Logo
শিরোনাম

দেশদ্রোহী খলিল সামিসহ সাত জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান ও নেত্র নিউজের তাসনীম খলিলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সাত এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

এর আগে ২০২১ সালের ১৩ জুন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক আফছার আহমেদ আদালতে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া এ মামলা থেকে কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এরপর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ মুশতাকসহ চারজনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

২০২০ সালের ৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৫-৬ জনকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেন। ওই পেজটি চালাচ্ছিলেন শায়ের জুলকারনাইন (অ্যাডমিন) এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ।

এজাহারে বলা হয়, আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন ওরফে সামিউল, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।


আরও খবর



প্রাথমিকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সারা দেশে সব রেকর্ড ভেঙে দাবদাহের পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পুরো এপ্রিল মাস এমন দৃশ্যই দেখেছে সারা দেশ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। খুব একটা বৃষ্টির দেখাও মেলেনি। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকূল।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েকদিন সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে। মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হচ্ছে ক্লাস।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।

বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ক্লাসের সময়সূচি

বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর যে বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করেছিল, সে অনুযায়ী- এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দুই শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল ৯টায়, শেষ হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস চলবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

তবে ঢাকা মহানগরীর জন্য পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সূচি প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।


আরও খবর



এবারের বাজেট পরিধি ৮ লাখ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে এ বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

সূত্রটি জানায়, সোমবার (১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট সংক্রান্ত এক সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

সভায় আগামী বাজেটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার পক্ষে মতো দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সতর্কতার সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

সূত্রটি আরও জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেটে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন দেখতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা এই বাজেটে তার প্রতিফলন রয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।


আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ মে দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের মহাদেবপুর থানাধীন (নওহাটামোড়) চৌমাশিয়া বাজারে। নিহত শিশু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন এর ছেলে বাধন হোসেন (১০)। স্থানিয় লোকজন ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওহাটামোড় বাজারের কফিল চাউল মিলে লেবার হিসেবে শিশুর বাবা শামিম হোসেন ও তার মা একই চাতালে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার সময় শিশু বাধন চাতালের সামনে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে নওগাঁ অভিমুখি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস শিশুটিকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু বাধন হোসেন এর মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে স্থানিয় নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে   বাসটি সনাক্ত করনের কাজ চলছে একই সাথে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর