকার তেল নিয়ে গেলে মাছ পাওয়া যায় ৮শ’ টাকার। তাই তারা এখন নদীতে যেতে পারছে
না। এ ছাড়া ২-৩ হাজার টাকার মাছ সংগ্রহ করতে হলে তেল খরচ হয়ে যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার।
মাছ না পাওয়া তাদের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে।
মৌসুমের এই সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে ভোলার
মেঘনা পাড়ের অর্ধশতাধিক ছোট-বড় মাছঘাট। কিন্তু সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। খালি পড়ে
আছে মাছের বাক্স। অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা।
আড়ৎদাররা জানান, তুলনামূলক মাছ না হওয়ায় জেলেরা নদীতে যাচ্ছে না।
ফলে বাজারে মাছের দাম বাড়তি।
মাছের এমন খরার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, তীব্র তাপদাহ আর
অনাবৃষ্টির কারণে বেড়েছে লবণাক্ততা। ফলে গভীর জলাশয়ের খোঁজে সাগরমুখী হচ্ছে মাছ।
আর তাই ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে।
ভোলা সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন
বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রমে ছোট মাছ আশ্রয় নেয়। এই ছোটমাছগুলো সাগরের দিকে চলে গেছে।
এর ফলে নদীতে ইলিশের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংখ্যা
অনেক কম। এই কম হওয়ার কারণে সাগরের নোনা পানিটা এখন বেশি প্রবেশ করছে। এর ফলে মাছ
যে ডিম পাড়তে আসে এই সংখ্যা খুবই কম। এই কারণে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ খুব কম
পাচ্ছে।
চলতি বছর জেলায় ১লাখ ৯২ হাজার টন ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা
হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
চলতি বছরের প্রথম দিনের তুলনায় গত
সপ্তাহে ১২ শতাংশ বেশি দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ২ হাজার
৩০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে মূল্যবান ধাতুটি। এছাড়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পর স্বর্ণের
দাম ৬০০ ডলার বেড়েছে। স্বর্ণের দামের এই উত্থানকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থানের
সঙ্গে তুলনা করেছেন ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের বিশ্লেষক হ্যারি ডেম্পসি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন,
মার্কিন সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি টেকসই না হওয়া, পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের
দেশগুলোর বিপুল পরিমাণে সোনা কেনা, বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকে বেচে
নেওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মার্কিন সম্পদ বা বন্ডে
বিনিয়োগ কমিয়ে দেওয়ার কারণে বেড়েই চলছে স্বর্ণের দাম।
বর্তমানে স্বর্ণের দাম
কিছুটা কমার বিষয়ে তারা বলছেন, এটি সাময়িক ব্যাপার। মূলত, বিশ্বের সার্বিক আর্থিক
পরিস্থিতিতে মানুষ বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ার ব্যাপক প্রবণতা
রয়েছে।
ফার্স্ট ইগল
ইনভেস্টমেন্টের ম্যাক্স বেলমন্ট বলছেন, মার্কিন সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি টেকসই
হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতি ১০০ দিনে এক লাখ কোটি (এক ট্রিলিয়ন) ডলার
সরকারি ঋণ বাড়ছে। আর সে কারণে স্বর্ণের বাজার বেশ রমরমা।
বর্তমানে
যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডে বিনিয়োগ করে এখন উঁচু হারে সুদ পাওয়া যাওয়ায় ডলার এই
মুহূর্তে চাঙা অবস্থায় রয়েছে। তাই স্বর্ণের দাম কম হওয়ায় কথা কিন্তু পশ্চিমা নয়
এমন দেশগুলোর ব্যাপক পরিমাণ স্বর্ণ কেনায় সোনার বাজার রীতিমতো ওলট–পালট
হয়ে যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড
কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয়
ব্যাংক ২৯০ টন সোনা কিনেছে। এর মধ্যে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০ টন স্বর্ণ
কিনেছে। এ সময়ে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনেছে ২৭ টান। বর্তমানে চীনের স্বর্ণের
মজুদ ২ হাজার ২৬২ টন। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে দেশটির স্বর্ণের মজুদ বেড়েছে
১৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিল (আইএমএফ) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বা বন্ডে
বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। এসব দেশ তাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের একটি অংশ মার্কিন
বন্ডে বিনিয়োগ করে। ১৯৯৯ সালে এসব বিনিয়োগ ৭১ শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা ৫৯ শতাংশে নেমেছে।
রাশিয়ার পাওয়া হাজার
হাজার নিষেধাজ্ঞা থেকে শিক্ষা নিয়েছে চীন। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পর
বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে রুশ সম্পদ জব্দ হয়। জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার ৩০
হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়। এ জন্য এসব দেশে বিনিয়োগ ঝুঁকি নিচ্ছে
না বেইজিং। এ কারণে বেশি পরিমাণ স্বর্ণ কিনছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি বছরে বেড়েছে মাথাপিছু আয়
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
বিএনপি-জামায়াতের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন।
আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়।
বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
নোবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
মোঃ সিনান তালুকদার,নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (GST) গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৪) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নোবিপ্রবির বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ‘এ’ ইউনিটের ৪৫০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৩৯৫৫ জন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৭.৮৫ শতাংশ।
পরীক্ষা শুরু হলে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ ঘুরে দেখেন। এসময় নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পরীক্ষা পরিচালনা ও আসন বিন্যাস উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শৃঙ্খলা ও ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিম হাসানসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হল পরিদর্শন শেষে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বলেন, তীব্র তাপদাহের মধ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিগত দিক থেকেই অত্যন্ত মনোরম ও ছায়াসুনিবিড়। এরপরও গরমে যাতে অভিভাবকদের কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার অনেক বেশি, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এসময় তিনি ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দসহ, নোবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, নোয়াখালী পৌরসভা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিকবৃন্দসহ যারা ভর্তি পরীক্ষায় সহায়তা করেছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
এর আগে সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যৌথ সভায় ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, একই দিন আজ বিকেল ৩.৩০ থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটভুক্ত আর্কিটেকচার এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ ও ১০ মে ২০২৪ তারিখে ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ
মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি
সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল
আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই
মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ
বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে
পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।
এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে
সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে
এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে
থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তগুলো যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে
আর সাজা নাও খাটতে হতে পারে।
আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০
সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ)-এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রবেশন
আদেশের নিম্নোক্ত শর্তযুক্ত মুচলেকা স্বাক্ষর করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার
আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় স্বাক্ষর করে মুক্তি পান।
শর্তগুলো হলো—
১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন
কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনা মেনে চলবেন।
২. ওই
সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতে আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও
সদাচরণ করবেন।
৩.
বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।
৪.
আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার
যথাসময়ে হাজির হবেন।
৫. শহর
এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার
করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের
জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া নিজস্ব কর্মস্থল
বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যেকোনো সময় আসামির গৃহ
পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
৬.
আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ,
বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান
থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে
নিজেকে দূরে রাখবেন।
৭.
আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না;
প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা
কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার
তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের
উপস্থিতিতে শুধু স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
৮. উপর্যুক্ত যেকোনো শর্ত লঙ্ঘন
করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির
প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,
২০১৮-এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।
সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা
বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
আদালতের ‘সময় নষ্ট’ করায় সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪